Ajker Patrika

কচ্ছপগতিতে চলছে সেতুর কাজ

মিজানুর রহমান নয়ন, কুমারখালী (কুষ্টিয়া)
আপডেট : ০৪ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ৫৬
কচ্ছপগতিতে চলছে সেতুর কাজ

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার রাস্তার ওপর খনন করা সেই ‘পুকুরে’ সেতু নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। তবে কাজ চলছে কচ্ছপগতিতে। এ ছাড়া সেতু এলাকায় টাঙানো হয়নি নির্মাণকাজের সাইনবোর্ড। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে নেওয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থাও। রাস্তার ওপর নির্মাণসামগ্রী রাখা হয়েছে যত্রতত্র। সেতুটি উপজেলার পান্টি বাজার-বাঁশগ্রাম বাজার সড়কের কাঁচিকাটা এলাকায় অবস্থিত।

গত ৭ ডিসেম্বর আজকের পত্রিকায় ‘সেতুর কোনো খোঁজ নেই রাস্তার ওপর ‘‘পুকুর’’’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। তখন দেখা যায়, ঠিকাদার কাজ করার জন্য রাস্তা কেটে বিশাল গর্ত করে রেখেছেন। বছর ধরে পরে আছে সেভাবেই। সেই গর্তে পানি জমে বড় একটা পুকুর হয়ে আছে। সেখানে নেই কোনো সতর্কব্যবস্থা। প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে চলছে হাজারো যানবাহন ও মানুষ।

এলাকাবাসী জানান, উপজেলার চাঁদপুর, বাগুলাট ও পান্টি ইউনিয়নের প্রায় লাখো মানুষে চলাচল এই সড়ক দিয়ে। এ ছাড়াও পাশের ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপার একাংশ কুষ্টিয়া শহরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে এই সড়ক দিয়ে। কিন্তু সড়কের কাঁচিকাটা সেতু এলাকার সেতুটি নতুন করে নির্মাণের জন্য ভাঙা হয়েছে প্রায় এক বছর আগে। ভেঙে সেখানে একটি পুকুর খনন করা হয়। সড়কের ওপরেই রাখা হয়েছে সেতুর নির্মাণসামগ্রী। তবে সেখানে নেই কোনো সাইনবোর্ড। নেই দুর্ঘটনা প্রতিরোধক ব্যবস্থা।

চলাচলের জন্য ছিল না বিকল্প সড়ক। চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বিকল্প সড়ক নির্মাণের কথা বলা হলে ঠিকাদারের লোকজন হুমকি দিতেন। পরে পুকুর কাটার কিছুদিন পর রড ও পাথর রাখা হয় সড়কের ওপর। এর কিছুদিন পর ঠিকাদারের লোকজন ও শ্রমিকেরা চলে যান। পরে স্থানীয় উদ্যোগে বিকল্প সড়ক তৈরি করা হয়।

উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কাঁচিকাটা সেতুটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় সেখানে তিন মিটার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের বক্স সেতুর (কালভার্ট) অনুমোদন দেয় এলজিইডি। এতে ব্যয় ধরা হয় ১৮ লাখ ১২ হাজার ১৯৫ টাকা। সেতু নির্মাণের ঠিকাদার ভেড়ামারা উপজেলার ফারাকপুরের মো. নজরুল ইসলাম। ৬০ দিনের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল। সেই সময় পেরিয়ে গেছে গত বছরের গত ৩১ ডিসেম্বর।

গতকাল সোমবার সকালে নির্মাণাধীন সেতু এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সড়কের ওপরের সেই গর্তের মধ্যে দুজন শ্রমিক সেতু নির্মাণের জন্য বেইজ ঢালাইয়ের রড বাঁধার কাজ করছেন। নির্মাণাধীন এলাকায় নেই কোনো দুর্ঘটনা প্রতিরোধক ব্যবস্থা। নেই নির্মাণকাজের কোনো সাইনবোর্ড। নির্মাণসামগ্রী সড়কের ওপর যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এভাবেই চলছে যানবাহন ও মানুষ।

কথা হয় নির্মাণশ্রমিক রতনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘খবর হওয়ার পরে ঠিকাদার কাজ শুরু করেছে। তবে কাজে লোক কম নেওয়া হয়েছে। আমরা দুজন সেতুর বেইজ ঢালাইয়ের জন্য রড বাঁধার কাজ করছি।’ এ বিষয়ে ঠিকাদার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আজ কম লোকে কাজ করছেন। আস্তে আস্তে লোক বাড়ানো হবে। আশা করছি, এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ হবে।’

চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুজ্জামান তুষার বলেন, ‘আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের কয়েক দিন পরই ঠিকাদার কাজ শুরু করেছেন। কিন্তু কাজে শ্রমিক কম নেওয়া হয়েছে। কচ্ছপগতিতে চলছে কাজ। আমরা দ্রুত সেতুর বাস্তবায়ন চাই।’

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুর রহিম বলেন, ‘সেতুর কাজ শুরু হয়েছে। তদারকি করা হচ্ছে। আশা করছি, দ্রুত কাজ শেষ করবেন ঠিকাদার।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত