Ajker Patrika

বনে গোলপাতা সংগ্রহের ধুম, খুশি বাওয়ালিরা

কয়রা প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৩: ১৫
বনে গোলপাতা সংগ্রহের ধুম, খুশি বাওয়ালিরা

সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের খুলনা রেঞ্জের একটি কুপে (জোন) চলছে গোলপাতা সংগ্রহের ধুম। নির্বিঘ্নে গোলপাতা কাটতে পেরে খুশি বাওয়ালিরা। বন বিভাগের কঠোর নিরাপত্তা আর কড়াকড়িতে মৌসুমের প্রথম দফায় গোলপাতা কাটতে এখন ব্যস্ত তারা।

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরবন থেকে বনজ দ্রব্য আহরণ সংকুচিত করায় এবং চাহিদা কমে যাওয়ায় গোলপাতা সংগ্রহে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে বাওয়ালিরা। গোলপাতা সংগ্রহের ভরা মৌসুমে এবার বাওয়ালিদের বিএলসি (অনুমতি) দেওয়ার ক্ষেত্রে কঠোর ছিল বন বিভাগ।

সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের খুলনা রেঞ্জের কুপ (জোন) থেকে পারমিট (অনুমতি) গ্রহণ করে সুন্দরবন অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছে এর ওপর নির্ভরশীল শ্রমজীবী মানুষেরা। তবে বনের ওপর থেকে চাপ কমাতে বনজ দ্রব্য আহরণ সংকুচিত করার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছে বনবিভাগ।

খুলনা রেঞ্জের গোলপাতা কুপ কর্মকর্তা নির্মল কুমার মণ্ডল বলেন, সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের খুলনা রেঞ্জের ১টি কুপে প্রথম দফায় ৭৪ হাজার ৭শ ৫ মন গোলপাতা কাটার পারমিট দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। তার মধ্যে প্রথম দফায় গোলপাতা সংগ্রহ করার জন্য ১১৮টি বিএলসির অনুকূলে বাওয়ালিরা ৫৮ হাজার ৬৬০ মণ গোলপাতা সংগ্রহ করার অনুমতি (পারমিট) নিয়েছে।

গত ৩০ জানুয়ারি থেকে এ সব বিএলসির অনুকূলে পারমিট দেওয়া শুরু হয় এবং আগামী ৩০ মার্চ পর্যন্ত গোলপাতা আহরণ চলবে। খুলনা গোলপাতার সহযোগী কুপ কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম বলেন, বাওয়ালিরা যাতে নির্বিঘ্নে গোলপাতা কাটতে পারে তার জন্য নিয়মিত কুপের পক্ষে থেকে সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে। তবে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ না থাকায় গোলপাতা আহরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নাও হতে পারে বলেও তিনি জানান।

খুলনা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এজেডএম হাছানুর রহমান বলেন, নির্বিঘ্নে যাতে বাওয়ালিরা গোলপাতা কাটতে পারে তার জন্য বন বিভাগ থেকে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা। ইতিমধ্যে বাওয়ালিরা সুন্দরবনে প্রবেশ করে নিয়ম মাফিক গোলপাতা আহরণ করছে। কয়রা উপজেলার সুতারখালি এলাকার বাওয়ালি নজরুল ইসলামা বলেন, ২৫ বছর ধরে তিনি সুন্দরবন থেকে গোলপাতা সংগ্রহ করে আসছেন। কিন্তু বন বিভাগের এত কড়াকড়ি আগে কখনো দেখেননি।

কয়রার খুচরা গোলপাতা ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম বলেন, এখন আগের মতো আর গোলপাতার চাহিদা নেই। বিক্রি কম হওয়ায় অনেক খুচরা বিক্রেতার গত বছরের গোলপাতা এখনো রয়ে গেছে। তবে অনেক বাওয়ালি বলেছেন, গোলপাতায় যে পরিমাণ টাকা লগ্নি করা হয়, সেই তুলনায় ব্যবসা নেই। সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ড. মো. আবু নাসের মোহসীন হোসেন বলেন, তিনি প্রতিটি স্টেশনে নিয়মিত তদারকি করে বিএলসি নবায়ন করার অনুমতি দিয়েছেন। পাশাপাশি কূপে নৌকার মিল রেখে গোলপাতা কাটার নির্দেশ দিয়েছেন। ইতিমধ্যে তিনি গোলপাতা কুপ পরিদর্শন করে নিয়ম মাফিক গোলপাতা কাটার জন্য বাওয়ালিদের নির্দেশনা দিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়: তিন দফা দাবিতে সোমবার মাঠে নামছেন শিক্ষার্থীরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত