রাসেল আহমেদ, তেরখাদা
তেরখাদা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এক সময় সম্ভ্রান্ত কৃষকের বাড়ির উঠোনে শোভা পেত ধান রাখার ‘গোলা ঘর’। এখন সেটা বিলুপ্তির পথে। বাঁশ দিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি গোল আকৃতির কাঠামোই গোলা। এঁটেল মাটির মণ্ড তৈরি করে ভেতরে সে মাটির প্রলেপ লাগিয়ে রোদে ভালোভাবে শুকিয়ে তার ওপরে পিরামিড আকৃতির টিনের চালা দিয়ে বিশেষ উপায়ে তৈরি করা হতো এই গোলা ঘর।
ছোট বড় মানভেদে এসব গোলায় ১০০ থেকে ৩০০ মণ ফসল সংরক্ষণ করা যায়। কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত ফসল প্রথমে রোদে ভালোভাবে শুকিয়ে গোলায় সংরক্ষণ করতেন। এই গোলা ঘর টিকিয়ে রাখতে সরকারি সহযোগিতার দাবি জানিয়েছেন সচেতন কৃষক মহল।
উপজেলা সদরের কাটেংগা এলাকার কৃষক ইউনুস মোল্লা বলেন, এক সময় মাঠ ভরা ধান, গোয়াল ভরা গরু, আর গোলা ভরা ধান গ্রামের সম্ভ্রান্ত কৃষকের পরিচয় বহন করত। সভ্যতার বিবর্তন আর আধুনিক কৃষি সংরক্ষণ পদ্ধতি আবিষ্কারের ফলে হারাতে বসেছে কৃষকের ঐতিহ্যবাহী ধানের গোলা। আমরা পূর্বপুরুষদের ব্যবহৃত সেই ধানের গোলা ঘরটি এখন স্মৃতি চিহ্ন হিসাবে রেখে দিয়েছি।
শতদল কলেজের ক্রীড়া শিক্ষক বিপুল কুমার মৈত্রী বলেন, সত্তর-আশির দশকের দিকে এই সব ধানের গোলা ঘর কৃষক ও সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় ছিল। কারণ এই গোলায় কৃষি ফসল সংরক্ষণ টেকসই হওয়ায় সাধারণ মানুষ এটাকে সাদরে গ্রহণ করেছিলেন।
তিনিও পারিবারিক ঐতিহ্য ধরে রাখতে গোলা ঘরটি স্মৃতি হিসাবে এখনো টিকিয়ে রেখেছেন। তিনি বলেন, এখন আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে মানুষের পারিবারিক ব্যবহার্য উপকরণে। ফলে প্রযুক্তির দৌড়ে টিকতে না পেরে গোলা ঘর এখন বিলুপ্তির পথে। তবে দেশের বিলুপ্তপ্রায় গোলা ঘর টিকিয়ে রাখতে কৃষি বিভাগের এগিয়ে আসা দরকার।
জয়সেনা গ্রামের কৃষক নিজাম খাঁ বলেন, আশি-নব্বই দশকের দিকে একটা গোলা তৈরিতে খরচ হতো ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। গোলা নির্মাণ করার জন্য বিভিন্ন এলাকায় আগে দক্ষ শ্রমিক ছিল। এখন এই পেশাটিও হারিয়ে গেছে। এখন চট বা পলিথিনের বস্তায় অথবা প্লাস্টিকের ড্রামে ভরে ফসলাদি সংরক্ষণ করা হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সময়ে কৃষকদের আবাদি ও বসবাসের জমির পরিমাণ অনেক কমে গেছে।
তেরখাদা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এক সময় সম্ভ্রান্ত কৃষকের বাড়ির উঠোনে শোভা পেত ধান রাখার ‘গোলা ঘর’। এখন সেটা বিলুপ্তির পথে। বাঁশ দিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি গোল আকৃতির কাঠামোই গোলা। এঁটেল মাটির মণ্ড তৈরি করে ভেতরে সে মাটির প্রলেপ লাগিয়ে রোদে ভালোভাবে শুকিয়ে তার ওপরে পিরামিড আকৃতির টিনের চালা দিয়ে বিশেষ উপায়ে তৈরি করা হতো এই গোলা ঘর।
ছোট বড় মানভেদে এসব গোলায় ১০০ থেকে ৩০০ মণ ফসল সংরক্ষণ করা যায়। কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত ফসল প্রথমে রোদে ভালোভাবে শুকিয়ে গোলায় সংরক্ষণ করতেন। এই গোলা ঘর টিকিয়ে রাখতে সরকারি সহযোগিতার দাবি জানিয়েছেন সচেতন কৃষক মহল।
উপজেলা সদরের কাটেংগা এলাকার কৃষক ইউনুস মোল্লা বলেন, এক সময় মাঠ ভরা ধান, গোয়াল ভরা গরু, আর গোলা ভরা ধান গ্রামের সম্ভ্রান্ত কৃষকের পরিচয় বহন করত। সভ্যতার বিবর্তন আর আধুনিক কৃষি সংরক্ষণ পদ্ধতি আবিষ্কারের ফলে হারাতে বসেছে কৃষকের ঐতিহ্যবাহী ধানের গোলা। আমরা পূর্বপুরুষদের ব্যবহৃত সেই ধানের গোলা ঘরটি এখন স্মৃতি চিহ্ন হিসাবে রেখে দিয়েছি।
শতদল কলেজের ক্রীড়া শিক্ষক বিপুল কুমার মৈত্রী বলেন, সত্তর-আশির দশকের দিকে এই সব ধানের গোলা ঘর কৃষক ও সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় ছিল। কারণ এই গোলায় কৃষি ফসল সংরক্ষণ টেকসই হওয়ায় সাধারণ মানুষ এটাকে সাদরে গ্রহণ করেছিলেন।
তিনিও পারিবারিক ঐতিহ্য ধরে রাখতে গোলা ঘরটি স্মৃতি হিসাবে এখনো টিকিয়ে রেখেছেন। তিনি বলেন, এখন আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে মানুষের পারিবারিক ব্যবহার্য উপকরণে। ফলে প্রযুক্তির দৌড়ে টিকতে না পেরে গোলা ঘর এখন বিলুপ্তির পথে। তবে দেশের বিলুপ্তপ্রায় গোলা ঘর টিকিয়ে রাখতে কৃষি বিভাগের এগিয়ে আসা দরকার।
জয়সেনা গ্রামের কৃষক নিজাম খাঁ বলেন, আশি-নব্বই দশকের দিকে একটা গোলা তৈরিতে খরচ হতো ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। গোলা নির্মাণ করার জন্য বিভিন্ন এলাকায় আগে দক্ষ শ্রমিক ছিল। এখন এই পেশাটিও হারিয়ে গেছে। এখন চট বা পলিথিনের বস্তায় অথবা প্লাস্টিকের ড্রামে ভরে ফসলাদি সংরক্ষণ করা হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সময়ে কৃষকদের আবাদি ও বসবাসের জমির পরিমাণ অনেক কমে গেছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৪ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪