নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বছর দেড়েক আগে গাইবান্ধা থেকে ঢাকা এসে বসবাস শুরু করে মোমেনা আক্তারের পরিবার। এই দেড় বছরে মাত্র এক দিনই গরুর মাংস খেতে পেরেছে তারা। সেটাও গত কোরবানির ঈদে। সাত সদস্যের এই পরিবারের সবার পাতে মুরগির মাংস উঠেছে চার-পাঁচবার। তবে তা গত তিন মাসের মধ্যে নয়। এই সময়ে তারা মাছ এবং ডিমের স্বাদও নিতে পেরেছে কদাচিৎ।
পেশায় গৃহকর্মী মোমেনা আক্তার গতকাল শুক্রবার রামপুরা বাজারে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাইচ্চাগুলার মুখে একটু মাছ-মাংস দিতি পারিনে। রোজা খোলার পর ওরা এট্টু ভালোমন্দ খাইতি চায়। কিন্তু কেমনে কী করবো? বেগুনের কেজি চায় ১০০, ডাউল ১০৫। লেবুর শরবতও খাওয়ার উপায় নাই, ৫০ টাকার নিচে লেবু নাই।’
মোমেনার মতো দশা না হলেও শওকত ইসলামের অবস্থাও খুব ভালো নয়। আয়ের পরিমাণ মোমেনার তুলনায় অনেকটাই বেশি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার এই কর্মকর্তার। তিনিও গতকাল বাজার করতে এসেছিলেন রামপুরা বাজারে। তবে বাজার ফর্দের সবকিছু তিনি কিনতে পারেননি। আজকের পত্রিকাকে শওকত তাঁর বাজার সদাইয়ের ফর্দ দেখিয়ে বলেন, ‘প্রথম রোজা, তাই বেগুনি চাই। কিন্তু বেগুনের যা দাম, মাত্র একটাই নিতে পেরেছি। বাচ্চারা ইফতারে চিকেন ফ্রাই খেতে চেয়েছে। কাল শুনলাম মুরগির দাম কমেছে। কিন্তু বাজারে এসে বুঝলাম, শোনা কথা আসলেই সত্যি হয় না। তাই এটাও বাদ দিলাম।’
গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, রোজার প্রথম দিন এবং শুক্রবার হওয়ায় কাঁচাবাজারে ভিড় বেশি। তবে অনেকেরই মোমেনা আর শওকতের মতো অবস্থা।
আগের দিন বৃহস্পতিবার বড় কয়েকটি কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে ভোক্তা অধিদপ্তর। সেখানে চারটি কোম্পানি কথা দেয়, তারা ২০-৩০ টাকা কমিয়ে ১৯৫ টাকায় খামার পর্যায়ে মুরগি বিক্রি করবে। কাজেই ক্রেতারা আশা করেছিলেন, এই ঘোষণায় মুরগির দাম কিছুটা কমবে। গতকাল রাজধানীর মোহাম্মদপুর, রামপুরা, মেরাদিয়া ও কচুক্ষেত বাজারে ব্রয়লার মুরগি ২৫০-২৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। আগের দিনের তুলনায় তা ২০-৩০ টাকা কম।
জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা কোনো দাম নির্ধারণ করিনি। চারটি কোম্পানি তাদের মুরগির দাম কোম্পানি পর্যায়ে সর্বোচ্চ ১৯৫ টাকা নির্ধারণ করেছে। এর পুরোপুরি প্রভাব বাজারে পড়তে দু-এক দিন সময় লাগবে। তবে আজই সব জায়গায় মুরগির দাম কিছুটা কমেছে।’
শুক্রবার বাজার ঘুরে দেখা যায়, মুরগির দাম কিছুটা কমলেও ডিমের দামে কোনো পরিবর্তন নেই। ১৪৫-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ফার্মের মুরগির লাল ডিম। সবজির বাজারও চোখ রাঙাচ্ছে। বেগুন, শসা, পটোল, বরবটি, করলা, ঢ্যাঁড়স বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা কেজি দরে। লাউ প্রতিটির দাম ১০০ টাকা। গাজর, টমেটো ৬০ টাকা কেজি। পেঁপে, আলু ৩০-৪০ টাকা কেজি। ছোলার কেজি ৯০-৯৫ টাকা, মসুর ডাল দেশি ১৪০, মসুর ডাল আমদানি করা ১০৫, বেসন ১০০-১২০ টাকা। মোটা চাল (আটাশ) ৫৮ টাকা, মিনিকেট ৭৫ টাকা কেজি। খোলা সয়াবিন তেল ১৯০ টাকা আর বোতলজাত তেল ১৮৭ টাকা। গরুর মাংস কেজি ৭৫০ টাকা। চিড়া-মুড়ির কেজি ৮০ টাকা।
বছর দেড়েক আগে গাইবান্ধা থেকে ঢাকা এসে বসবাস শুরু করে মোমেনা আক্তারের পরিবার। এই দেড় বছরে মাত্র এক দিনই গরুর মাংস খেতে পেরেছে তারা। সেটাও গত কোরবানির ঈদে। সাত সদস্যের এই পরিবারের সবার পাতে মুরগির মাংস উঠেছে চার-পাঁচবার। তবে তা গত তিন মাসের মধ্যে নয়। এই সময়ে তারা মাছ এবং ডিমের স্বাদও নিতে পেরেছে কদাচিৎ।
পেশায় গৃহকর্মী মোমেনা আক্তার গতকাল শুক্রবার রামপুরা বাজারে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাইচ্চাগুলার মুখে একটু মাছ-মাংস দিতি পারিনে। রোজা খোলার পর ওরা এট্টু ভালোমন্দ খাইতি চায়। কিন্তু কেমনে কী করবো? বেগুনের কেজি চায় ১০০, ডাউল ১০৫। লেবুর শরবতও খাওয়ার উপায় নাই, ৫০ টাকার নিচে লেবু নাই।’
মোমেনার মতো দশা না হলেও শওকত ইসলামের অবস্থাও খুব ভালো নয়। আয়ের পরিমাণ মোমেনার তুলনায় অনেকটাই বেশি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার এই কর্মকর্তার। তিনিও গতকাল বাজার করতে এসেছিলেন রামপুরা বাজারে। তবে বাজার ফর্দের সবকিছু তিনি কিনতে পারেননি। আজকের পত্রিকাকে শওকত তাঁর বাজার সদাইয়ের ফর্দ দেখিয়ে বলেন, ‘প্রথম রোজা, তাই বেগুনি চাই। কিন্তু বেগুনের যা দাম, মাত্র একটাই নিতে পেরেছি। বাচ্চারা ইফতারে চিকেন ফ্রাই খেতে চেয়েছে। কাল শুনলাম মুরগির দাম কমেছে। কিন্তু বাজারে এসে বুঝলাম, শোনা কথা আসলেই সত্যি হয় না। তাই এটাও বাদ দিলাম।’
গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, রোজার প্রথম দিন এবং শুক্রবার হওয়ায় কাঁচাবাজারে ভিড় বেশি। তবে অনেকেরই মোমেনা আর শওকতের মতো অবস্থা।
আগের দিন বৃহস্পতিবার বড় কয়েকটি কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে ভোক্তা অধিদপ্তর। সেখানে চারটি কোম্পানি কথা দেয়, তারা ২০-৩০ টাকা কমিয়ে ১৯৫ টাকায় খামার পর্যায়ে মুরগি বিক্রি করবে। কাজেই ক্রেতারা আশা করেছিলেন, এই ঘোষণায় মুরগির দাম কিছুটা কমবে। গতকাল রাজধানীর মোহাম্মদপুর, রামপুরা, মেরাদিয়া ও কচুক্ষেত বাজারে ব্রয়লার মুরগি ২৫০-২৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। আগের দিনের তুলনায় তা ২০-৩০ টাকা কম।
জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা কোনো দাম নির্ধারণ করিনি। চারটি কোম্পানি তাদের মুরগির দাম কোম্পানি পর্যায়ে সর্বোচ্চ ১৯৫ টাকা নির্ধারণ করেছে। এর পুরোপুরি প্রভাব বাজারে পড়তে দু-এক দিন সময় লাগবে। তবে আজই সব জায়গায় মুরগির দাম কিছুটা কমেছে।’
শুক্রবার বাজার ঘুরে দেখা যায়, মুরগির দাম কিছুটা কমলেও ডিমের দামে কোনো পরিবর্তন নেই। ১৪৫-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ফার্মের মুরগির লাল ডিম। সবজির বাজারও চোখ রাঙাচ্ছে। বেগুন, শসা, পটোল, বরবটি, করলা, ঢ্যাঁড়স বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা কেজি দরে। লাউ প্রতিটির দাম ১০০ টাকা। গাজর, টমেটো ৬০ টাকা কেজি। পেঁপে, আলু ৩০-৪০ টাকা কেজি। ছোলার কেজি ৯০-৯৫ টাকা, মসুর ডাল দেশি ১৪০, মসুর ডাল আমদানি করা ১০৫, বেসন ১০০-১২০ টাকা। মোটা চাল (আটাশ) ৫৮ টাকা, মিনিকেট ৭৫ টাকা কেজি। খোলা সয়াবিন তেল ১৯০ টাকা আর বোতলজাত তেল ১৮৭ টাকা। গরুর মাংস কেজি ৭৫০ টাকা। চিড়া-মুড়ির কেজি ৮০ টাকা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪