সনি আজাদ, চারঘাট
পাথর-বালু যত্রতত্র ফেলে রাখা হয়ছে। এতে উড়ছে বালু ও ধূলিকণা। কোথাও এক থেকে দুই ফুট গভীর করে শেড তৈরি করা হয়েছে। এক লেন ধরে থেমে থেমে চলছে যানবাহন। এ চিত্র রাজশাহীর বানেশ্বর থেকে পাবনার ঈশ্বরদী পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়কের চারঘাট উপজেলার প্রায় ২০ কিলোমিটারজুড়ে।
তীব্র গরম ও দাবদাহের মধ্যে সড়কে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন যানবাহনের যাত্রী ও পথচারীরা। এর মধ্যেই সড়কে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। গত এক মাসে প্রাণ হারিয়েছে দুই ব্যক্তি, আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক।
দুর্ভোগ থেকে রেহাই পেতে চারঘাটের নাগরিক কমিটির সদস্যরা রাজশাহী সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) কর্মকর্তাদের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লিখিত আবেদন জানিয়েছেন। সওজ কর্মকর্তারা আশ্বাস দিচ্ছেন কাজ দ্রুত শেষ হবে। অথচ তা না করে সময় বাড়ানোর জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানানো হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ রাজশাহী সূত্রে জানা যায়, ৫৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর থেকে চারঘাট-বাঘা-নাটোরের লালপুর হয়ে পাবনার ঈশ্বরদী পর্যন্ত এই সড়কের দৈর্ঘ্য ৫৪ কিলোমিটার। বর্তমানে সড়কটি রয়েছে ১৮ ফুট চওড়া। নতুন সড়ক হবে ৩৪ ফুট চওড়া। এ সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ শেষ হওয়ার কথা চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর। মেয়াদ শেষ হতে ৭ মাস বাকি; অথচ কাজ সম্পন্ন হয়েছে মাত্র ৩৫ শতাংশ। সাতটি প্যাকেজে সাতজন ঠিকাদার এই সড়কের কাজ বাস্তবায়ন করছে।
এ অবস্থায় চারঘাটসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি উপজেলার হাজারো মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। কাজ চলমান থাকায় ধুলাবালিতে ধূসর হয়ে থাকে সড়কটি। এতে বিপাকে পড়ছে স্থানীয়রা।
সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি হচ্ছে ওই মহাসড়কের চারঘাটের ২০ কিলোমিটার অংশে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সড়কের পিচ-পাথর তুলে ফেলা হয়েছে। নতুন করে পাথর ও বালু ফেলা হয়েছে। কিছু অংশ রোলার করে ফেলা রেখেছে দীর্ঘদিন। এতে সড়কে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে ছোট-বড় পাথর। যানবাহন চলার সময় পুরো সড়ক ধুলায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে।
সড়ক দিয়ে চলাচলকারী মোটরসাইকেলচালক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘ব্যবসার কাজে আমাকে প্রতিদিন ঈশ্বরদী পর্যন্ত যেতে হয়। কিন্তু সড়কের সংস্কারকাজ চলায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়কটিতে যানবাহন চললে এত বেশি পরিমাণ ধুলা ওড়ে যে, গাড়ি চালানোর সময় সামনে কিছু দেখা যায় না। সড়কে পানি দেওয়ার কথা থাকলেও ঠিকমতো তা দেওয়া হয় না।’
স্থানীয় নাগরিক কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাদশা বলেন, ‘আমরা সড়ক ও জনপথ বিভাগকে বারবার বলছি আপনারা সড়কের কাজ সময়মতো শেষ করুন। অথচ শুরুতে গতি থাকলেও এখন কাজ চলছে ধীরে। সড়কের বাঁকগুলোও সোজা করা হয়নি। এ অবস্থায় প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা।’
কাজ বাস্তবায়নকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাসুদ হাইটেক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের হিসাবরক্ষক হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘কাজে ধীরগতি নেই। আমরা নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছি, যাতে জনগণকে দীর্ঘ সময় ভোগান্তি পোহাতে না হয়। ধুলার হাত থেকে সাধারণ মানুষকে যথাসম্ভব রেহাই দিতে আমরা প্রতিদিন বেশ কয়েকবার রাস্তায় পানি দিচ্ছি।’
রাজশাহী সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শাহ মো. আসিফ বলেন, স্থানীয় জনগণ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে, এটা সঠিক। সড়কের কাজ শেষ করার মেয়াদ ছিল আগামী ডিসেম্বরে। তবে মাঝখানে কিছুটা সময় পাথরসংকটে কাজে ধীরগতি ছিল। এখন পর্যন্ত কাজ হয়েছে ৩৫ শতাংশ। এ জন্য নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হবে না। তবে জমি অধিগ্রহণের জন্য বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। এতে কাজ শেষের মেয়াদও বাড়বে।
পাথর-বালু যত্রতত্র ফেলে রাখা হয়ছে। এতে উড়ছে বালু ও ধূলিকণা। কোথাও এক থেকে দুই ফুট গভীর করে শেড তৈরি করা হয়েছে। এক লেন ধরে থেমে থেমে চলছে যানবাহন। এ চিত্র রাজশাহীর বানেশ্বর থেকে পাবনার ঈশ্বরদী পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়কের চারঘাট উপজেলার প্রায় ২০ কিলোমিটারজুড়ে।
তীব্র গরম ও দাবদাহের মধ্যে সড়কে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন যানবাহনের যাত্রী ও পথচারীরা। এর মধ্যেই সড়কে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। গত এক মাসে প্রাণ হারিয়েছে দুই ব্যক্তি, আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক।
দুর্ভোগ থেকে রেহাই পেতে চারঘাটের নাগরিক কমিটির সদস্যরা রাজশাহী সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) কর্মকর্তাদের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লিখিত আবেদন জানিয়েছেন। সওজ কর্মকর্তারা আশ্বাস দিচ্ছেন কাজ দ্রুত শেষ হবে। অথচ তা না করে সময় বাড়ানোর জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানানো হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ রাজশাহী সূত্রে জানা যায়, ৫৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর থেকে চারঘাট-বাঘা-নাটোরের লালপুর হয়ে পাবনার ঈশ্বরদী পর্যন্ত এই সড়কের দৈর্ঘ্য ৫৪ কিলোমিটার। বর্তমানে সড়কটি রয়েছে ১৮ ফুট চওড়া। নতুন সড়ক হবে ৩৪ ফুট চওড়া। এ সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ শেষ হওয়ার কথা চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর। মেয়াদ শেষ হতে ৭ মাস বাকি; অথচ কাজ সম্পন্ন হয়েছে মাত্র ৩৫ শতাংশ। সাতটি প্যাকেজে সাতজন ঠিকাদার এই সড়কের কাজ বাস্তবায়ন করছে।
এ অবস্থায় চারঘাটসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি উপজেলার হাজারো মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। কাজ চলমান থাকায় ধুলাবালিতে ধূসর হয়ে থাকে সড়কটি। এতে বিপাকে পড়ছে স্থানীয়রা।
সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি হচ্ছে ওই মহাসড়কের চারঘাটের ২০ কিলোমিটার অংশে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সড়কের পিচ-পাথর তুলে ফেলা হয়েছে। নতুন করে পাথর ও বালু ফেলা হয়েছে। কিছু অংশ রোলার করে ফেলা রেখেছে দীর্ঘদিন। এতে সড়কে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে ছোট-বড় পাথর। যানবাহন চলার সময় পুরো সড়ক ধুলায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে।
সড়ক দিয়ে চলাচলকারী মোটরসাইকেলচালক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘ব্যবসার কাজে আমাকে প্রতিদিন ঈশ্বরদী পর্যন্ত যেতে হয়। কিন্তু সড়কের সংস্কারকাজ চলায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়কটিতে যানবাহন চললে এত বেশি পরিমাণ ধুলা ওড়ে যে, গাড়ি চালানোর সময় সামনে কিছু দেখা যায় না। সড়কে পানি দেওয়ার কথা থাকলেও ঠিকমতো তা দেওয়া হয় না।’
স্থানীয় নাগরিক কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাদশা বলেন, ‘আমরা সড়ক ও জনপথ বিভাগকে বারবার বলছি আপনারা সড়কের কাজ সময়মতো শেষ করুন। অথচ শুরুতে গতি থাকলেও এখন কাজ চলছে ধীরে। সড়কের বাঁকগুলোও সোজা করা হয়নি। এ অবস্থায় প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা।’
কাজ বাস্তবায়নকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাসুদ হাইটেক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের হিসাবরক্ষক হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘কাজে ধীরগতি নেই। আমরা নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছি, যাতে জনগণকে দীর্ঘ সময় ভোগান্তি পোহাতে না হয়। ধুলার হাত থেকে সাধারণ মানুষকে যথাসম্ভব রেহাই দিতে আমরা প্রতিদিন বেশ কয়েকবার রাস্তায় পানি দিচ্ছি।’
রাজশাহী সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শাহ মো. আসিফ বলেন, স্থানীয় জনগণ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে, এটা সঠিক। সড়কের কাজ শেষ করার মেয়াদ ছিল আগামী ডিসেম্বরে। তবে মাঝখানে কিছুটা সময় পাথরসংকটে কাজে ধীরগতি ছিল। এখন পর্যন্ত কাজ হয়েছে ৩৫ শতাংশ। এ জন্য নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হবে না। তবে জমি অধিগ্রহণের জন্য বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। এতে কাজ শেষের মেয়াদও বাড়বে।
সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে বিদেশে’ বইয়ের হরফুন মৌলা বা সকল কাজের কাজী আবদুর রহমানের বলা একটি বাক্য—‘ইনহাস্ত ওয়াতানাম’—‘এই আমার জন্মভূমি’। সে কথা বলার সময় আফগানি আবদুর রহমানের চোখেমুখে যে অম্লান দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছিল, সে কথা দিব্যি অনুভব করে নেওয়া যায়...
১২ ঘণ্টা আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৮ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪