Ajker Patrika

কয়রায় তরমুজের ভালো ফলনের আশা চাষিদের

কয়রা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১: ৪৮
কয়রায় তরমুজের ভালো ফলনের আশা চাষিদের

চলতি মৌসুমে কয়রায় তরমুজের ভালো ফলনের আশা করছেন চাষিরা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, গত বছর খরার মধ্যেও ভালো ফলন হওয়ায় এ বছর তরমুজ চাষে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন কৃষক।

গতকাল উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, তরমুজ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। জমি প্রস্তুত শেষে নারী ও শিশুরাও তরমুজের বীজ বপনের কাজে মাঠে নেমে পড়েছে। বেশির ভাগ জমিতে বীজ বপন করা হয়ে গেছে। বীজ বপন হয়ে যাওয়া জমিগুলোতে সার, পানি ও কীটনাশক ছিটানো হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আমাদী, বাগালী ও মহারাজপুর ইউনিয়নে এ বছর ৮০০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। গত বছর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৫০ হেক্টর।

গত বছরের তুলনায় এ বছর ১৫০ হেক্টর জমিতে বেশি তরমুজ চাষ হবে আশা করছেন উপজেলা কৃষি অফিস।

রণজিৎ বিশ্বাস নামের এক তরমুজচাষি বলেন, ‘আমার দুই বিঘা জমিসহ তিন বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। ৯ হাজার ৩০০ টাকা দিয়ে পাকিজা ও সুপার ড্রাগন জাতের তরমুজের বীজ কিনে দুই বিঘায় পাকিজা এবং এক বিঘায় সুপার ড্রাগন জাতের তরমুজের বীজ বপন করেছি। কিছু বীজ থেকে চারা গজিয়েছে। দুই-একদিনের মধ্য সব বীজ থেকেই চারা গজিয়ে যাবে। এ বছর আবহাওয়া তরমুজ চাষের অনুকূল। আশা করছি বেশ ভালো ফলন হবে।

সনজয় ঢালি নামের আরেক কৃষক বলেন, ‘গত বছর সাড়ে তিন বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা লাভ হয়েছিল। এ বছর আরও বেশি লাভের আশায় নিজের ৩০ হাজার টাকাসহ সমিতি থেকে ৭০ হাজার টাকা ঋণ এবং হাজারে ৫০ টাকা হারে মাসিক সুদে ২০ হাজার টাকা নিয়ে ১১ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। কয়েক দিনের মধ্য জমিতে বপন করা বীজ থেকে তরমুজের চারা বের হবে বলে আশা করছি।’

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, এ বছর উপজেলার আমাদী, বাগালী ও মহারাজপুর ইউনিয়নে তরমুজের চাষ হচ্ছে। গত বছর কৃষকেরা তরমুজ চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছিলেন। ফলে এ বছর উপজেলায় গতবারের তুলনায় বেশি জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া শেষ পর্যন্ত অনুকূলে থাকলে এ বছরও উৎপাদন অনেক ভালো হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত