বাঘারপাড়া প্রতিনিধি
যশোরের বাঘারপাড়ার খানপুরে স্বেচ্ছাশ্রমে চিত্রা নদী পারাপারে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছেন দুই তীরের গ্রামবাসী। একটি পাকা সেতু না থাকায় প্রতিবছরই এভাবে সাঁকো তৈরি করে দুই গ্রামের অন্তত চার হাজার মানুষকে যাতায়াত করতে হয়। এখান থেকে দুই কিলোমিটার দূরে একটি পাকা সেতু রয়েছে। কিন্তু তা বহু দূরে থাকায় গ্রাম দুটির মানুষের কোনো উপকারে আসছে না। আর বহু বছর ধরে ধরনা দিয়েও সরকারি বরাদ্দে কোনো সেতু মেলেনি। ফলে বাধ্য হয়ে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেই তাঁদের চিত্রা পারাপার চলছে বছরের পর বছর।
স্থানীয়দের দাবি, প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় সেতু নির্মাণ করে দেওয়ার আশ্বাস মিললেও আজও একটি সেতু মেলেনি।
সম্প্রতি খানপুরে দেড় লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগে অস্থায়ী সেতু নির্মাণ করেছেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। চলাচলের সুবিধার্থে খানপুর সংলগ্ন চিত্রা নদীর ওপর দিয়ে এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে এর নির্মাণকাজ শেষ হয়। ওই এলাকার মানুষ, তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বাজার কমিটির উদ্যোগে গ্রামবাসীর চাঁদার টাকায় সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, চিত্রা নদীর দুই তীরে খানপুর ও শালিখা গ্রাম। খানপুর গ্রাম বাঘারপাড়া উপজেলার মধ্যে ও শালিখা মাগুরার শালিখা উপজেলার অন্তর্গত গ্রাম। এই দুই গ্রামে প্রায় ৪ হাজার লোকের বসবাস। প্রতিদিনই দুই পারের বাসিন্দারাসহ শিক্ষার্থীদের চলাচলের সুবিধার্থে এই নদী পারাপারের জন্য বাঁশের সাঁকো বানানো হয়। তবে বাঁশের সাঁকো বেশি দিন স্থায়ী নয়।
অন্য দিকে সাঁতার না জানা শিক্ষার্থীদের নিয়ে আশঙ্কায় থাকেন অভিভাবক ও শিক্ষকেরা। এমন দুর্দশা লাঘবে একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করলেও মেলেনি সেতু। তাই এই দুর্ভোগ লাঘবে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে ইট, বালু, রড, সিমেন্ট দিয়ে স্থায়ীভাবে সেতু নির্মাণে। পরে তাঁদের এ উদ্যোগে সাধুবাদ জানিয়ে এগিয়ে আসেন ওই এলাকার তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও শিক্ষকেরা।
খানপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শিমুল ইসলাম খান ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সেলিম হোসেন বলেন, প্রতিদিনই চিন্তা হয় ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে শিক্ষার্থীদের পারাপার নিয়ে। তাই এলাকাবাসীর এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে আমরাও তাদের কাজে এগিয়ে যায়। কিন্তু বাঘারপাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাজে বাঁধে আসে। ফলে হতাশ হয়ে পড়েন এলাকাবাসী।
বাজার কমিটির সভাপতি অশোক বিশ্বাস জানান, সপ্তাহে শুক্র ও সোমবার দুই দিন খানপুর বাজারে হাট বসে। এই দু’দিনে নদীর উত্তরের শালিখা থেকে বিভিন্ন গ্রাম থেকে কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে আসেন এ হাটে। এ ছাড়া প্রতিদিনই বিকেলে এখানে হাট বসে।
বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক হারুন আর রসিদ জানান, প্রশাসনের বাঁধের কারণে স্থায়ী সেতুর জায়গায় আবারও এলাকাবাসীর থেকে চাঁদা তুলে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে অস্থায়ী সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এতে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়েছে। দীর্ঘদিন পর সেতু নির্মাণ করায় স্বস্তিতে চলাচল করছে এলাকাবাসী।
স্থায়ী সেতু নির্মাণে বাঁধের কারণ জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া আফরোজ জানান, সড়ক ও সেতু বিভাগ থেকে কোনো অনুমতি না থাকায় কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান জানান, সেতু নির্মাণের বিষয়ে খানপুর এলাকা থেকে কোনো আবেদন পাওয়া যায়নি। অপরিকল্পিতভাবে সেতু নির্মাণ করার পর কোনো ক্ষয়ক্ষতি হলে সম্পূর্ণ দায় স্থানীয় সরকারের ওপর পড়বে। তাই পাকা সেতু নির্মাণকাজ বন্ধ করা হয়েছিল। তবে আবেদন পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যশোরের বাঘারপাড়ার খানপুরে স্বেচ্ছাশ্রমে চিত্রা নদী পারাপারে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছেন দুই তীরের গ্রামবাসী। একটি পাকা সেতু না থাকায় প্রতিবছরই এভাবে সাঁকো তৈরি করে দুই গ্রামের অন্তত চার হাজার মানুষকে যাতায়াত করতে হয়। এখান থেকে দুই কিলোমিটার দূরে একটি পাকা সেতু রয়েছে। কিন্তু তা বহু দূরে থাকায় গ্রাম দুটির মানুষের কোনো উপকারে আসছে না। আর বহু বছর ধরে ধরনা দিয়েও সরকারি বরাদ্দে কোনো সেতু মেলেনি। ফলে বাধ্য হয়ে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেই তাঁদের চিত্রা পারাপার চলছে বছরের পর বছর।
স্থানীয়দের দাবি, প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় সেতু নির্মাণ করে দেওয়ার আশ্বাস মিললেও আজও একটি সেতু মেলেনি।
সম্প্রতি খানপুরে দেড় লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগে অস্থায়ী সেতু নির্মাণ করেছেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। চলাচলের সুবিধার্থে খানপুর সংলগ্ন চিত্রা নদীর ওপর দিয়ে এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে এর নির্মাণকাজ শেষ হয়। ওই এলাকার মানুষ, তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বাজার কমিটির উদ্যোগে গ্রামবাসীর চাঁদার টাকায় সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, চিত্রা নদীর দুই তীরে খানপুর ও শালিখা গ্রাম। খানপুর গ্রাম বাঘারপাড়া উপজেলার মধ্যে ও শালিখা মাগুরার শালিখা উপজেলার অন্তর্গত গ্রাম। এই দুই গ্রামে প্রায় ৪ হাজার লোকের বসবাস। প্রতিদিনই দুই পারের বাসিন্দারাসহ শিক্ষার্থীদের চলাচলের সুবিধার্থে এই নদী পারাপারের জন্য বাঁশের সাঁকো বানানো হয়। তবে বাঁশের সাঁকো বেশি দিন স্থায়ী নয়।
অন্য দিকে সাঁতার না জানা শিক্ষার্থীদের নিয়ে আশঙ্কায় থাকেন অভিভাবক ও শিক্ষকেরা। এমন দুর্দশা লাঘবে একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করলেও মেলেনি সেতু। তাই এই দুর্ভোগ লাঘবে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে ইট, বালু, রড, সিমেন্ট দিয়ে স্থায়ীভাবে সেতু নির্মাণে। পরে তাঁদের এ উদ্যোগে সাধুবাদ জানিয়ে এগিয়ে আসেন ওই এলাকার তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও শিক্ষকেরা।
খানপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শিমুল ইসলাম খান ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সেলিম হোসেন বলেন, প্রতিদিনই চিন্তা হয় ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে শিক্ষার্থীদের পারাপার নিয়ে। তাই এলাকাবাসীর এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে আমরাও তাদের কাজে এগিয়ে যায়। কিন্তু বাঘারপাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাজে বাঁধে আসে। ফলে হতাশ হয়ে পড়েন এলাকাবাসী।
বাজার কমিটির সভাপতি অশোক বিশ্বাস জানান, সপ্তাহে শুক্র ও সোমবার দুই দিন খানপুর বাজারে হাট বসে। এই দু’দিনে নদীর উত্তরের শালিখা থেকে বিভিন্ন গ্রাম থেকে কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে আসেন এ হাটে। এ ছাড়া প্রতিদিনই বিকেলে এখানে হাট বসে।
বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক হারুন আর রসিদ জানান, প্রশাসনের বাঁধের কারণে স্থায়ী সেতুর জায়গায় আবারও এলাকাবাসীর থেকে চাঁদা তুলে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে অস্থায়ী সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এতে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়েছে। দীর্ঘদিন পর সেতু নির্মাণ করায় স্বস্তিতে চলাচল করছে এলাকাবাসী।
স্থায়ী সেতু নির্মাণে বাঁধের কারণ জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া আফরোজ জানান, সড়ক ও সেতু বিভাগ থেকে কোনো অনুমতি না থাকায় কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান জানান, সেতু নির্মাণের বিষয়ে খানপুর এলাকা থেকে কোনো আবেদন পাওয়া যায়নি। অপরিকল্পিতভাবে সেতু নির্মাণ করার পর কোনো ক্ষয়ক্ষতি হলে সম্পূর্ণ দায় স্থানীয় সরকারের ওপর পড়বে। তাই পাকা সেতু নির্মাণকাজ বন্ধ করা হয়েছিল। তবে আবেদন পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪