হালুয়াঘাট প্রতিনিধি
হালুয়াঘাটে চলতি বোর মৌসুমে শ্রমিক-সংকট, শ্রমিকের উচ্চ মূল্য ও ধানের দাম কম থাকায় ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়েন প্রান্তিক কৃষকেরা। এমন পরিস্থিতিতে কৃষকের সোনার ফসল ঘরে তোলা এবং শ্রমিক-সংকট নিরসনে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
চলতি মৌসুমে কৃষি বিভাগের অধীনে ৫০ শতাংশ ভর্তুকি মূল্যে কৃষকদের মাঝে ১৬টি কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন হস্তান্তর করা হয়েছে। এর পাশাপাশি অন্য উপজেলা থেকেও ধান মাড়াইয়ের যন্ত্র এনে কৃষকদের ধান সংগ্রহ কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করা হয়েছে। এতে করে ধান কাটতে সময় এবং খরচ কম লাগায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন কৃষকেরা। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে দুশ্চিন্তা কাটছে না তাঁদের।
উপজেলা কৃষি বিভাগ ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে উপজেলায় ২০টি মেশিন দিয়ে ধান কাটা শুরু করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও কিছু মেশিন বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষকেরা ধান কাটতে নিয়ে এসেছেন। এতে একদিকে মেশিনে ধান কাটায় কম শ্রমিক লাগায় টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। অন্যদিকে শ্রমিকের মজুরিও স্বাভাবিক মাত্রায় ফিরতে শুরু করেছে।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় মোট ২২ হাজার ৫৩৫ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে পুরোদমে ধান কাটা শুরু হয়েছে। প্রতিকুল আবহাওয়া, শ্রমিক-সংকট, শ্রমিকের উচ্চ মূল্য ও ধানের দাম কম থাকায় ধান কাটা নিয়ে দোটানায় পড়েছেন কৃষকেরা।
কৃষকেরা জানান, মৌসুমের শুরুতে এক একর জমির ধান কাটতে মজুরী নিচ্ছে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। আর দৈনিন হাজিরার ভিত্তিতে কাজ করা শ্রমিকের দাম ছিল ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা পর্যন্ত। তবে ধানের উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েন কৃষক। ঠিক সেই মুহূর্তে কৃষি বিভাগের এমন সহযোগিতায় স্বস্তি ফিরেছে কৃষকদের মাঝে। হারভেস্টার মেশিনে ধান কাটা খরচ নেওয়া হচ্ছে প্রতি একর ছয় থেকে সাত হাজার টাকা করে।
এ বিষয়ে উপজেলার ধারা ইউনিয়নের চাদ্রশী গ্রামের কৃষক আলমগীর বলেন, এই মাড়াই মেশিনে ধান সংগ্রহ করতে সময় কম লাগে। এতে করে খরচও অনেকটা কমে আসে। তবে তিনি আরও বলেন, এসব কৃষি যন্ত্রপাতির সংখ্যা আরও বাড়ানোর পাশপাশি কৃষকের ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা জরুরি। কেবল এই উদ্যোগের মাধ্যমেই কৃষকের দুশ্চিন্তা কমতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।
উপজেলার নড়াইল ইউনিয়নের কুমুরিয়া গ্রামের কৃষক খালেক মিয়া বলেন, কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে ধান তো নষ্ট হচ্ছে। কি করমু ভাই আল্লাহ ভাগ্যে যা রাখছেন, তাই হবে।
আরেক কৃষক বলেন, ফসল পাকার শুরুতে পোকা ও শিলাবৃষ্টি পরে শ্রমিক-সংকট এখন মেশিন পেলেও বৃষ্টিতে ভিজে ধান নষ্ট হচ্ছে।
উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান বলেন, ‘কৃষকের দুঃখ-কষ্ট লাগবে আমরা দিনরাত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কৃষকের ধান কাটতে নিজ উপজেলা ছাড়াও বাইরে থেকে ধান কাটার মেশিন এনে ধান কাটা হচ্ছে। এর মাধ্যমে তাঁদের সময় এবং শ্রম দুটোই কমে আসবে।’
হালুয়াঘাটে চলতি বোর মৌসুমে শ্রমিক-সংকট, শ্রমিকের উচ্চ মূল্য ও ধানের দাম কম থাকায় ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়েন প্রান্তিক কৃষকেরা। এমন পরিস্থিতিতে কৃষকের সোনার ফসল ঘরে তোলা এবং শ্রমিক-সংকট নিরসনে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
চলতি মৌসুমে কৃষি বিভাগের অধীনে ৫০ শতাংশ ভর্তুকি মূল্যে কৃষকদের মাঝে ১৬টি কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন হস্তান্তর করা হয়েছে। এর পাশাপাশি অন্য উপজেলা থেকেও ধান মাড়াইয়ের যন্ত্র এনে কৃষকদের ধান সংগ্রহ কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করা হয়েছে। এতে করে ধান কাটতে সময় এবং খরচ কম লাগায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন কৃষকেরা। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে দুশ্চিন্তা কাটছে না তাঁদের।
উপজেলা কৃষি বিভাগ ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে উপজেলায় ২০টি মেশিন দিয়ে ধান কাটা শুরু করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও কিছু মেশিন বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষকেরা ধান কাটতে নিয়ে এসেছেন। এতে একদিকে মেশিনে ধান কাটায় কম শ্রমিক লাগায় টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। অন্যদিকে শ্রমিকের মজুরিও স্বাভাবিক মাত্রায় ফিরতে শুরু করেছে।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় মোট ২২ হাজার ৫৩৫ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে পুরোদমে ধান কাটা শুরু হয়েছে। প্রতিকুল আবহাওয়া, শ্রমিক-সংকট, শ্রমিকের উচ্চ মূল্য ও ধানের দাম কম থাকায় ধান কাটা নিয়ে দোটানায় পড়েছেন কৃষকেরা।
কৃষকেরা জানান, মৌসুমের শুরুতে এক একর জমির ধান কাটতে মজুরী নিচ্ছে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। আর দৈনিন হাজিরার ভিত্তিতে কাজ করা শ্রমিকের দাম ছিল ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা পর্যন্ত। তবে ধানের উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েন কৃষক। ঠিক সেই মুহূর্তে কৃষি বিভাগের এমন সহযোগিতায় স্বস্তি ফিরেছে কৃষকদের মাঝে। হারভেস্টার মেশিনে ধান কাটা খরচ নেওয়া হচ্ছে প্রতি একর ছয় থেকে সাত হাজার টাকা করে।
এ বিষয়ে উপজেলার ধারা ইউনিয়নের চাদ্রশী গ্রামের কৃষক আলমগীর বলেন, এই মাড়াই মেশিনে ধান সংগ্রহ করতে সময় কম লাগে। এতে করে খরচও অনেকটা কমে আসে। তবে তিনি আরও বলেন, এসব কৃষি যন্ত্রপাতির সংখ্যা আরও বাড়ানোর পাশপাশি কৃষকের ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা জরুরি। কেবল এই উদ্যোগের মাধ্যমেই কৃষকের দুশ্চিন্তা কমতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।
উপজেলার নড়াইল ইউনিয়নের কুমুরিয়া গ্রামের কৃষক খালেক মিয়া বলেন, কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে ধান তো নষ্ট হচ্ছে। কি করমু ভাই আল্লাহ ভাগ্যে যা রাখছেন, তাই হবে।
আরেক কৃষক বলেন, ফসল পাকার শুরুতে পোকা ও শিলাবৃষ্টি পরে শ্রমিক-সংকট এখন মেশিন পেলেও বৃষ্টিতে ভিজে ধান নষ্ট হচ্ছে।
উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান বলেন, ‘কৃষকের দুঃখ-কষ্ট লাগবে আমরা দিনরাত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কৃষকের ধান কাটতে নিজ উপজেলা ছাড়াও বাইরে থেকে ধান কাটার মেশিন এনে ধান কাটা হচ্ছে। এর মাধ্যমে তাঁদের সময় এবং শ্রম দুটোই কমে আসবে।’
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫