আব্দুর রব, মৌলভীবাজার
বিস্তৃত ফসলের মাঠ ডুবে আছে পানিতে। জলাবদ্ধতায় আমন চাষ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন মৌলভীবাজারের চাষিরা। ধান রোপণের সময় চলে যাচ্ছে। বেড়ে যাচ্ছে চারার বয়স। কবে ধান রোপণ করতে পারবেন—এ নিয়ে দুই উপজেলার কৃষকেরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
কাউয়াদিঘি হাওর মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলা নিয়ে বিস্তৃত। এ বছর অধিক বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে এ হাওর এখন জলে টইটম্বুর। পানি কিছুটা কমলেও দু-এক দিনের ব্যবধানে আবার বেড়ে যায়। ফলে কাউয়াদিঘি হাওরের আশপাশের গ্রাম ও চার-পাঁচ কিলোমিটার দূরত্বের গ্রামগুলোর নিচু অংশ ডুবে আছে। এই অংশই মূলত আমন চাষের জমি।
হাওরের পানি সেচের জন্য কুশিয়ারা নদীর তীরে মনু সেচ প্রকল্পের আওতায় কাশিমপুর সেচপাম্প হাউস স্থাপন করা হয়েছিল। আটটি পাম্প অনবরত সেচ দিয়ে পানি নদীতে ফেলছে। এরপরও পানি কমছে না। এর মধ্যে লোডশেডিং থাকার কারণে পাম্পগুলো ঠিকমতো সেচ দিতে পারছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিন দেখা গেছে, কাউয়াদিঘি হাওরের ওপরের অংশের সদর উপজেলার বানেশ্রী, কচুয়া, রায়পুরসহ প্রায় ১৫টি গ্রাম এবং রাজনগর উপজেলার মেদিনীমহল, বালিগাঁও, সোনাটিকি, সারমপুর, পৈতুরাসহ অন্তত ২০টি গ্রামের নিচু অংশ ডুবে থাকায় এই অঞ্চলের ৮০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন কৃষকেরা। ফলে জেলার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এ বছর জেলায় ১ লাখ ১ হাজার ৪৫৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর যেসব জায়গায় আমন চাষাবাদ হয়েছিল, সেসব জমিতে এখন দু-চার ফুট পানি। তলিয়ে গেছে রোপা আমনের বীজতলা। এ ছাড়া পানি না কমায় আমনের চারা রোপণের সময় চলে যাচ্ছে। বয়স্ক চারা রোপণ করে আশানুরূপ ফলন পাওয়া যাবে না বলে জানান স্থানীয় কৃষকেরা।
রাজনগর উপজেলার মেদিনিমহল গ্রামের কৃষক জমির মিয়া বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর পানি বেশি, আমনের চারাসহ বীজতলা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এ অবস্থায় চাষাবাদ করতে পারব কি না দুশ্চিন্তায় রয়েছি।
একই অভিযোগ করেন বালিগাঁওয়ের রাসেল মিয়া। তিনি বলেন, আমাদের এই এলাকা আমন ফসলের ওপর নির্ভরশীল। শত শত বিঘা জমি পানির নিচে। এ অবস্থায় আমন চাষ না হলে হাহাকার শুরু হয়ে যাবে।
সারমপুর গ্রামের এলাইছ মিয়া বলেন, ‘আমার ২০ বিঘা জমি প্রতিবছর চাষ করি। কিন্তু এ বছর পানি না কমায় চাষ করতে পারছি না। আমাদের ধারণা, পাম্প ঠিকমতো সেচ করছে না এবং যাঁরা মাছের জন্য বিল ইজারা নিয়েছেন, তাঁদের স্বার্থ রক্ষার জন্য ঠিকমতো পানি সেচ করা হচ্ছে না।’
রাজনগর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নকুল দাশ বলেন, পানি নিয়মিত সেচ করা হচ্ছে। অধিক বৃষ্টিপাতের ফলে পানি বাড়ছে।
হাওর রক্ষা সংগ্রাম কমিটির সম্পাদক রাজন আহমদ বলেন, ‘আমরা কৃষক ও কৃষির স্বার্থে ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি জলাবদ্ধতা নিরসন করার জন্য। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতির ফলে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে কৃষিনির্ভর মানুষের দুর্ভোগের সীমা থাকবে না।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী এম এ হান্নান খান (যান্ত্রিক বিভাগ) বলেন, পাম্প সচল থাকলেও বিদ্যুতের কারণে মাঝেমধ্যে সেচের সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া পাম্প অনবরত সচল রয়েছে, পানি কমাতে তাঁরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. সামসুদ্দিন আহমদ বলেন, পানি কমানোর বিষয়ে পাউবো কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুত পানি কমানোর লক্ষ্যে তাঁরা কাজ করছেন। কৃষক যেন আমন চাষ করতে পারেন, সেই বিষয়টি তাঁদের কাছে অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
বিস্তৃত ফসলের মাঠ ডুবে আছে পানিতে। জলাবদ্ধতায় আমন চাষ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন মৌলভীবাজারের চাষিরা। ধান রোপণের সময় চলে যাচ্ছে। বেড়ে যাচ্ছে চারার বয়স। কবে ধান রোপণ করতে পারবেন—এ নিয়ে দুই উপজেলার কৃষকেরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
কাউয়াদিঘি হাওর মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলা নিয়ে বিস্তৃত। এ বছর অধিক বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে এ হাওর এখন জলে টইটম্বুর। পানি কিছুটা কমলেও দু-এক দিনের ব্যবধানে আবার বেড়ে যায়। ফলে কাউয়াদিঘি হাওরের আশপাশের গ্রাম ও চার-পাঁচ কিলোমিটার দূরত্বের গ্রামগুলোর নিচু অংশ ডুবে আছে। এই অংশই মূলত আমন চাষের জমি।
হাওরের পানি সেচের জন্য কুশিয়ারা নদীর তীরে মনু সেচ প্রকল্পের আওতায় কাশিমপুর সেচপাম্প হাউস স্থাপন করা হয়েছিল। আটটি পাম্প অনবরত সেচ দিয়ে পানি নদীতে ফেলছে। এরপরও পানি কমছে না। এর মধ্যে লোডশেডিং থাকার কারণে পাম্পগুলো ঠিকমতো সেচ দিতে পারছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিন দেখা গেছে, কাউয়াদিঘি হাওরের ওপরের অংশের সদর উপজেলার বানেশ্রী, কচুয়া, রায়পুরসহ প্রায় ১৫টি গ্রাম এবং রাজনগর উপজেলার মেদিনীমহল, বালিগাঁও, সোনাটিকি, সারমপুর, পৈতুরাসহ অন্তত ২০টি গ্রামের নিচু অংশ ডুবে থাকায় এই অঞ্চলের ৮০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন কৃষকেরা। ফলে জেলার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এ বছর জেলায় ১ লাখ ১ হাজার ৪৫৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর যেসব জায়গায় আমন চাষাবাদ হয়েছিল, সেসব জমিতে এখন দু-চার ফুট পানি। তলিয়ে গেছে রোপা আমনের বীজতলা। এ ছাড়া পানি না কমায় আমনের চারা রোপণের সময় চলে যাচ্ছে। বয়স্ক চারা রোপণ করে আশানুরূপ ফলন পাওয়া যাবে না বলে জানান স্থানীয় কৃষকেরা।
রাজনগর উপজেলার মেদিনিমহল গ্রামের কৃষক জমির মিয়া বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর পানি বেশি, আমনের চারাসহ বীজতলা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এ অবস্থায় চাষাবাদ করতে পারব কি না দুশ্চিন্তায় রয়েছি।
একই অভিযোগ করেন বালিগাঁওয়ের রাসেল মিয়া। তিনি বলেন, আমাদের এই এলাকা আমন ফসলের ওপর নির্ভরশীল। শত শত বিঘা জমি পানির নিচে। এ অবস্থায় আমন চাষ না হলে হাহাকার শুরু হয়ে যাবে।
সারমপুর গ্রামের এলাইছ মিয়া বলেন, ‘আমার ২০ বিঘা জমি প্রতিবছর চাষ করি। কিন্তু এ বছর পানি না কমায় চাষ করতে পারছি না। আমাদের ধারণা, পাম্প ঠিকমতো সেচ করছে না এবং যাঁরা মাছের জন্য বিল ইজারা নিয়েছেন, তাঁদের স্বার্থ রক্ষার জন্য ঠিকমতো পানি সেচ করা হচ্ছে না।’
রাজনগর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নকুল দাশ বলেন, পানি নিয়মিত সেচ করা হচ্ছে। অধিক বৃষ্টিপাতের ফলে পানি বাড়ছে।
হাওর রক্ষা সংগ্রাম কমিটির সম্পাদক রাজন আহমদ বলেন, ‘আমরা কৃষক ও কৃষির স্বার্থে ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি জলাবদ্ধতা নিরসন করার জন্য। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতির ফলে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে কৃষিনির্ভর মানুষের দুর্ভোগের সীমা থাকবে না।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী এম এ হান্নান খান (যান্ত্রিক বিভাগ) বলেন, পাম্প সচল থাকলেও বিদ্যুতের কারণে মাঝেমধ্যে সেচের সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া পাম্প অনবরত সচল রয়েছে, পানি কমাতে তাঁরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. সামসুদ্দিন আহমদ বলেন, পানি কমানোর বিষয়ে পাউবো কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুত পানি কমানোর লক্ষ্যে তাঁরা কাজ করছেন। কৃষক যেন আমন চাষ করতে পারেন, সেই বিষয়টি তাঁদের কাছে অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪