সাবিত আল হাসান, নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জে শীতলক্ষ্যার তীরে গড়ে ওঠা বেশ কিছু সিমেন্ট কারখানার পণ্যবাহী জাহাজ দিয়ে নৌপথ সংকুচিত করাকে নদী দখল হিসেবে চিহ্নিত করেছেন পরিবেশবাদীরা। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরাসরি নদী দখলকারী হিসেবে চিহ্নিত করেনি জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এ ছাড়া জাহাজ থেকে ক্লিংকার তুলে কারখানার হপারে ফেলার সময় ছাই ও ধূলিকণা ছড়িয়ে ব্যাপক হারে বায়ুদূষণ ঘটায়। এ ধরনের দূষণ ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার অভিযোগ আছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শীতলক্ষ্যার তীরে যেসব সিমেন্ট কারখানা আছে, তার সব কটিই কোনো না কোনোভাবে নদী দখল করে রেখেছে। বিগত দিনে নদী রক্ষা কমিশনের রিপোর্টে তা উঠে এসেছে। কিন্তু বর্তমান কমিশন পুরোনো তালিকা ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে ফেলে প্রমাণ করেছে, তারা পরিপূর্ণভাবে নদী রক্ষার কাজ করছে না। এ ছাড়া বায়ুদূষণসহ অন্যান্য ইস্যুতে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে রক্ষা করতে যেসব নীতিমালা করা হচ্ছে, তা গণবিরোধী। এ ধরনের কার্যক্রম পলিসি করাপশনের (নীতিগত দুর্নীতি) শামিল।’
গত বছর শীতলক্ষ্যায় জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবে কয়েকজনের প্রাণহানির পর মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাস বলেছিলেন, ‘ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ নৌপথে শিল্পপতিরা লাইটার জাহাজগুলো যত্রতত্র নোঙর করে রাখে। ফলে যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো স্বাভাবিকভাবে চলতে পারে না। যখন-তখন দুর্ঘটনায় পতিত হয়। আমি জানি না, এই দুর্ভোগ কত দিন থাকবে। আমার দাবি থাকবে, যেসব শিল্পমালিক লাইটার জাহাজ যত্রতত্র রাখেন, তাঁদের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।’
জানা গেছে, সিমেন্ট কারখানার বায়ুদূষণ ও নদী দখলের তথ্য খুঁজতে শুরু করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)। একই সঙ্গে নদীর তীরবর্তী ভূমি দখল হয়েছে কি না, তা যাচাই করতে দ্রুত জরিপ চালাবে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন। কমিশন নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জের বেশ কয়েকটি সিমেন্ট কারখানার নদী দখলের বিষয়ে অনুসন্ধান করলেও প্রতিবেদন এখনো প্রকাশ করেনি। শীতলক্ষ্যা নদীতে বেসিন নির্মাণ না করার অভিযোগ আছে মীর সিমেন্ট ও সেভেন হর্সের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে মুন্সিগঞ্জে শাহ সিমেন্টের বিরুদ্ধে মৌখিকভাবে নদী দখলের অভিযোগ এসেছে নদী রক্ষা কমিশন ও বিআইডব্লিউটিএর কাছে।
এসব বিষয়ে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নদী দখল হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে আমরা দ্রুতই কারখানা পরিদর্শন করব। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি কারখানার বিষয়ে আমরা সার্ভে শুরু করেছি। শাহ সিমেন্ট কিছুটা নদীর ভেতর এগিয়েছে বলে নৌ-পুলিশের কাছে রিপোর্ট এসেছে। আর নদীর মাঝে জাহাজ নোঙর করে নৌপথ দখল করে রাখা স্পষ্ট নদী দখল, তবে এই বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ কাজ করে থাকে।’
নারায়ণগঞ্জ নৌ-পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিমেন্ট কারখানার জাহাজগুলোকে নির্ধারিত স্থান দেওয়া উচিত, যেখানে তারা সুশৃঙ্খলভাবে জাহাজ নোঙর করতে পারবে। আমরা মাঝেমধ্যে তাদের সরিয়ে দিই। কিন্তু কিছু সময় পর আবারও তারা আগের মতো বিশৃঙ্খলা তৈরি করে।বিআইডব্লিউটিএ থেকে ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় এবং নির্ধারিত স্থান দেওয়া হলে আশা করা যায় নদীতে শৃঙ্খলা ফিরবে।’
বিআইডব্লিউটিএর এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘মুন্সিগঞ্জে শীতলক্ষ্যাতীরের একটি সিমেন্ট কারখানার জাহাজের কাগজপত্র নিয়ে আসায় ছয় মাস কাজ দেওয়া হয়নি আমাদের এক কর্মকর্তাকে। তিনি ছয় মাস পর প্রমাণ করতে সক্ষম হন, জাহাজটি নিয়ম অমান্য করে নৌপথ বন্ধ করে রেখেছিল। কিন্তু এই ছয় মাস তাঁকে বিভিন্ন দপ্তরে দৌড়ে চাকরি বাঁচাতে হয়েছে। এসব কারণে বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জাহাজের অনিয়মের বিষয়ে কেউ কোনো পদক্ষেপ নিতে সাহস পান না।’
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দূষণ বন্ধ করতে আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত আছে। সিমেন্ট কারখানাগুলো যেন বায়ুদূষণ না করে কিংবা নদী দখলে না রাখে, সে জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিআইডব্লিউটিএর সঙ্গে আমাদের মিটিং হয়। নৌ-পুলিশ, কোস্ট গার্ড সবাইকে নিয়ে আমরা এই ধরনের অনিয়ম ঠেকাতে তৎপর।’
নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জে শীতলক্ষ্যার তীরে গড়ে ওঠা বেশ কিছু সিমেন্ট কারখানার পণ্যবাহী জাহাজ দিয়ে নৌপথ সংকুচিত করাকে নদী দখল হিসেবে চিহ্নিত করেছেন পরিবেশবাদীরা। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরাসরি নদী দখলকারী হিসেবে চিহ্নিত করেনি জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এ ছাড়া জাহাজ থেকে ক্লিংকার তুলে কারখানার হপারে ফেলার সময় ছাই ও ধূলিকণা ছড়িয়ে ব্যাপক হারে বায়ুদূষণ ঘটায়। এ ধরনের দূষণ ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার অভিযোগ আছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শীতলক্ষ্যার তীরে যেসব সিমেন্ট কারখানা আছে, তার সব কটিই কোনো না কোনোভাবে নদী দখল করে রেখেছে। বিগত দিনে নদী রক্ষা কমিশনের রিপোর্টে তা উঠে এসেছে। কিন্তু বর্তমান কমিশন পুরোনো তালিকা ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে ফেলে প্রমাণ করেছে, তারা পরিপূর্ণভাবে নদী রক্ষার কাজ করছে না। এ ছাড়া বায়ুদূষণসহ অন্যান্য ইস্যুতে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে রক্ষা করতে যেসব নীতিমালা করা হচ্ছে, তা গণবিরোধী। এ ধরনের কার্যক্রম পলিসি করাপশনের (নীতিগত দুর্নীতি) শামিল।’
গত বছর শীতলক্ষ্যায় জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবে কয়েকজনের প্রাণহানির পর মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাস বলেছিলেন, ‘ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ নৌপথে শিল্পপতিরা লাইটার জাহাজগুলো যত্রতত্র নোঙর করে রাখে। ফলে যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো স্বাভাবিকভাবে চলতে পারে না। যখন-তখন দুর্ঘটনায় পতিত হয়। আমি জানি না, এই দুর্ভোগ কত দিন থাকবে। আমার দাবি থাকবে, যেসব শিল্পমালিক লাইটার জাহাজ যত্রতত্র রাখেন, তাঁদের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।’
জানা গেছে, সিমেন্ট কারখানার বায়ুদূষণ ও নদী দখলের তথ্য খুঁজতে শুরু করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)। একই সঙ্গে নদীর তীরবর্তী ভূমি দখল হয়েছে কি না, তা যাচাই করতে দ্রুত জরিপ চালাবে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন। কমিশন নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জের বেশ কয়েকটি সিমেন্ট কারখানার নদী দখলের বিষয়ে অনুসন্ধান করলেও প্রতিবেদন এখনো প্রকাশ করেনি। শীতলক্ষ্যা নদীতে বেসিন নির্মাণ না করার অভিযোগ আছে মীর সিমেন্ট ও সেভেন হর্সের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে মুন্সিগঞ্জে শাহ সিমেন্টের বিরুদ্ধে মৌখিকভাবে নদী দখলের অভিযোগ এসেছে নদী রক্ষা কমিশন ও বিআইডব্লিউটিএর কাছে।
এসব বিষয়ে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নদী দখল হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে আমরা দ্রুতই কারখানা পরিদর্শন করব। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি কারখানার বিষয়ে আমরা সার্ভে শুরু করেছি। শাহ সিমেন্ট কিছুটা নদীর ভেতর এগিয়েছে বলে নৌ-পুলিশের কাছে রিপোর্ট এসেছে। আর নদীর মাঝে জাহাজ নোঙর করে নৌপথ দখল করে রাখা স্পষ্ট নদী দখল, তবে এই বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ কাজ করে থাকে।’
নারায়ণগঞ্জ নৌ-পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিমেন্ট কারখানার জাহাজগুলোকে নির্ধারিত স্থান দেওয়া উচিত, যেখানে তারা সুশৃঙ্খলভাবে জাহাজ নোঙর করতে পারবে। আমরা মাঝেমধ্যে তাদের সরিয়ে দিই। কিন্তু কিছু সময় পর আবারও তারা আগের মতো বিশৃঙ্খলা তৈরি করে।বিআইডব্লিউটিএ থেকে ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় এবং নির্ধারিত স্থান দেওয়া হলে আশা করা যায় নদীতে শৃঙ্খলা ফিরবে।’
বিআইডব্লিউটিএর এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘মুন্সিগঞ্জে শীতলক্ষ্যাতীরের একটি সিমেন্ট কারখানার জাহাজের কাগজপত্র নিয়ে আসায় ছয় মাস কাজ দেওয়া হয়নি আমাদের এক কর্মকর্তাকে। তিনি ছয় মাস পর প্রমাণ করতে সক্ষম হন, জাহাজটি নিয়ম অমান্য করে নৌপথ বন্ধ করে রেখেছিল। কিন্তু এই ছয় মাস তাঁকে বিভিন্ন দপ্তরে দৌড়ে চাকরি বাঁচাতে হয়েছে। এসব কারণে বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জাহাজের অনিয়মের বিষয়ে কেউ কোনো পদক্ষেপ নিতে সাহস পান না।’
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দূষণ বন্ধ করতে আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত আছে। সিমেন্ট কারখানাগুলো যেন বায়ুদূষণ না করে কিংবা নদী দখলে না রাখে, সে জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিআইডব্লিউটিএর সঙ্গে আমাদের মিটিং হয়। নৌ-পুলিশ, কোস্ট গার্ড সবাইকে নিয়ে আমরা এই ধরনের অনিয়ম ঠেকাতে তৎপর।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪