আয়নাল হোসেন, ঢাকা
দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও রাজধানীর বাজারে সেই দামে পাওয়া যাচ্ছে না খোলা চিনি। বাজার থেকে খুচরা খোলা চিনি কিনতে হলে প্রতি কেজিতে ১৩ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে ক্রেতাকে। অন্যদিকে প্যাকেটজাত চিনির দেখাই মিলছে না দোকানে।
চিনির বাজারে এ অবস্থার কারণ হিসেবে সরবরাহ-সংকটের কথা বলছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। মিলমালিকদের কথার সঙ্গে মিল নেই পাইকারি বিক্রেতাদের।
চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি প্রতি কেজি চিনির দাম পাঁচ টাকা বাড়িয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয় বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন। এতে প্রতি কেজি খোলা চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১০৭ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ১১২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্য দিয়ে গত তিন মাসে দুই দফায় কেজিপ্রতি ১৭ টাকা বাড়ল চিনির দাম। এরপরও রাজধানীর বাজারে কোথাও খোলা চিনি নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পশ্চিম রামপুরা বাজারের মেসার্স লামিয়া স্টোরে চিনি আছে কি না, জানতে চাওয়া হলে দোকানি আরাফাত হোসেন প্রতি কেজি খোলা চিনি ১২০ টাকা দাম হাঁকান। প্যাকেট চিনি চাইলে নেই বলে জানান তিনি।
খোলা চিনির দাম বেশি চাওয়ার কারণ জানতে চাইলে আরাফাত বলেন, পাইকারি বাজারে দাম বেশি হওয়ায় তাঁরাও বাড়তি দামে বিক্রি করছেন।
শুধু আরাফাত নন, বেশির ভাগ খুচরা ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, পাইকারিতে ১০৮ টাকা কেজি দরে চিনি কিনতে হচ্ছে তাঁদের। এর সঙ্গে খরচ তো রয়েছেই। ১০৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলে অনেক লোকসান গুনতে হয়। সব মিলিয়ে ১১৫ টাকায় বিক্রি করলেও লাভ থাকে না। প্যাকেট চিনির সরবরাহ নেই দুই মাস ধরে। কোনো কোনো দোকানে প্যাকেট চিনি থাকলেও লাভ বেশি হওয়ায় তা কেটে খোলা বিক্রি করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকায়, যা এক মাস আগে ছিল ১১০-১১৫ টাকা।
চিনির একাধিক পাইকারি ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মিল থেকে প্রতি কেজি চিনি ১০৫-১০৬ টাকায় কেনা হচ্ছে। বাজারে চিনির ঘাটতি রয়েছে। ঘাটতি পূরণে ভারত থেকে পরিশোধিত চিনি আমদানির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
তবে পাইকারি ব্যবসায়ীদের কথার সঙ্গে মিলমালিকদের কথার মিল পাওয়া যায়নি। পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠান দেশবন্ধু গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, কেন নির্ধারিত দামে চিনি বিক্রি হচ্ছে না, এটি মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন। তবে মিল থেকে নির্ধারিত দামেই চিনি বিক্রি হচ্ছে। তাদের প্রতিষ্ঠান প্রতি কেজি চিনি ১০২ টাকায় বিক্রি করছে।
চিনির দাম নির্ধারণ করলেই বাজার স্থিতিশীল হবে না, সরবরাহ-ব্যবস্থাও উন্নতি করা দরকার। এমনটাই মনে করছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে চিনির চাহিদা রয়েছে প্রায় ২০ লাখ টন। এর মধ্যে দেশে আখ থেকে তৈরি হয় ৩০ হাজার টন। অপরিশোধিত চিনি আমদানি হয় ২০-২২ লাখ টন। পরিশোধনে প্রসেস লস হয় ৬ দশমিক ৫ শতাংশ।
জানা গেছে, দেশে চিনির চাহিদা পূরণ করছে সিটি, মেঘনা, এস আলম, ইগলু ও দেশবন্ধু গ্রুপ। এই পাঁচ প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে চিনির বাজার।
দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও রাজধানীর বাজারে সেই দামে পাওয়া যাচ্ছে না খোলা চিনি। বাজার থেকে খুচরা খোলা চিনি কিনতে হলে প্রতি কেজিতে ১৩ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে ক্রেতাকে। অন্যদিকে প্যাকেটজাত চিনির দেখাই মিলছে না দোকানে।
চিনির বাজারে এ অবস্থার কারণ হিসেবে সরবরাহ-সংকটের কথা বলছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। মিলমালিকদের কথার সঙ্গে মিল নেই পাইকারি বিক্রেতাদের।
চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি প্রতি কেজি চিনির দাম পাঁচ টাকা বাড়িয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয় বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন। এতে প্রতি কেজি খোলা চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১০৭ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ১১২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্য দিয়ে গত তিন মাসে দুই দফায় কেজিপ্রতি ১৭ টাকা বাড়ল চিনির দাম। এরপরও রাজধানীর বাজারে কোথাও খোলা চিনি নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পশ্চিম রামপুরা বাজারের মেসার্স লামিয়া স্টোরে চিনি আছে কি না, জানতে চাওয়া হলে দোকানি আরাফাত হোসেন প্রতি কেজি খোলা চিনি ১২০ টাকা দাম হাঁকান। প্যাকেট চিনি চাইলে নেই বলে জানান তিনি।
খোলা চিনির দাম বেশি চাওয়ার কারণ জানতে চাইলে আরাফাত বলেন, পাইকারি বাজারে দাম বেশি হওয়ায় তাঁরাও বাড়তি দামে বিক্রি করছেন।
শুধু আরাফাত নন, বেশির ভাগ খুচরা ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, পাইকারিতে ১০৮ টাকা কেজি দরে চিনি কিনতে হচ্ছে তাঁদের। এর সঙ্গে খরচ তো রয়েছেই। ১০৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলে অনেক লোকসান গুনতে হয়। সব মিলিয়ে ১১৫ টাকায় বিক্রি করলেও লাভ থাকে না। প্যাকেট চিনির সরবরাহ নেই দুই মাস ধরে। কোনো কোনো দোকানে প্যাকেট চিনি থাকলেও লাভ বেশি হওয়ায় তা কেটে খোলা বিক্রি করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকায়, যা এক মাস আগে ছিল ১১০-১১৫ টাকা।
চিনির একাধিক পাইকারি ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মিল থেকে প্রতি কেজি চিনি ১০৫-১০৬ টাকায় কেনা হচ্ছে। বাজারে চিনির ঘাটতি রয়েছে। ঘাটতি পূরণে ভারত থেকে পরিশোধিত চিনি আমদানির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
তবে পাইকারি ব্যবসায়ীদের কথার সঙ্গে মিলমালিকদের কথার মিল পাওয়া যায়নি। পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠান দেশবন্ধু গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, কেন নির্ধারিত দামে চিনি বিক্রি হচ্ছে না, এটি মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন। তবে মিল থেকে নির্ধারিত দামেই চিনি বিক্রি হচ্ছে। তাদের প্রতিষ্ঠান প্রতি কেজি চিনি ১০২ টাকায় বিক্রি করছে।
চিনির দাম নির্ধারণ করলেই বাজার স্থিতিশীল হবে না, সরবরাহ-ব্যবস্থাও উন্নতি করা দরকার। এমনটাই মনে করছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে চিনির চাহিদা রয়েছে প্রায় ২০ লাখ টন। এর মধ্যে দেশে আখ থেকে তৈরি হয় ৩০ হাজার টন। অপরিশোধিত চিনি আমদানি হয় ২০-২২ লাখ টন। পরিশোধনে প্রসেস লস হয় ৬ দশমিক ৫ শতাংশ।
জানা গেছে, দেশে চিনির চাহিদা পূরণ করছে সিটি, মেঘনা, এস আলম, ইগলু ও দেশবন্ধু গ্রুপ। এই পাঁচ প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে চিনির বাজার।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৭ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৭ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৭ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫