সুভাষ মুখোপাধ্যায়
কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় যুদ্ধের মধ্যেই বাংলাদেশের মুক্ত এলাকায় গিয়েছেন, প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। কবির তৈরি প্রতিবেদন তো আসলে প্রতিবেদন নয়, হৃদয়-উৎসারিত শব্দাবলি। যশোরের মনিরামপুরের মেহের আলী জল্লাদকে সামনে পেলে কেন এক কোপে দুখানা করতে চেয়েছিলেন কবি, সে কথাই জানব এখন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার দলের মেহের আলী মনিরামপুরে এক শ একজনকে খুন করেছিল। লাভ করেছিল জল্লাদ পদবি। বয়স পঁচিশ-ছাব্বিশ। আগে পেশা ছিল ডাকাতি। মুক্তিযুদ্ধ বাধলে পাকিস্তানিদের সঙ্গী হয়ে উঠল সে। রাজাকার হয়ে মুক্তিকামী মানুষকে হত্যা করতে শুরু করল।
খানপুরের শেখপাড়ার ছেলে আকরাম। পঁচিশে মার্চের পর সে যোগ দিয়েছিল মুক্তিবাহিনীতে। আকরাম ধরা পড়েছিল ছোট্ট ভুলের জন্য। এলাকায় এসে মাকে দেখার শখ হয়েছিল ওর। দুজন সঙ্গীসহ চুপিচুপি এসেছিল মায়ের কাছে। মা রান্না চড়িয়েছিলেন। ভেবেছিলেন দুমুঠো কিছু মুখে দিয়েই ওরা ফিরে যাবে। কিন্তু রাজাকাররা টের পেয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধাদের একজন পালিয়ে যায় দৌড়ে। আকরাম আর ইসমাইলকে পিছমোড়া করে বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয় মনিরামপুরের দিকে। পথে ইসমাইলকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করা হয়।
আকরামকে কী করে মারা হবে, তা ঠিক করে রাজাকাররা। তিনটি বাঁশ এনে দুটো বাঁশের খুঁটি পোঁতা হলো। আরেকটি রাখা হলো দুটি বাঁশের মাঝখানে আড়াআড়ি। পুরো কাজটি করানো হলো আকরামকে দিয়ে। হত্যাকাণ্ড দেখার জন্য বাজার থেকে লোকজন ধরে আনা হলো।
মেহের আলী জল্লাদ এগিয়ে এল। আকরাম ওর সঙ্গে কোলাকুলি করে বলল, ‘একটু দাঁড়াও, মোনাজাত করে নিই।’
মোনাজাতের পর বলল, ‘আমি তৈরি।’
গুলি করে মারা হয়নি আকরামকে। পা ওপরের দিকে বেঁধে ঝুলিয়ে হাত-পায়ের মাংসপেশি কেটে নিল মিহির আলী। তারপর মাংসের টুকরা কুকুরের দিকে ছুড়ে দিল। পেটের বাঁ দিকে বসিয়ে ডান দিকে টেনে নিয়ে যাওয়া হলো ছুরি। গলার নলি কেটে ফেলা হলো।
সুভাষ মুখোপাধ্যায় কেন এ রকম একজন জল্লাদকে হত্যা করতে চাইবেন না?
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা, ২ ডিসেম্বর, ১৯৭১
কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় যুদ্ধের মধ্যেই বাংলাদেশের মুক্ত এলাকায় গিয়েছেন, প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। কবির তৈরি প্রতিবেদন তো আসলে প্রতিবেদন নয়, হৃদয়-উৎসারিত শব্দাবলি। যশোরের মনিরামপুরের মেহের আলী জল্লাদকে সামনে পেলে কেন এক কোপে দুখানা করতে চেয়েছিলেন কবি, সে কথাই জানব এখন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার দলের মেহের আলী মনিরামপুরে এক শ একজনকে খুন করেছিল। লাভ করেছিল জল্লাদ পদবি। বয়স পঁচিশ-ছাব্বিশ। আগে পেশা ছিল ডাকাতি। মুক্তিযুদ্ধ বাধলে পাকিস্তানিদের সঙ্গী হয়ে উঠল সে। রাজাকার হয়ে মুক্তিকামী মানুষকে হত্যা করতে শুরু করল।
খানপুরের শেখপাড়ার ছেলে আকরাম। পঁচিশে মার্চের পর সে যোগ দিয়েছিল মুক্তিবাহিনীতে। আকরাম ধরা পড়েছিল ছোট্ট ভুলের জন্য। এলাকায় এসে মাকে দেখার শখ হয়েছিল ওর। দুজন সঙ্গীসহ চুপিচুপি এসেছিল মায়ের কাছে। মা রান্না চড়িয়েছিলেন। ভেবেছিলেন দুমুঠো কিছু মুখে দিয়েই ওরা ফিরে যাবে। কিন্তু রাজাকাররা টের পেয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধাদের একজন পালিয়ে যায় দৌড়ে। আকরাম আর ইসমাইলকে পিছমোড়া করে বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয় মনিরামপুরের দিকে। পথে ইসমাইলকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করা হয়।
আকরামকে কী করে মারা হবে, তা ঠিক করে রাজাকাররা। তিনটি বাঁশ এনে দুটো বাঁশের খুঁটি পোঁতা হলো। আরেকটি রাখা হলো দুটি বাঁশের মাঝখানে আড়াআড়ি। পুরো কাজটি করানো হলো আকরামকে দিয়ে। হত্যাকাণ্ড দেখার জন্য বাজার থেকে লোকজন ধরে আনা হলো।
মেহের আলী জল্লাদ এগিয়ে এল। আকরাম ওর সঙ্গে কোলাকুলি করে বলল, ‘একটু দাঁড়াও, মোনাজাত করে নিই।’
মোনাজাতের পর বলল, ‘আমি তৈরি।’
গুলি করে মারা হয়নি আকরামকে। পা ওপরের দিকে বেঁধে ঝুলিয়ে হাত-পায়ের মাংসপেশি কেটে নিল মিহির আলী। তারপর মাংসের টুকরা কুকুরের দিকে ছুড়ে দিল। পেটের বাঁ দিকে বসিয়ে ডান দিকে টেনে নিয়ে যাওয়া হলো ছুরি। গলার নলি কেটে ফেলা হলো।
সুভাষ মুখোপাধ্যায় কেন এ রকম একজন জল্লাদকে হত্যা করতে চাইবেন না?
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা, ২ ডিসেম্বর, ১৯৭১
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪