Ajker Patrika

সমিতিতে রাখা আমানত ফেরত পেতে হয়রানি, উদ্বেগ

মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ এপ্রিল ২০২২, ১১: ২৬
Thumbnail image

নওগাঁর মান্দায় ‘মটগাড়ী আদর্শ কৃষি সমবায় সমিতি লিমিটেড’ নামের একটি সংস্থায় জমা করা টাকা ফেরত পাচ্ছেন না সদস্যরা। টাকা ফেরতের কথা বলে দিনের পর দিন তাঁদের হয়রানি করা হচ্ছে। এতে আমানতের টাকা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন ওই সমবায় সমিতির তিন শতাধিক সদস্য। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা সমবায় কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালে ‘মটগাড়ী কেয়ার ফসল’ নামে একটি সমবায় সমিতির যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে এ নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘মটগাড়ী দুগ্ধ উৎপাদন সমবায় সমিতি লিমিটেড’। একই সদস্য দিয়ে ২০১৭ সালে এ নামও পরিবর্তন করা হয়। পরিচালনা কমিটি ও সদস্যদের অনুমতি ছাড়াই এ সমিতির নতুন নামকরণ করা হয় ‘মটগাড়ী আদর্শ কৃষি সমবায় সমিতি লিমিটেড’।

নিয়ম বহির্ভূতভাবে একই সদস্য দিয়ে দফায় দফায় নাম পরিবর্তন ও উপজেলা সমবায় দপ্তর থেকে রেজিস্ট্রেশন করিয়ে নেন সমিতির সভাপতির পদে থাকা হামিদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন। বর্তমানে ওই সমিতির সদস্য সংখ্যা ৩২০ জন। ওই সব সদস্যরা দিনের পর দিন ঘুরেও ফেরত পাচ্ছেন না আমানতের টাকা।

সমিতির সদস্য বিলকিস বানু বলেন, সমিতিতে তাঁর আমানত রয়েছে ৮০ হাজার টাকা। এ টাকা ফেরত পেতে সমিতির কার্যালয়ে এক বছর ধরে ঘুরছেন তিনি। আজকাল বলে শুধু আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে কিন্তু এখন পর্যন্ত টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি।

সমিতির আরেক সদস্য আমজাদ হোসেন বলেন, সমিতিতে তাঁর জমা করা ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ফেরত পেতে হয়রানি করা হচ্ছে। টাকা ফেরতের নামে শুধু টালবাহানাই করা হচ্ছে। জমা করা টাকা ফেরত পাবেন কিনা এ নিয়েও উদ্বিগ্ন তিনি।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মকবুল হোসেন বলেন, ওই সমিতিতে সদস্যদের আমানত অন্তত ৩ কোটি টাকা। এর কোনো সঠিক হিসাব দেন না সমিতির সভাপতি হামিদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন। পরিচালনা কমিটি ও ঋণ কমিটির অনুমোদন ছাড়াই বিভিন্ন ব্যক্তিকে অধিক মুনাফায় ঋণ দেন। সমিতির সদস্যদের টাকা ভিন্ন পথে খাঁটিয়ে তাঁরা লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। আর বিভিন্ন অজুহাতে সদস্যদের টাকা আটকিয়ে রাখা হচ্ছে। নির্বাচনের মাধ্যমে সমিতির নতুন কমিটি গঠনেরও দাবি জানান তিনি।

মটগাড়ী আদর্শ কৃষি সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি হামিদুর রহমান এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, করোনার সময়ে সদস্যদের মুনাফা ও ঋণ আদায় বন্ধ ছিল। বর্তমানে কিছু কিছু সদস্যদের আমানত ফেরত দেওয়া হচ্ছে। এখানে কোনো অনিয়ম হয়নি।

উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আখতার হোসেন বলেন, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছেন তিনি। তদন্ত করে কোনো অনিয়ম পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, ওই সমিতিতে কোনো অনিয়ম হলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত