কামাল হোসেন, কয়রা
খুলনার কয়রা উপজেলার নলপাড়া গ্রামের সোহরাব শেখের তিন বিঘা বসতবাড়ির পুরোটাতেই ছিল আম, কাঁঠাল, পেয়ারা, সফেদাসহ নানা জাতের ফলের গাছ। পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বছরে কয়েক হাজার টাকার ফল বিক্রি করতেন তিনি। বর্তমানে তাঁর বসতভিটায় একটি ফলের গাছও বেঁচে নেই।
লবণাক্ততার কারণে গত দুই বছরে প্রায় সব গাছ মরে বাড়িটি এখন ফাঁকা হয়ে গেছে। পুকুরের পাড়ে লাগানো দু-একটি বনজ বৃক্ষ বেঁচে থাকলেও বর্তমানে সেগুলোও মরতে শুরু করেছে। সোহরাব শেখ বলেন, দুর্যোগ আর নদীভাঙনের কারণে বাঁধ ভেঙে লবণাক্ত পানি ঢুকে এলাকার সব গাছপালা ধ্বংস করে দিয়েছে। মাটি এখনো লবণাক্ত। যে কারণে এই মুহূর্তে নতুন গাছ লাগিয়েও লাভ নেই।
এমন অবস্থা নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলার সব গ্রামে। এক সময়ের গাছপালা আর সবুজে ঢাকা এলাকা এখন বিরান হয়ে পড়ছে। প্রতি বছর বাঁধ ভেঙে এবং নদীর তীর উপচে লবণাক্ত পানি ঢুকে পড়ছে লোকালয়ে। এর ফলে মরে যাচ্ছে গাছপালা। জলোচ্ছ্বাস আর ঘূর্ণিঝড়ের ফলেও বহু গাছপালা মারা পড়ছে। নদীর ক্রমাগত ভাঙন এলাকার বনাঞ্চল নিঃশেষ করে দিচ্ছে। আর এর ভোগান্তি পোহাচ্ছে উপজেলার হাজারো মানুষ।
উপজেলার কাশিরহাটসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে বহু গাছপালা মরে যাওয়ার দৃশ্য চোখে পড়ে। এর ফলে নদীতীরবর্তী এলাকার মানুষের জীবনের ঝুঁকি অনেক বেড়ে গেছে। বনাঞ্চল ছিল বলে এই এলাকার মানুষ আগে ঘূর্ণিঝড়কে ততটা ভয় পেত না। কারণ এটাকে তারা নিরাপত্তা দেয়াল হিসাবে মনে করত।
দশহালিয়া, পূর্ব মঠবাড়ি, ঘাটাখালি, গাববুনিয়া, গাজীপাড়া গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি বছর বাঁধ ভেঙে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি, গাছপালা। সেই সঙ্গে গ্রামের মানুষ ছুটছে নিরাপদ স্থানে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব গ্রাম থেকে বহু মানুষ অন্যত্র চলে গেছে। বাঁধের পাশের বাসিন্দারা জানান, এই এলাকায় ১০-১৫ বছরে কতবার যে বাঁধ বানানো হয়েছে, তার হিসাব নেই। ভাঙন এগিয়ে আসার সঙ্গে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন বাঁধ।
স্থানীয়রা জানান, ভাঙনে জনপদ বিলীন হওয়া আর বারবার ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের কারণে বহু গাছপালা মরছে। তারা জানান, এই এলাকায় আম, জাম, কাঁঠাল, সফেদা, তাল, খেজুর, নারিকেল, তেঁতুলসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ মরে যাচ্ছে। ঘাটাখালি গ্রামে বাঁধের বাইরে বহু গাছ মরে যাওয়ার দৃশ্য চোখে পড়ে। গত বছর বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও ইয়াসের তাণ্ডবে লবণাক্ত পানির প্রভাবে গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন।
মহারাজপুর ইউনিয়নের দশহালিয়া বাঁধের কিনারে বসবাসকারী দীনবন্ধু মিস্ত্রি মরা গাছের দিকে তাকিয়ে বলেন, এক সময় এই নদীর তীরে অনেক গাছপালা ছিল। বাড়ির আশপাশে নানা জাতের ফল ও ফুলের বাগান ছিল। তখন এই এলাকার মানুষের মাঝে শান্তি ছিল। কিন্তু প্রতি বছর লবণাক্ত পরিবেশে গাছপালা মরে যাওয়ায় বসবাসের উপযোগী থাকছে না।
ঘাটাখালি গ্রামের বাসিন্দারা জানান, এই এলাকায় মৌসুমে লবণাক্ত পানি ওঠে। এর ফলে জমিতে কোনো ফসল ফলানো যাচ্ছে না, অন্যদিকে গাছও মরে যাচ্ছে। পাশেই সারি সারি মরে যাওয়া গাছপালা চোখে পড়ে। যে গাছে পাখি বাসা বাঁধত, সে গাছের মাথা শুকিয়ে পাতা ঝরে পড়ছে। কোথাও শুকনো গাছ মাটিতে শুয়ে পড়েছে।
উপজেলার সর্বদক্ষিণে সুন্দরবনঘেঁষা ইউনিয়ন দক্ষিণ বেদকাশি। ওই ইউনিয়নের আংটিহারা ও জোড়শিং গ্রামের বাসিন্দারা জানান, সিডর ও আইলার পর এলাকা আবার সবুজ বনায়নে ঢাকা পড়েছিল। মানুষ বাড়ির আঙিনায়, পুকুরের পাড় ও রাস্তার পাশে নানা জাতের ফলদ ও বনজ বৃক্ষ লাগিয়েছিল। চারদিকে ছিল অনেক গাছপালা। আম্পান আর ইয়াসের ভাঙনে লবণাক্ত পানি ঢুকে গাছগুলো মরে সাবাড় হচ্ছে। এখন মরুভূমির দশা হয়েছে এলাকায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘নির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান না থাকলেও গত কয়েক বছরে দুর্যোগ ও নদীভাঙনের কারণে এলাকায় হাজার হাজার ফলদ ও ঔষধি গাছ মরে গেছে। বাঁধ ভেঙে প্রতিবার লবণাক্ত পানি ঢুকে তা বের হয় না। মাটিতেই বসে যায়। ফলে এলাকার মাটি ধীরে ধীরে লবণাক্ত হয়ে পড়ছে। এ অবস্থায় আমরা মাটির উপরিভাগে বিশেষ পদ্ধতিতে গাছ লাগানোর পরামর্শ দিচ্ছি।’
খুলনার কয়রা উপজেলার নলপাড়া গ্রামের সোহরাব শেখের তিন বিঘা বসতবাড়ির পুরোটাতেই ছিল আম, কাঁঠাল, পেয়ারা, সফেদাসহ নানা জাতের ফলের গাছ। পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বছরে কয়েক হাজার টাকার ফল বিক্রি করতেন তিনি। বর্তমানে তাঁর বসতভিটায় একটি ফলের গাছও বেঁচে নেই।
লবণাক্ততার কারণে গত দুই বছরে প্রায় সব গাছ মরে বাড়িটি এখন ফাঁকা হয়ে গেছে। পুকুরের পাড়ে লাগানো দু-একটি বনজ বৃক্ষ বেঁচে থাকলেও বর্তমানে সেগুলোও মরতে শুরু করেছে। সোহরাব শেখ বলেন, দুর্যোগ আর নদীভাঙনের কারণে বাঁধ ভেঙে লবণাক্ত পানি ঢুকে এলাকার সব গাছপালা ধ্বংস করে দিয়েছে। মাটি এখনো লবণাক্ত। যে কারণে এই মুহূর্তে নতুন গাছ লাগিয়েও লাভ নেই।
এমন অবস্থা নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলার সব গ্রামে। এক সময়ের গাছপালা আর সবুজে ঢাকা এলাকা এখন বিরান হয়ে পড়ছে। প্রতি বছর বাঁধ ভেঙে এবং নদীর তীর উপচে লবণাক্ত পানি ঢুকে পড়ছে লোকালয়ে। এর ফলে মরে যাচ্ছে গাছপালা। জলোচ্ছ্বাস আর ঘূর্ণিঝড়ের ফলেও বহু গাছপালা মারা পড়ছে। নদীর ক্রমাগত ভাঙন এলাকার বনাঞ্চল নিঃশেষ করে দিচ্ছে। আর এর ভোগান্তি পোহাচ্ছে উপজেলার হাজারো মানুষ।
উপজেলার কাশিরহাটসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে বহু গাছপালা মরে যাওয়ার দৃশ্য চোখে পড়ে। এর ফলে নদীতীরবর্তী এলাকার মানুষের জীবনের ঝুঁকি অনেক বেড়ে গেছে। বনাঞ্চল ছিল বলে এই এলাকার মানুষ আগে ঘূর্ণিঝড়কে ততটা ভয় পেত না। কারণ এটাকে তারা নিরাপত্তা দেয়াল হিসাবে মনে করত।
দশহালিয়া, পূর্ব মঠবাড়ি, ঘাটাখালি, গাববুনিয়া, গাজীপাড়া গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি বছর বাঁধ ভেঙে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি, গাছপালা। সেই সঙ্গে গ্রামের মানুষ ছুটছে নিরাপদ স্থানে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব গ্রাম থেকে বহু মানুষ অন্যত্র চলে গেছে। বাঁধের পাশের বাসিন্দারা জানান, এই এলাকায় ১০-১৫ বছরে কতবার যে বাঁধ বানানো হয়েছে, তার হিসাব নেই। ভাঙন এগিয়ে আসার সঙ্গে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন বাঁধ।
স্থানীয়রা জানান, ভাঙনে জনপদ বিলীন হওয়া আর বারবার ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের কারণে বহু গাছপালা মরছে। তারা জানান, এই এলাকায় আম, জাম, কাঁঠাল, সফেদা, তাল, খেজুর, নারিকেল, তেঁতুলসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ মরে যাচ্ছে। ঘাটাখালি গ্রামে বাঁধের বাইরে বহু গাছ মরে যাওয়ার দৃশ্য চোখে পড়ে। গত বছর বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও ইয়াসের তাণ্ডবে লবণাক্ত পানির প্রভাবে গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন।
মহারাজপুর ইউনিয়নের দশহালিয়া বাঁধের কিনারে বসবাসকারী দীনবন্ধু মিস্ত্রি মরা গাছের দিকে তাকিয়ে বলেন, এক সময় এই নদীর তীরে অনেক গাছপালা ছিল। বাড়ির আশপাশে নানা জাতের ফল ও ফুলের বাগান ছিল। তখন এই এলাকার মানুষের মাঝে শান্তি ছিল। কিন্তু প্রতি বছর লবণাক্ত পরিবেশে গাছপালা মরে যাওয়ায় বসবাসের উপযোগী থাকছে না।
ঘাটাখালি গ্রামের বাসিন্দারা জানান, এই এলাকায় মৌসুমে লবণাক্ত পানি ওঠে। এর ফলে জমিতে কোনো ফসল ফলানো যাচ্ছে না, অন্যদিকে গাছও মরে যাচ্ছে। পাশেই সারি সারি মরে যাওয়া গাছপালা চোখে পড়ে। যে গাছে পাখি বাসা বাঁধত, সে গাছের মাথা শুকিয়ে পাতা ঝরে পড়ছে। কোথাও শুকনো গাছ মাটিতে শুয়ে পড়েছে।
উপজেলার সর্বদক্ষিণে সুন্দরবনঘেঁষা ইউনিয়ন দক্ষিণ বেদকাশি। ওই ইউনিয়নের আংটিহারা ও জোড়শিং গ্রামের বাসিন্দারা জানান, সিডর ও আইলার পর এলাকা আবার সবুজ বনায়নে ঢাকা পড়েছিল। মানুষ বাড়ির আঙিনায়, পুকুরের পাড় ও রাস্তার পাশে নানা জাতের ফলদ ও বনজ বৃক্ষ লাগিয়েছিল। চারদিকে ছিল অনেক গাছপালা। আম্পান আর ইয়াসের ভাঙনে লবণাক্ত পানি ঢুকে গাছগুলো মরে সাবাড় হচ্ছে। এখন মরুভূমির দশা হয়েছে এলাকায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘নির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান না থাকলেও গত কয়েক বছরে দুর্যোগ ও নদীভাঙনের কারণে এলাকায় হাজার হাজার ফলদ ও ঔষধি গাছ মরে গেছে। বাঁধ ভেঙে প্রতিবার লবণাক্ত পানি ঢুকে তা বের হয় না। মাটিতেই বসে যায়। ফলে এলাকার মাটি ধীরে ধীরে লবণাক্ত হয়ে পড়ছে। এ অবস্থায় আমরা মাটির উপরিভাগে বিশেষ পদ্ধতিতে গাছ লাগানোর পরামর্শ দিচ্ছি।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪