Ajker Patrika

ঘৃণা-বিদ্বেষে বিভক্ত ভারত ঐক্যের ডাক সোনিয়ার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২২, ০৯: ২৫
ঘৃণা-বিদ্বেষে বিভক্ত ভারত  ঐক্যের ডাক সোনিয়ার

২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতে রাজনৈতিক-সামাজিক মেরুকরণ বেড়েছে। ধর্মীয় বিদ্বেষ, হিংসা, সামাজিক অসহিষ্ণুতা, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে সর্বাত্মকভাবে দমন ইত্যাদি তীব্র হয়েছে। সরকারি দলের নেতা, সরকারি কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ মদদে এসব চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

জীবনযাপনের মান, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বেকারত্ব হ্রাসের মতো বিষয়ে ব্যর্থ হয়ে সরকার ক্রমশ সামাজিক বিভক্তির দিকে জোর পায়ে এগোচ্ছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। ভারতের বর্তমান প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের অস্থায়ী সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর গত শনিবার প্রকাশিত এক প্রবন্ধে এসব বিষয় উঠে এসেছে।

‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে’ প্রকাশিত ‘একটি ভাইরাস আমাদের ধ্বংস করছে’ শিরোনামের প্রবন্ধটিতে সোনিয়া গান্ধী প্রশ্ন করেন, ‘ভারত কি স্থায়ীভাবে বিভক্ত হয়ে পড়বে? শাসক দল বিজেপির কর্মকাণ্ড থেকে মনে হয়, তারা এটাই চায়। এ ধরনের পরিবেশই তাদের ক্ষমতাকে স্থায়ী করার জন্য উপযোগী। তাই কাপড়, খাবার, বিশ্বাস, উৎসব, ভাষা—অর্থাৎ জীবনের প্রতিটি দিক দিয়ে তারা সমাজকে বিভক্ত করতে চায়। অথচ প্রাচীন থেকে শুরু করে ভারতের সমসাময়িক ইতিহাসের দিকে তাকালে এর পক্ষে কোনো সমর্থন পাওয়া যায় না। ভারতে অতীতে কিছু সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটেছে, তা সত্যি। কিন্তু তা কখনো ভারতের মূলধারা ছিল না। প্রাচীনকাল থেকে ভারতীয় সমাজে সাম্য, মৈত্রী, সহিষ্ণুতার চর্চার আছে, কিছুদিন আগেও তা ছিল। এখন সেগুলোকে দূর কল্পনায় নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে।’

মানুষ কাজ, উন্নত জীবন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, নিরাপত্তা ইত্যাদি চায়। বর্তমান সরকার এসব নিশ্চিত করতে ব্যর্থ। এসব ব্যর্থতা ঢাকার জন্য তরুণদের দৃষ্টিভঙ্গিকে ভুল দিকে পরিচালনার চেষ্টা করছে সরকার। এটাই যেন সরকারের মূল কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর দেশ হিসেবে ভারত অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। এই সম্ভাবনাকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে। টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সামাজিক স্থিতিশীলতা পূর্ব শর্ত। তাই সব ভয়ডর উড়িয়ে দিয়ে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। শির উঁচু করে দাঁড়াতে হবে।

বিরোধী দলের বিবৃতি
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় বিভিন্ন সামাজিক গণমাধ্যম ও প্ল্যাটফর্ম কাজে লাগিয়ে সম্প্রতি ভারতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বেড়েছে। অথচ এটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নীরব। প্রধানমন্ত্রীর এই নীরবতাকে সমালোচনা করে গত শনিবার ভারতের ১৩টি বিরোধী রাজনৈতিক দল একটি বিবৃতি দিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত