Ajker Patrika

করোনায় নতুন শঙ্কা: এখনো ঢিলেঢালা বেনাপোল বন্দর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
করোনায় নতুন শঙ্কা: এখনো ঢিলেঢালা বেনাপোল বন্দর

প্রতিবেশী দেশগুলোতে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সীমান্তে হেলথ স্ক্রিনিং জোরদারের নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। নির্দেশনার দুই দিন পেরিয়ে গেলেও গতকাল মঙ্গলবার যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে এখনো শুরু হয়নি কোনো কার্যক্রম। ফলে ভারত থেকে যেসব যাত্রী বা ট্রাকচালকেরা বন্দরে প্রবেশ করছেন, তাঁদের মাধ্যমে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। এরই মধ্যে গত সোমবার বিমানবন্দরে ৪ চীনার দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে করোনায় নতুন শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. তাহমিনা শিরিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আক্রান্ত ৪ চীনা এখন আইসোলেশনে। তাঁদের দেহে কোন ধরন বা উপধরন রয়েছে তা জানতে লাগবে অন্তত এক সপ্তাহ। তবে ওই ফ্লাইটে আসা অন্য যাত্রীরা বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ায় সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাঁদের শনাক্ত করা ও কোয়ারেন্টিনের আওতায় আনা খুবই কঠিন।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিমানবন্দর, স্থল ও নৌপথে হেলথ স্ক্রিনিং জোরদারের নির্দেশনা থাকলেও বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। গত দুই দিন যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে ঘুরে যাত্রীসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তা, কর্মচারী কারও মধ্যে সচেতনতা চোখে পড়েনি। ইমিগ্রেশনে সুরক্ষা বুথ ও থার্মাল স্ক্যানার থাকলেও কার্যক্রম নেই। ভারত থেকে আসা যাত্রীদের করোনা নেগেটিভ সনদ দেখার মধ্যেই কার্যক্রম সীমাবদ্ধ। বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের উপসহকারী মেডিকেল অফিসার আবদুল মজিদ জানান, ‘মৌখিক নির্দেশনা পেয়েছি। দ্রুত করোনা প্রতিরোধক সব ধরনের সুরক্ষা নেওয়া হবে।’

তবে কিছুটা ভালো অবস্থা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্তে। প্রতিবেশী দেশ ভারতে নতুন ধরন শনাক্ত হওয়ায় এই চেকপোস্টে সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন যাত্রী পাওয়া গেলে তাঁদের নিজ খরচে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। হোটেলগুলো নির্ধারণ করে দেবে সরকার। তবে জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে সন্দেহভাজন ব্যক্তির মাধ্যমে করোনা ছড়িয়ে পড়তে পারে। কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে এই নির্দেশনা মানবে না। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জনস্বাস্থ্যবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আবু জামিল ফয়সাল বলেন, ‘করোনার শুরু থেকেই আমাদের কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা ছিল। এখন তো পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে। সেখানে মানুষ নিজে থেকে থাকবেন এমনটা বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। শুধু রাখলে তো হবে না, তাঁদের দেখাশোনা করাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’

গত সোমবার সকাল আটটা থেকে গতকাল সকাল আটটা পর্যন্ত ১৫ জনের দেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি মিলেছে। দেশের কোথাও ভাইরাসটিতে কারও মৃত্যু হয়নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত