Ajker Patrika

ইসলামে কৃতজ্ঞতার গুরুত্ব

আবদুল আযীয কাসেমি
ইসলামে কৃতজ্ঞতার গুরুত্ব

কৃতজ্ঞতা মহৎ গুণ। কৃতজ্ঞ মানুষকে সবাই পছন্দ করে। অকৃতজ্ঞকে সবাই নিন্দা করে; বেইমান বলে আখ্যা দেয়। কৃতজ্ঞতা মানুষকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। মহান আল্লাহও কৃতজ্ঞ বান্দাদের পছন্দ করেন। অকৃতজ্ঞদের অপছন্দ করেন। মানুষের অকৃতজ্ঞতার নিন্দা করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমার বান্দাদের মধ্যে খুব কমসংখ্যক লোকই কৃতজ্ঞ’। (সুরা সাবা: ১৩)

অকৃতজ্ঞতার কারণেই মানুষ আল্লাহ তাআলাকে অস্বীকার করে। তাঁর দীনকে, তাঁর বিধিবিধানকে প্রত্যাখ্যান করে। নবী-রাসুলদের অবিশ্বাস করে। তাঁদের আনীত ধর্মকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে।

বলাবাহুল্য, এ জন্যই অবিশ্বাসীদের কাফের বলা হয়। কাফের শব্দের অর্থ অকৃতজ্ঞ। ইসলামের দৃষ্টিতে কুফরের চেয়ে বড় অকৃতজ্ঞতা আর কিছু হতে পারে না।

আল্লাহ তাআলা মহানবী (সা.)-কে সম্বোধন করে বলেছেন, ‘আপনি আপনার প্রতিপালকের দেওয়া নিয়ামতগুলো মানুষের কাছে বলুন।’ (সুরা ইনশিরাহ: ১১) এ আয়াতের ব্যাখ্যায় আবু নাদরাহ বলেন, প্রতিজন মুসলিমই মনে করেন, নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা হলো সেই নিয়ামতের কথা বর্ণনা করা, লুকিয়ে না রাখা। নোমান বিন বশির (রা.) বলেন, একদিন নবীজি (সা.) মিম্বরে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘যে ব্যক্তি অল্প জিনিসের কৃতজ্ঞতা আদায় করে না, সে বেশি জিনিসের কৃতজ্ঞতাও আদায় করে না। যে মানুষের কৃতজ্ঞতা আদায় করে না, সে আল্লাহর কৃতজ্ঞতাও আদায় করে না। আল্লাহর অনুগ্রহের কথা বর্ণনা করাই কৃতজ্ঞতা এবং তা বর্ণনা না করাই অকৃতজ্ঞতা।’ (যাওয়ায়েদুল মুসনাদ)

হজরত আনাস (রা) বলেন, একবার মুহাজির সাহাবিগণ নবীজিকে বললেন, ‘আমাদের আনসার ভাইয়েরা সব সওয়াব নিয়ে যাচ্ছেন।’ (তাঁরা আমাদের সাহায্য করার মাধ্যমে উত্তম আচরণ করে সওয়াব পেয়ে যাচ্ছেন।) তখন নবীজি বললেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা তাদের জন্য দোয়া করবে এবং তাদের প্রশংসা করবে, তোমরাও সওয়াব পেতে থাকবে।’ (বুখারি ও মুসলিম) 

লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত