Ajker Patrika

দরজিপাড়ায় ঈদের ব্যস্ততা

আব্দুর রব, মৌলভীবাজার
আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২২, ১৫: ৫৪
Thumbnail image

ঈদের বাজারে ব্যস্ততা বেড়েছে দরজিদের। তৈরি পোশাক কেনার নানান বিড়ম্বনা এড়িয়ে চলতে চান অনেক ক্রেতা। তাই সঠিক মাপে পছন্দের পোশাক বানাতে ছুটছেন দরজিপাড়ায়। ফলে ঈদের বাজারে ব্যস্ততা বেড়েছে পাড়া-মহল্লার টেইলারিং শপে। সেলাই মেশিনের একটানা শব্দের মধ্যে আনন্দঘন ব্যস্ততায় মৌলভীবাজারের দরজিপাড়ার কারিগরেরা।

শহরের বিভিন্ন দরজি দোকান ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী অর্ডার না পাওয়ার কথা জানান পোশাক তৈরির সঙ্গে জড়িত কারিগরেরা।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রোজার আগ থেকেই কম-বেশি পোশাক তৈরির অর্ডার আসছে। ২০ রোজার পর অর্ডার বেড়েছে। ফলে দম ফেলার ফুরসত নেই। গুরুত্বপূর্ণ অর্ডার ছাড়া নতুন করে আর অর্ডার নেওয়া হচ্ছে না। যেগুলো আগে এসেছিল সেগুলো এখন সময় মতো ডেলিভারি দেওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ চলছে।

অনেকেই নিজের রুচি ও স্বাচ্ছন্দ্য বোধের জন্য দরজির মাধ্যমে পছন্দমতো পোশাকটি তৈরি করিয়ে নেন। ঈদ সামনে রেখে শুরু হয়েছে সব বয়সের মানুষের পোশাক তৈরির শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।

শহরের সেন্ট্রাল রোডের একটি টেইলার্স মালিক আউয়াল মিয়া বলেন, ‘রোজার আগে থেকেই পোশাকের অর্ডার আসছে, তবে এ বছর অনেকটা কম। কারিগরেরা পোশাক তৈরি করে নিয়মিত ডেলিভারি দিচ্ছি। ইতিমধ্যে অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি, সময়মতো ডেলিভারি দিতে পারব না বলে।’

সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট এলাকার কারিগর শফিকুল বলেন, ‘গত বছরে করোনার কারণে কাজ কম ছিল। ফলে কোনো রকম ব্যবসা হয়েছিল। তবে এবার প্রচুর অর্ডার পাচ্ছি। রাত-দিন মিলে কাজ করছি।’

শহরের পশ্চিম বাজারের ব্যবসায়ী ও টেইলার্স হাসান আহমদ বলেন, ‘গত দুই বছরে করোনার প্রকোপ থাকায় কাজ কম ছিল। ফলে কোনো রকম ব্যবসা হয়েছিল। এবার প্রচুর অর্ডার পাব ভেবেছিলাম, কিন্তু আশানুরূপ হয়নি।’

ব্যবসায়ী শিরিন আক্তার সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘সারা বছর যে পরিমাণ কাজ হয়; তার চেয়ে দুই ঈদে কাজের পরিমাণ বেশি। তবে গত দুই বছরের তুলনায় এবার অর্ডার পাচ্ছি ভালো। ঈদবাজারে এক সেট সালোয়ার-কামিজের মজুরি ধরা হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা।’

টেইলার্স মাস্টার রেজাউল ইসলাম বলেন, পুরুষদের অর্ডার মোটামুটি পাচ্ছি। শার্ট ও প্যান্টের অর্ডার কম। তবে পাঞ্জাবি ও পায়জামার অর্ডার আছে বেশি। পুরুষের শার্টের মজুরি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, প্যান্ট ৪৫০, পাঞ্জাবি-পায়জামা ৫০০ টাকা।

তাহমিনা আক্তার বলেন, ‘ঈদকে সামনে রেখে জামা বানাতে দরজির দোকানে এসেছি। তৈরি পোশাক থেকে তৈরি জামা আমার ভালো লাগে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের রঙের লেস ব্যবহার করে পোশাকে পছন্দমতো ডিজাইন করা যায়।’

দরজির দোকানে কথা হয় ছোট্ট শিক্ষার্থী সাইবা নূরের সঙ্গে। সে বলে, ‘মার্কেট থেকে পোশাক কিনলে অন্যের পোশাকের সঙ্গে মিলে যাবে। তাই নিজের পছন্দ আর চাহিদামতো পোশাক তৈরি করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত