মো. মিজানুর রহমান রিয়াদ, নোয়াখালী
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নিঝুম দ্বীপে জোয়ারের পানিতে আমনের চারা ভেসে যাওয়ায় তৃতীয়বারের মতো চারা রোপণ করেছেন স্থানীয় কৃষকেরা। গত মাসে দুই দফায় লঘু ও নিম্নচাপের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে নিঝুম দ্বীপের বেশির ভাগ কৃষিজমি ৬ থেকে ৭ ফুট পানিতে প্লাবিত হয়। প্রতিদিন জোয়ারের পানির সঙ্গে আমনের চারা ভাসিয়ে নিয়ে যায়। তারপরও আশা নিয়ে তৃতীয়বারের মতো চারা রোপণ করেছেন নিরুপায় কৃষকেরা।
নিঝুম দ্বীপের বন্দরটিলা এলাকার সাগরপাড়ের বাসিন্দা কৃষক মো. শরীফ বলেন, এমনিতে এ দ্বীপের চারপাশে বেড়িবাঁধ না থাকায় অল্প জোয়ারে তাঁদের কৃষিজমিতে লবণ পানি ঢুকে পড়ে। এতে ফলনসহ চারার অনেক ক্ষতি হয়। তার মধ্যে গত মাসে দুই দফায় লঘু ও নিম্নচাপের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারে নিঝুম দ্বীপের কৃষিজমি ৬ থেকে ৭ ফুট পানিতে প্লাবিত হয়। প্রতিদিন জোয়ার নেমে যাওয়ার সময় তাঁদের খেত থেকে আমনের চারা ভাসিয়ে নিয়ে যেতো। এভাবে চলতি মৌসুমে দুবারই আমনের চারা জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে। লবণাক্ততার কারণে এমনিতেই ফলন কম। তারপর এখন তৃতীয়বারের মতো আবার আমনের চারা রোপণ করা হয়েছে। বাকিটা আল্লার কাছে; চারা থাকে না জোয়ারের পানিতে আবার প্লাবিত হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রতি একর জামি চাষ করতে ধানের চারা এবং শ্রমিক খরচ পড়ে প্রায় ২০ হাজার টাকা। পরে সারসহ যে খরচ হয় সেই পরিমাণ ধান পাওয়া যায় না। এর মধ্যে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বৃষ্টি না হলে মিষ্টি পানির অভাবে চারা নষ্ট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। সুবর্ণচর উপজেলার আমান উল্যাহপুর গ্রামের কৃষক মতিন বলেন, তাঁর এক একর জমিতে আমনের চারা রোপণ করা হয়েছে। গত কয়েক দিন বৃষ্টি কিছুটা কম হলেও পার্শ্ববর্তী খাল-বিলের পানি ব্যবহার করে আরও কয়েকবার জমিতে সেচ দেওয়া যাবে। তবে ভালো বৃষ্টি না হলে আমন নিয়ে বিপাকে পড়তে হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলায় চলতি মৌসুমে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। যার ফলন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৩১ হাজার ৩২৮ মেট্রিকটন (চাল)। তবে জেলার বেগমগঞ্জ, চাটখিল ও সোনাইমুড়ীতে পানির অভাবে অনাবাদি রয়েছে প্রায় ৪০ হাজার হেক্টর জমি। সময়মতো পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে।
জেলা কৃষি অধিদপ্তরের তথ্যমতে, আউশ ধান তোলা প্রায় শেষ পর্যায়ে। এরই মধ্যে জেলার কৃষকেরা আমনের চারা রোপণ শুরু করেছেন। চলতি মৌসুমে এ পর্যন্ত জেলার হাতিয়ায় ৬০ হাজার ৬৩৪ হেক্টর, সুবর্ণচরে ৩৬ হাজার ৬১০ হেক্টর, কোম্পানীগঞ্জে ২২ হাজার ৮৭১ হেক্টর, সদরে ১৩ হাজার ১ হেক্টর ও কবিরহাটে ৯ হাজার ৩ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে।
এ পর্যন্ত ৮৯ ভাগ জমি আবাদ হয়েছে, আগামী ১৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। সুবর্ণচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ বলেন, সুবর্ণচরে ইতিমধ্যে প্রায় ৩৭ হাজার হেক্টর জমিতে আমনের চারা রোপণ করা হয়েছে। ধান খেতগুলোতে যে পরিমাণ পানি আছে তাতে এক সপ্তাহ কৃষকেরা ব্যবহার করতে পারবেন। আগামী সপ্তাহের দিকে বৃষ্টি না হলেও বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। বৈদ্যুতিক পাম্পের মাধ্যমে যেন কৃষকেরা জমিতে নিরবচ্ছিন্নভাবে পানি সেচ দিতে পারে সে বিষয়ে সহযোগিতা করা হবে। জমিতে পর্যাপ্ত পানি দিতে পারলে ভালো ফলন হবে বলেও আসা করেন তিনি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. শহিদুল হক বলেন, আমন চাষে কৃষকদের সহযোগিতার জন্য উপজেলা পর্যায়ে মাঠ কর্মকর্তারা কাজ করছেন। পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা করতে পারলে আমনের ফলনের যে পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে বলে আশা করেন তিনি।
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নিঝুম দ্বীপে জোয়ারের পানিতে আমনের চারা ভেসে যাওয়ায় তৃতীয়বারের মতো চারা রোপণ করেছেন স্থানীয় কৃষকেরা। গত মাসে দুই দফায় লঘু ও নিম্নচাপের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে নিঝুম দ্বীপের বেশির ভাগ কৃষিজমি ৬ থেকে ৭ ফুট পানিতে প্লাবিত হয়। প্রতিদিন জোয়ারের পানির সঙ্গে আমনের চারা ভাসিয়ে নিয়ে যায়। তারপরও আশা নিয়ে তৃতীয়বারের মতো চারা রোপণ করেছেন নিরুপায় কৃষকেরা।
নিঝুম দ্বীপের বন্দরটিলা এলাকার সাগরপাড়ের বাসিন্দা কৃষক মো. শরীফ বলেন, এমনিতে এ দ্বীপের চারপাশে বেড়িবাঁধ না থাকায় অল্প জোয়ারে তাঁদের কৃষিজমিতে লবণ পানি ঢুকে পড়ে। এতে ফলনসহ চারার অনেক ক্ষতি হয়। তার মধ্যে গত মাসে দুই দফায় লঘু ও নিম্নচাপের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারে নিঝুম দ্বীপের কৃষিজমি ৬ থেকে ৭ ফুট পানিতে প্লাবিত হয়। প্রতিদিন জোয়ার নেমে যাওয়ার সময় তাঁদের খেত থেকে আমনের চারা ভাসিয়ে নিয়ে যেতো। এভাবে চলতি মৌসুমে দুবারই আমনের চারা জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে। লবণাক্ততার কারণে এমনিতেই ফলন কম। তারপর এখন তৃতীয়বারের মতো আবার আমনের চারা রোপণ করা হয়েছে। বাকিটা আল্লার কাছে; চারা থাকে না জোয়ারের পানিতে আবার প্লাবিত হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রতি একর জামি চাষ করতে ধানের চারা এবং শ্রমিক খরচ পড়ে প্রায় ২০ হাজার টাকা। পরে সারসহ যে খরচ হয় সেই পরিমাণ ধান পাওয়া যায় না। এর মধ্যে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বৃষ্টি না হলে মিষ্টি পানির অভাবে চারা নষ্ট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। সুবর্ণচর উপজেলার আমান উল্যাহপুর গ্রামের কৃষক মতিন বলেন, তাঁর এক একর জমিতে আমনের চারা রোপণ করা হয়েছে। গত কয়েক দিন বৃষ্টি কিছুটা কম হলেও পার্শ্ববর্তী খাল-বিলের পানি ব্যবহার করে আরও কয়েকবার জমিতে সেচ দেওয়া যাবে। তবে ভালো বৃষ্টি না হলে আমন নিয়ে বিপাকে পড়তে হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলায় চলতি মৌসুমে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। যার ফলন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৩১ হাজার ৩২৮ মেট্রিকটন (চাল)। তবে জেলার বেগমগঞ্জ, চাটখিল ও সোনাইমুড়ীতে পানির অভাবে অনাবাদি রয়েছে প্রায় ৪০ হাজার হেক্টর জমি। সময়মতো পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে।
জেলা কৃষি অধিদপ্তরের তথ্যমতে, আউশ ধান তোলা প্রায় শেষ পর্যায়ে। এরই মধ্যে জেলার কৃষকেরা আমনের চারা রোপণ শুরু করেছেন। চলতি মৌসুমে এ পর্যন্ত জেলার হাতিয়ায় ৬০ হাজার ৬৩৪ হেক্টর, সুবর্ণচরে ৩৬ হাজার ৬১০ হেক্টর, কোম্পানীগঞ্জে ২২ হাজার ৮৭১ হেক্টর, সদরে ১৩ হাজার ১ হেক্টর ও কবিরহাটে ৯ হাজার ৩ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে।
এ পর্যন্ত ৮৯ ভাগ জমি আবাদ হয়েছে, আগামী ১৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। সুবর্ণচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ বলেন, সুবর্ণচরে ইতিমধ্যে প্রায় ৩৭ হাজার হেক্টর জমিতে আমনের চারা রোপণ করা হয়েছে। ধান খেতগুলোতে যে পরিমাণ পানি আছে তাতে এক সপ্তাহ কৃষকেরা ব্যবহার করতে পারবেন। আগামী সপ্তাহের দিকে বৃষ্টি না হলেও বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। বৈদ্যুতিক পাম্পের মাধ্যমে যেন কৃষকেরা জমিতে নিরবচ্ছিন্নভাবে পানি সেচ দিতে পারে সে বিষয়ে সহযোগিতা করা হবে। জমিতে পর্যাপ্ত পানি দিতে পারলে ভালো ফলন হবে বলেও আসা করেন তিনি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. শহিদুল হক বলেন, আমন চাষে কৃষকদের সহযোগিতার জন্য উপজেলা পর্যায়ে মাঠ কর্মকর্তারা কাজ করছেন। পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা করতে পারলে আমনের ফলনের যে পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে বলে আশা করেন তিনি।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
২১ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫