তাসনীম হাসান, চট্টগ্রাম
১৯৭১ সালের মার্চের শেষ অথবা এপ্রিলের শুরুর কোনো একদিন। সে দিন দুপুরে হঠাৎ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলীর মালিপাড়ার ঘরে ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রাণে বাঁচতে মানুষজন ছুটতে থাকেন পাশের কৈবল্যধাম আশ্রমে। সেখানেও আসতে থাকে পাকিস্তানি বাহিনী। বাধ্য হয়ে মানুষজন আবারও দিগ্বিদিক ছুটতে থাকেন।
বেশির ভাগ মানুষ চলে গেলেও প্রিয় আশ্রমেই থেকে যান মহারাজ তৃতীয় মোহন্ত ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়সহ ২৪ জন। পাক হানাদারবাহিনীর বর্বরতার বলি হতে হয় তাঁদের সবাইকে। ওই দিন রাতেই এই ২৪ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। বেশ কয়েক দিন সেখানেই পড়েছিল তাঁদের ছিন্নভিন্ন লাশ।
আজকের পত্রিকার সঙ্গে আলাপে কৈবল্যধাম আশ্রমের বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্য অজয় মিত্র শংকু গণহত্যার এমন চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই এই গণহত্যা চালিয়েছিল পাক হানাদারবাহিনী। তবে দিন-তারিখ সঠিকভাবে জানতে পারিনি আজও। অনেক দিন আশ্রমের এখানে-ওখানে পড়ে ছিল সবার লাশ। হানাদারবাহিনী সরে গেলে তবেই সেই লাশগুলো সৎকার করা হয়।’
কৈবল্যধাম আশ্রমটির অবস্থান পাহাড়ের ওপর। বেশ কিছু সিঁড়ি ডিঙিয়ে আশ্রমের মূল ভবনে ঢুকতে দেখা যায়, বাঁপাশের দেয়ালে কালো বোর্ডে সাদা অক্ষরে লেখা ২৪ জনের নাম। তাঁদের মধ্যে আছেন মোহন্ত থেকে পূজারি, পাচক থেকে নিরাপত্তারক্ষী। তালিকার ওপরে বড় হরফে লেখা, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে যাঁরা আত্মাহুতি দিয়েছেন তাঁদের তালিকা ও পরিচয়।’ আশ্রমের মূল ভবনের সরু সিঁড়ি মাড়িয়ে দোতলায় উঠতেই চোখ আটকে যায় নামফলকে। সেই ফলকের মাঝখানের গুলির দাগটা এখনো যেন তাজাই রয়ে গেছে।
আশ্রমের ব্যবস্থাপক বাবুল সেনগুপ্ত ও সেবার্থী ললিতকুমার কর্মকার বলেন, নামফলকের কক্ষটি ছিল তৃতীয় মোহান্ত ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যয়ের। তাঁকে লক্ষ্য করেই এই গুলি ছোড়া হয়েছিল।
সে দিনের বর্বরতার সাক্ষীদের অনেকেই আজ বেঁচে নেই। বহু খোঁজাখুঁজির পর পাওয়া গেল পাশের মালিপাড়ার বাসিন্দা সুনীল চন্দ্র দাশকে। পাকিস্তানি বাহিনী তাঁকে প্রাণে না মারলেও সারা জীবনের জন্য বলতে গেলে পঙ্গুই করে দিয়েছে। মাথায় বন্দুক এবং পায়ে বুট দিয়ে আঘাত করা হয় সুনীলকে।
১৯৭১ সালের মার্চের শেষ অথবা এপ্রিলের শুরুর কোনো একদিন। সে দিন দুপুরে হঠাৎ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলীর মালিপাড়ার ঘরে ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রাণে বাঁচতে মানুষজন ছুটতে থাকেন পাশের কৈবল্যধাম আশ্রমে। সেখানেও আসতে থাকে পাকিস্তানি বাহিনী। বাধ্য হয়ে মানুষজন আবারও দিগ্বিদিক ছুটতে থাকেন।
বেশির ভাগ মানুষ চলে গেলেও প্রিয় আশ্রমেই থেকে যান মহারাজ তৃতীয় মোহন্ত ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়সহ ২৪ জন। পাক হানাদারবাহিনীর বর্বরতার বলি হতে হয় তাঁদের সবাইকে। ওই দিন রাতেই এই ২৪ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। বেশ কয়েক দিন সেখানেই পড়েছিল তাঁদের ছিন্নভিন্ন লাশ।
আজকের পত্রিকার সঙ্গে আলাপে কৈবল্যধাম আশ্রমের বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্য অজয় মিত্র শংকু গণহত্যার এমন চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই এই গণহত্যা চালিয়েছিল পাক হানাদারবাহিনী। তবে দিন-তারিখ সঠিকভাবে জানতে পারিনি আজও। অনেক দিন আশ্রমের এখানে-ওখানে পড়ে ছিল সবার লাশ। হানাদারবাহিনী সরে গেলে তবেই সেই লাশগুলো সৎকার করা হয়।’
কৈবল্যধাম আশ্রমটির অবস্থান পাহাড়ের ওপর। বেশ কিছু সিঁড়ি ডিঙিয়ে আশ্রমের মূল ভবনে ঢুকতে দেখা যায়, বাঁপাশের দেয়ালে কালো বোর্ডে সাদা অক্ষরে লেখা ২৪ জনের নাম। তাঁদের মধ্যে আছেন মোহন্ত থেকে পূজারি, পাচক থেকে নিরাপত্তারক্ষী। তালিকার ওপরে বড় হরফে লেখা, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে যাঁরা আত্মাহুতি দিয়েছেন তাঁদের তালিকা ও পরিচয়।’ আশ্রমের মূল ভবনের সরু সিঁড়ি মাড়িয়ে দোতলায় উঠতেই চোখ আটকে যায় নামফলকে। সেই ফলকের মাঝখানের গুলির দাগটা এখনো যেন তাজাই রয়ে গেছে।
আশ্রমের ব্যবস্থাপক বাবুল সেনগুপ্ত ও সেবার্থী ললিতকুমার কর্মকার বলেন, নামফলকের কক্ষটি ছিল তৃতীয় মোহান্ত ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যয়ের। তাঁকে লক্ষ্য করেই এই গুলি ছোড়া হয়েছিল।
সে দিনের বর্বরতার সাক্ষীদের অনেকেই আজ বেঁচে নেই। বহু খোঁজাখুঁজির পর পাওয়া গেল পাশের মালিপাড়ার বাসিন্দা সুনীল চন্দ্র দাশকে। পাকিস্তানি বাহিনী তাঁকে প্রাণে না মারলেও সারা জীবনের জন্য বলতে গেলে পঙ্গুই করে দিয়েছে। মাথায় বন্দুক এবং পায়ে বুট দিয়ে আঘাত করা হয় সুনীলকে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪