Ajker Patrika

স্কুলের মাটি নিলেন সাবেক বন কর্মকর্তা

ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ জুন ২০২২, ১৩: ০৯
স্কুলের মাটি নিলেন সাবেক বন কর্মকর্তা

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার দাঁতমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিটির মাটি কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাবেক এক বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান দুই প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে দাঁতমারা বনবিটের সাবেক বিট কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউনুচ এ মাটি কেটে নিয়ে যান।

সরেজমিন দেখা যায়, বিদ্যালয়ের পুরোনো ভবনের ভিটি থেকে প্রায় তিন ফুট গর্ত করে অন্তত ৩০ গাড়ি মাটি কেটে নিয়ে গেছেন তিনি। স্থানীয় জনতার প্রতিরোধে সম্প্রতি মাটি কাটা বন্ধ হলেও এখনো তাঁর বিরুদ্ধে আইনি কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে একাধিকবার জানানো হয়েছে। 
ইউএনও তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উল্টো প্রধান শিক্ষক আঁতাত করে ইউনুচকে বাঁচাতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে জিডি করার পাঁয়তারা করছেন।

এদিকে মাটি কাটার বিষয়ে জেলা প্রশাসক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও পরিবেশ অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বিদ্যালয়ের এসএমসির সাবেক সদস্য আবু মুছা। এর আগে তিনি মৌখিকভাবে সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছিলেন। কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিলেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় সর্বশেষ গত রোববার তিনি বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন।

অভিযোগকারী আবু মুছা বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আইনি ব্যবস্থার জন্য উপজেলা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে সব ধরনের তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করার পরও তাঁরা কোনো ব্যবস্থা নেননি। শোনা যাচ্ছে ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ইউনুচকে বাদ দিয়ে অজ্ঞাতদের নামে জিডি করার চেষ্টা চালাচ্ছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।’

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিদ্যালয়ের পুরোনো ভবন ভাঙার জন্য সম্প্রতি দরপত্র দেওয়া হয়। মেরাজ ট্রেডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান ভবনটি ভাঙার কার্যাদেশ পায়। নির্ধারিত সময়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সরঞ্জামাদি নিয়ে আসে। এরপর সাবেক ও বর্তমান দুই প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে মোহাম্মদ ইউনুচ এসব মাটি কেটে নিয়ে যান।

অভিযুক্ত সাবেক বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউনুচ বলেন, ‘সাবেক প্রধান শিক্ষক আবু তালেবের মধ্যস্থতায় এসব মাটি কেটে নিয়ে গেছেন তিনি।’ 
তবে বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আবু তালেব এবং বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রহিমা বেগম বিষয়টি অবগত নন বলে জানান।

শিক্ষক রহিমা বেগম বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।’

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্ত করে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কুয়েটে ক্লাস বর্জন নিয়ে শিক্ষক সমিতিতে মতবিরোধ, এক শিক্ষকের পদত্যাগ

এনবিআর বিলুপ্তির জেরে প্রায় অচল দেশের রাজস্ব কর্মকাণ্ড

দুটি নোবেলের গৌরব বোধ করতে পারে চবি: প্রধান উপদেষ্টা

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রশ্নে যে প্রতিক্রিয়া জানাল যুক্তরাষ্ট্র

২ ম্যাচ খেলেই মোস্তাফিজ কীভাবে ৬ কোটি রুপি পাবেন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত