নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আগামী ডিসেম্বর কিংবা জানুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার চাপ আছে ক্ষমতাসীনদের ওপর। এ জন্য সরকার ও বিরোধী দলগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক সংলাপ দরকার পড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। ছোট দলগুলোর নেতাদেরও একই মত। তবে বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে বহুকাল ধরে বৈরী সম্পর্কের কারণে কার্যকর সংলাপের আশা দেখছেন না এসব দলের নেতারা।
নির্বাচন সামনে রেখে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে ‘রাজনীতির সেতু’ নির্মাণের কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনীতি করতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সরকারের দুই মন্ত্রীর এমন কথায় সংলাপের ইঙ্গিত পাচ্ছেন বিশ্লেষকেরা। সম্প্রতি কয়েকটি প্রভাবশালী দেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধিদের সফরেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে।
সংলাপের প্রয়োজনীয়তা, সম্ভাবনা ও সংশয় নিয়ে ক্ষমতাসীন জোটের শরিক কয়েকটি দল, সংসদে বিরোধী দল এবং বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছে আজকের পত্রিকা। এসব নেতা সংলাপ নিয়ে মিশ্র মতামত দিয়েছেন। তবে সংলাপের যে প্রয়োজন আছে, সে বিষয়ে মোটামুটি একমত তাঁদের সবাই। ব্যতিক্রম শুধু ১৪ দলীয় জোটের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)।
নির্বাচন কিংবা সামগ্রিক সংকট নিয়ে সংলাপের কোনো প্রয়োজনীয়তাই দেখছেন না জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন। তাই নির্বাচন নিয়ে দলে দলে আলোচনার কোনো প্রয়োজন আমি দেখি না। অর্থনৈতিক ও অন্যান্য সমস্যা সমাধানের জন্য দলে দলে বৈঠকের দরকার নেই।’
আলোচনার প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার না করলেও বড় দুই দলের মধ্যে সংলাপের সম্ভাবনা দেখছেন না ক্ষমতাসীন জোটের আরেক শরিক বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের (এম-এল) সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া। তিনি বলেন, সংলাপের কোনো সম্ভাবনা নেই।
সংলাপের বিষয়টি বড় দুই দলের নেতাদের বোধের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। সরকারি দলের নেতারা সংলাপের ইঙ্গিত দিলেও সংলাপের পরিবেশ-পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন তিনি। রাশেদ খান মেনন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সংলাপ সমস্যা সমাধানের একটা অন্যতম হাতিয়ার। অতীতে দুই দলের কেউ এটার সঠিক ব্যবহার পারেনি বা করেনি। যদি এবার করে তবে ভালো, না করলে সংকটের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে।
এদিকে সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা) মনে করে, সামনের দিনে সংঘাতপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির আশঙ্কা আছে। তাই সরকারের ওপর নানাবিধ চাপ আছে। এ অবস্থায় সংলাপের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। জাপা চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের বলেন, সামগ্রিক সংকট নিরসনে সরকারের উদ্যোগ নেওয়া উচিত। বিপরীতমুখী অবস্থান থেকে উত্তরণে সংলাপ একটা বড় মাধ্যম হতে পারে। এখন এই সংলাপ কতটুকু ফলপ্রসূ হবে, তা নির্ভর করছে সরকারের সদিচ্ছার ওপর।
আগে পদত্যাগ, পরে সংলাপ
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তাদের জোটের শরিকেরা সংলাপের ইঙ্গিত দিলেও বিএনপির ঘনিষ্ঠ দলগুলো চায় আগে সরকারের পদত্যাগ, পরে রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরিতে সংলাপ। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় কোনো সংলাপই ফলপ্রসূ হবে না বলে মনে করছেন দলগুলোর নেতারা।সরকারি দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপের অতীত অভিজ্ঞতা সুখকর নয় বলে জানিয়েছেন বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে, এমনকি যুদ্ধক্ষেত্রেও সংলাপ হয়। আমরা নীতিগতভাবে সংলাপের বিরোধী নই। কিন্তু আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, ক্ষমতাসীনেরা সংলাপ করেও ওয়াদার বরখেলাপ করে অবলীলায়। যদি অর্থবহ কার্যকর সংলাপ করতে হয়, তাহলে আগে এটা নিয়ে বেশ কিছু কাজ করতে হবে। তাহলে হয়তো কার্যকর সংলাপ হতে পারে।’
আগে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ দাবি করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। এরপরেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে সংলাপ হতে পারে বলে মত দিয়েছেন তিনি। জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘অবশ্যই আলোচনা দরকার। তবে সংলাপ হবে সরকারের পরিবর্তন নিয়ে। আমরা একটা গুণগত পরিবর্তনের জন্য আন্দোলন করছি। সেই পরিবর্তনের জন্য প্রথম ধাপ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সরকারের পদত্যাগ এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত এলে আমরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা, সংলাপসহ সব ধরনের সহযোগিতা করতে আগ্রহী।’ তবে বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন প্রসঙ্গে আলোচনার আর কোনো প্রাসঙ্গিকতা বা বাস্তবতাও নেই বলে জানান তিনি।
সিপিবি ও ইসলামী আন্দোলনও সংলাপের পক্ষে
আলোচনা ছাড়া কখনোই সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এবং দলের মুখপাত্র গাজী আতাউর রহমান। সুষ্ঠু পরিবেশের স্বার্থে যে আঙ্গিকেই হোক, আলোচনা প্রয়োজন বলে মনে করছেন তিনি।নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার এবং কোন ধরনের সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, এ বিষয়ে অতি দ্রুত আলোচনা শুরু হওয়া দরকার বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণের জন্য সুনির্দিষ্ট ইস্যুতে পারস্পরিক আলোচনা হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।’
দেশের সামগ্রিক সংকট নিরসন এবং একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সংলাপের কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, ‘সমস্যার সমাধান হবে একটা সমঝোতার অথবা রাজনৈতিক বন্দোবস্তের মাধ্যমে। আমাদের নতুন করে একটা রাজনৈতিক ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে। এটা না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে আমরা মহা সংকটে পড়ে যেতে পারি।’
আগামী ডিসেম্বর কিংবা জানুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার চাপ আছে ক্ষমতাসীনদের ওপর। এ জন্য সরকার ও বিরোধী দলগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক সংলাপ দরকার পড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। ছোট দলগুলোর নেতাদেরও একই মত। তবে বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে বহুকাল ধরে বৈরী সম্পর্কের কারণে কার্যকর সংলাপের আশা দেখছেন না এসব দলের নেতারা।
নির্বাচন সামনে রেখে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে ‘রাজনীতির সেতু’ নির্মাণের কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনীতি করতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সরকারের দুই মন্ত্রীর এমন কথায় সংলাপের ইঙ্গিত পাচ্ছেন বিশ্লেষকেরা। সম্প্রতি কয়েকটি প্রভাবশালী দেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধিদের সফরেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে।
সংলাপের প্রয়োজনীয়তা, সম্ভাবনা ও সংশয় নিয়ে ক্ষমতাসীন জোটের শরিক কয়েকটি দল, সংসদে বিরোধী দল এবং বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছে আজকের পত্রিকা। এসব নেতা সংলাপ নিয়ে মিশ্র মতামত দিয়েছেন। তবে সংলাপের যে প্রয়োজন আছে, সে বিষয়ে মোটামুটি একমত তাঁদের সবাই। ব্যতিক্রম শুধু ১৪ দলীয় জোটের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)।
নির্বাচন কিংবা সামগ্রিক সংকট নিয়ে সংলাপের কোনো প্রয়োজনীয়তাই দেখছেন না জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন। তাই নির্বাচন নিয়ে দলে দলে আলোচনার কোনো প্রয়োজন আমি দেখি না। অর্থনৈতিক ও অন্যান্য সমস্যা সমাধানের জন্য দলে দলে বৈঠকের দরকার নেই।’
আলোচনার প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার না করলেও বড় দুই দলের মধ্যে সংলাপের সম্ভাবনা দেখছেন না ক্ষমতাসীন জোটের আরেক শরিক বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের (এম-এল) সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া। তিনি বলেন, সংলাপের কোনো সম্ভাবনা নেই।
সংলাপের বিষয়টি বড় দুই দলের নেতাদের বোধের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। সরকারি দলের নেতারা সংলাপের ইঙ্গিত দিলেও সংলাপের পরিবেশ-পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন তিনি। রাশেদ খান মেনন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সংলাপ সমস্যা সমাধানের একটা অন্যতম হাতিয়ার। অতীতে দুই দলের কেউ এটার সঠিক ব্যবহার পারেনি বা করেনি। যদি এবার করে তবে ভালো, না করলে সংকটের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে।
এদিকে সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা) মনে করে, সামনের দিনে সংঘাতপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির আশঙ্কা আছে। তাই সরকারের ওপর নানাবিধ চাপ আছে। এ অবস্থায় সংলাপের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। জাপা চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের বলেন, সামগ্রিক সংকট নিরসনে সরকারের উদ্যোগ নেওয়া উচিত। বিপরীতমুখী অবস্থান থেকে উত্তরণে সংলাপ একটা বড় মাধ্যম হতে পারে। এখন এই সংলাপ কতটুকু ফলপ্রসূ হবে, তা নির্ভর করছে সরকারের সদিচ্ছার ওপর।
আগে পদত্যাগ, পরে সংলাপ
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তাদের জোটের শরিকেরা সংলাপের ইঙ্গিত দিলেও বিএনপির ঘনিষ্ঠ দলগুলো চায় আগে সরকারের পদত্যাগ, পরে রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরিতে সংলাপ। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় কোনো সংলাপই ফলপ্রসূ হবে না বলে মনে করছেন দলগুলোর নেতারা।সরকারি দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপের অতীত অভিজ্ঞতা সুখকর নয় বলে জানিয়েছেন বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে, এমনকি যুদ্ধক্ষেত্রেও সংলাপ হয়। আমরা নীতিগতভাবে সংলাপের বিরোধী নই। কিন্তু আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, ক্ষমতাসীনেরা সংলাপ করেও ওয়াদার বরখেলাপ করে অবলীলায়। যদি অর্থবহ কার্যকর সংলাপ করতে হয়, তাহলে আগে এটা নিয়ে বেশ কিছু কাজ করতে হবে। তাহলে হয়তো কার্যকর সংলাপ হতে পারে।’
আগে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ দাবি করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। এরপরেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে সংলাপ হতে পারে বলে মত দিয়েছেন তিনি। জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘অবশ্যই আলোচনা দরকার। তবে সংলাপ হবে সরকারের পরিবর্তন নিয়ে। আমরা একটা গুণগত পরিবর্তনের জন্য আন্দোলন করছি। সেই পরিবর্তনের জন্য প্রথম ধাপ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সরকারের পদত্যাগ এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত এলে আমরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা, সংলাপসহ সব ধরনের সহযোগিতা করতে আগ্রহী।’ তবে বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন প্রসঙ্গে আলোচনার আর কোনো প্রাসঙ্গিকতা বা বাস্তবতাও নেই বলে জানান তিনি।
সিপিবি ও ইসলামী আন্দোলনও সংলাপের পক্ষে
আলোচনা ছাড়া কখনোই সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এবং দলের মুখপাত্র গাজী আতাউর রহমান। সুষ্ঠু পরিবেশের স্বার্থে যে আঙ্গিকেই হোক, আলোচনা প্রয়োজন বলে মনে করছেন তিনি।নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার এবং কোন ধরনের সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, এ বিষয়ে অতি দ্রুত আলোচনা শুরু হওয়া দরকার বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণের জন্য সুনির্দিষ্ট ইস্যুতে পারস্পরিক আলোচনা হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।’
দেশের সামগ্রিক সংকট নিরসন এবং একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সংলাপের কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, ‘সমস্যার সমাধান হবে একটা সমঝোতার অথবা রাজনৈতিক বন্দোবস্তের মাধ্যমে। আমাদের নতুন করে একটা রাজনৈতিক ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে। এটা না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে আমরা মহা সংকটে পড়ে যেতে পারি।’
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৯ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৯ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৯ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫