Ajker Patrika

সরকারের দাম কাগজে, আলু-পেঁয়াজ বিক্রি বাড়তি দামেই

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯: ১৭
সরকারের দাম কাগজে, আলু-পেঁয়াজ বিক্রি বাড়তি দামেই

সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে কোথাও আলু-দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে না। দাম বেঁধে দেওয়ার পাঁচ দিন পর গতকাল মঙ্গলবারও রাজধানীতে খুচরায় প্রতি কেজি আলু ৪৫-৫০ টাকায় এবং দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিলেও দামে তেমন প্রভাব পড়েনি।

রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিবেদনেও দামের একই রকম চিত্র দেখা গেছে। বিক্রেতারা বলছেন, সরকারের নির্ধারণ করা দামে তো তাঁরাই কিনতে পারছেন না। লোকসান দিয়ে বিক্রি করতে পারবেন না।

রামপুরা বাজারের দোকানি আবু তাহের গতকাল বিকেলে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা এবং আলু ৪৫ টাকা দাম চাইলেন। সরকার প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ৬৫ টাকা বেঁধে দিলেও বাড়তি দাম চাওয়ার কারণ জানতে চাইলে বললেন, ‘আমি সরকারি মাল বিক্রি করি না। আমার কাছে মেমো আছে। মোবাইল কোর্ট আইলে মেমো দেখাই দিমু।’  

একই বাজারের মুদিদোকানি রোকন মাহমুদ প্রতি কেজি আলুর দাম ৫০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা চান। তিনি বলেন, ‘৪৩ টাকায় আলু কিনে ৩৬ টাকায় বেচতে পারুম না। ৭৩ টাকায় পেঁয়াজ কিনে ৬৫ টাকায় কীভাবে বেচুম?’ তিনি আরও বলেন, প্রথমে হিমাগার ও পরে পাইকারিতে নির্ধারিত দাম নিশ্চিত করতে হবে। এই দুই জায়গা ঠিক হলে খুচরা বাজারে তদারকি কাজে লাগবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি গত বৃহস্পতিবার আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম বেঁধে দেন। টিসিবির বাজার তদারকি প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল রাজধানীর বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৭০-৮০ টাকা, আলু ৪০-৪৫ টাকা এবং ডিম ৪৮-৫২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে বাস্তবে আলু ৪৫-৫০ টাকা, ডিম ৫০-৫৪ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকায় বিক্রি হয়।

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, পণ্যের দাম বাড়লে দাম বেঁধে দেবে, অথচ কমলে দেবে না, এটা কীভাবে হয়? দুই-তিন বছর ধরে আলুর দাম অস্বাভাবিক কম ছিল। তখন সরকারের ঊর্ধ্বতনদের তিনি অনুরোধ করেও দাম বেঁধে দেওয়া কিংবা টিসিবির পণ্যের তালিকায় আলু ঢোকানো সম্ভব হয়নি।

 বাজার নিয়ন্ত্রণে আমদানির অনুমোদন দেওয়া যেতে পারে।

আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বিভিন্ন জেলায় হিমাগার পরিদর্শন ও সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করছেন।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতি মুনাফার প্রবণতা রয়েছে। এটি বন্ধ করতে হবে। সরকার হিসাবনিকাশ করেই দাম নির্ধারণ করেছে। নির্ধারিত দামে বিক্রি না হলে সরকারকে গভীর পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তা খুঁজে বের করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেয়াদের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় চালুর পরিকল্পনা সরকারের

ঐকমত্য কমিশনের মঙ্গলবারের সংলাপ ‘বয়কট’ করল জামায়াত

বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধে আইন পরিবর্তন করায় জাতিসংঘের উদ্বেগ

নারীর সঙ্গে এনসিপি নেতা তুষারের কথোপকথন ফাঁস নিয়ে যা বললেন সহযোদ্ধা ইমি

ইরানের পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস করা সম্ভব নয়, স্বীকার করল ইসরায়েল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত