Ajker Patrika

দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করার পুরস্কার

মাওলানা ইমরান হোসাইন
আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০২৩, ১৭: ০২
দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করার পুরস্কার

জীবনের বাঁকে বাঁকে মানুষ ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় গুনাহে জড়িয়ে পড়ে। এসব গুনাহের মূল কারণ হিসেবে মহানবী (সা.) একটি বিষয়কে চিহ্নিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘দুনিয়ার মোহই সব গুনাহের মূল।’ (শুআবুল ইমান) সুতরাং পরকালমুখী হয়ে দুনিয়ার প্রতি নির্লিপ্ত থাকলে, সহজেই আল্লাহর নাফরমানি থেকে মুক্ত থাকা যায়। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর নাফরমানি করে না, আল্লাহ তাকে ভালোবাসেন।

মহানবী (সা.)-কে এক ব্যক্তি বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমাকে এমন একটি আমল বলে দিন, যা করলে আল্লাহ আমাকে ভালোবাসবেন, মানুষও আমাকে ভালোবাসবে।’ জবাবে তিনি বললেন, ‘তুমি দুনিয়ার প্রতি নির্লিপ্ত হও, আল্লাহ তোমাকে ভালোবাসবেন। আর মানুষের কাছে যা আছে (ধনসম্পদ), তার প্রতি নির্লোভ থাকো, মানুষ তোমাকে ভালোবাসবে।’ (ইবনে মাজাহ)।

দুনিয়ার ধন-সম্পদ ও যশ-খ্যাতির মোহ মানুষকে আল্লাহর কথা ভুলিয়ে গুনাহে ডুবিয়ে রাখে। তাই আল্লাহর ভালোবাসা পেতে দুনিয়ার চাকচিক্য পরিহার করতে হবে। মানুষে-মানুষে যত কলহ-বিবাদ ও হিংসা-বিদ্বেষ, তার মূলে থাকে ধন-সম্পদ। লোভের বশীভূত হয়ে একে অন্যের সম্পদে অন্যায় হস্তক্ষেপের ফলেই সৃষ্টি হয় গোলমাল পরিস্থিতি। তাই মানুষের সম্পদের প্রতি নির্লোভ হওয়া গেলে, মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হওয়া যাবে নিশ্চয়ই।

এক আরবি কবি বলেছেন, ‘তোমার প্রয়োজনে মানুষের কাছে হাত পাতবে না। বরং হাত পাতবে তাঁর কাছে, যাঁর বদান্যতার দরজা সব সময় উন্মুক্ত। তিনি আল্লাহ, তাঁর কাছে না চাইলে তিনি ক্রুদ্ধ হন। আর মানুষের কাছে চাইলে তারা হয় ক্ষিপ্ত।’ এটিই মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। মানুষের কাছে চাইলে তারা দিতে চায় না। তাই দুনিয়ার মোহ ও মানুষের সম্পদ থেকে বিমুখ হয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করাই মুমিনের কর্তব্য। তবেই অর্জিত হবে আল্লাহর ভালোবাসা এবং মানুষের ভালোবাসাও। 

লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত