Ajker Patrika

আগাম পেঁয়াজে ভালো ফলন

মিঠাপুকুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৬: ২৯
আগাম পেঁয়াজে ভালো ফলন

মিঠাপুকুরে অসময়ে পেঁয়াজ চাষ করে ১০০ কৃষকের মুখে ফুটেছে সাফল্যের হাসি। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পরীক্ষামূলকভাবে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করে আশানুরূপ ফলন পাওয়া গেছে বলে কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, গ্রীষ্মকালে পেঁয়াজ চাষ করতে কৃষকদের বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) ‘নাসিক রেড এন ৫৩’ জাতের বীজ দেওয়া হয়। তবে বীজ বপনের পরই শুরু হয় অতিবৃষ্টি। এ কারণে নতুন সম্ভাবনার শুরুতেই দেখা দেয় হতাশা।

তবুও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কৃষকেরা পিছপা হননি। বীজতলার ওপর পলিথিন দিয়ে বৃষ্টি থেকে বীজতলা রক্ষার চেষ্টা করেন তাঁরা। যথাসময়ে অঙ্কুরিত হয় চারা। এখন পেঁয়াজ উত্তোলনের সময় চলছে। অসময়ে চাষ করার পরও পেঁয়াজখেতে দেখা যাচ্ছে সাফল্যের উঁকি। অনেকেই ইতিমধ্যে পেঁয়াজ তুলে বিক্রি করেছেন।

গতকাল শনিবার উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়নের চুহড় ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পরিমল সরকারের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, তাঁর ব্লকের চাষিদের জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করে ভালো ফলন পাওয়া গেছে। অনেকেই পেঁয়াজ উঠিয়ে বাজারে বিক্রি করেছেন। প্রতি শতক জমিতে দুই থেকে আড়াই মণ পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে।

পায়রাবন্দ ইউনিয়নের কৃষক আরিফুল ইসলাম জানান, তিনি এক বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করেছেন। তাঁর খেতে উৎপাদিত পেঁয়াজ ১০টা থেকে ১৫টায় এক কেজি ওজন হচ্ছে।

আরেক কৃষক শাহ আলম জানান, তিনি পাতাসহ প্রতি মণ পেঁয়াজ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন। পাতা ছাড়া প্রতি মণ পেঁয়াজে দাম পাওয়া যাচ্ছে ১ হাজার ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাইফুল আবেদীন জানান, আমদানির ওপর নির্ভরতা কমাতে পরীক্ষামূলকভাবে ১০০ বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করা হয়েছে। এ জন্য নির্বাচিত কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিনা মূল্যে পেঁয়াজের বীজসহ নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়। ভালো ফলন হওয়ায় এই কৃষকদের মুখে সাফল্যের হাসি ফুটেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত