কঙ্কন সরকার
খাবার যে শুধু পেট ভরায়, তা নয়। কোনো কোনো খাবার বিশেষভাবে তৈরি করার রেওয়াজ আছে কোনো কোনো অঞ্চলে। সেই খাবারগুলো খাওয়া হয় মূলত কোনো নির্দিষ্ট তিথিতে ভেষজ উপকার পেতে। তেমনি একটি খাবার ঝালের গুঁড়ো।
উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ঝালের গুঁড়ো খাওয়ার ব্যাপক চল ছিল একসময়। তবে খাবারটি এখন বিলুপ্তির দিকে। এখনো গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গায় কার্তিক মাসের অমাবস্যায় ঝালের গুঁড়ো খাওয়া হয়। ঝোপ-জঙ্গল থেকে বিশেষ গাছের ছাল, পাতা, শিকড়, মূল বা কোনো গাছের ডাল অথবা লতার বিভিন্ন অংশ সংগ্রহ করা হয়। লোকজন বিশ্বাস করে, অমাবস্যায় এসব গাছপালার ঔষধি গুণ বহুগুণে বিরাজ করে! আর এসবের মিশ্রণে তৈরি করা ঝালের গুঁড়ো অন্যতম ভেষজ ওষুধ! এ খাবার তাই রোগ সারানোতে কাজ করার সঙ্গে মুখের স্বাদও বৃদ্ধি করে।
উপকরণ
কালী বা শ্যামাপূজায় কোথাও কোথাও এখনো এ খাবার তৈরির রেওয়াজ আছে। কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথি শুরু হলে এ খাবার তৈরির বিভিন্ন উপকরণ সংগ্রহ করা হয়। সংগ্রহ করা উদ্ভিদের মধ্যে থাকে চুই, নরসিং বা কারিপাতা, পিপুল, নিম, আদা, ভাট, তেঁতুল, আমড়া, জলপাই, শজনে, বেল, হরীতকী, তেলাকুচো, গো রসুন, গন্ধভাদাল। এ ছাড়া থাকে আম, কাঁঠাল, বট, পাকুড়, অর্জুন, জাম, বাঁশ, পেয়ারা এমনকি দূর্বা ঘাস।
প্রণালি
সংগৃহীত উপকরণ থেকে পরিমাণমতো অংশ বেছে পরিষ্কার করে ভেজে নিতে হয়। অন্যদিকে ভেজে নিতে হয় পরিমাণমতো চাল। লবণ, মরিচ, গোলমরিচ, রসুন, পেঁয়াজ, লবঙ্গ, এলাচি, দারুচিনি, আদা, তেজপাতাসহ সব মসলাই ব্যবহার করা হয় এ খাবার তৈরিতে।
ভেজে নেওয়া উপকরণগুলো ভাজা চালের সঙ্গে একখানে করে ঢেঁকিতে বা উড়ুনে পেষা হয়। তবে এখন ব্লেন্ডার-জাতীয় যন্ত্রেও গুঁড়ো করা যায় এসব। পিষতে পিষতে একপর্যায়ে গুঁড়োর মতো হলে সেগুলো চালুনে ঝেড়ে মিহি গুঁড়ো বের করে নিতে হয়। এটাই ঝালের গুঁড়ো।
ঝালের গুঁড়ো তৈরি করতে নানা রকম উপকরণ মিশ্রিত থাকে বলে এর একটা অন্য রকম স্বাদ তৈরি হয়। এতে ঝালের মাত্রা থাকে অনেক বেশি। সে জন্যই এর নাম ঝালের গুঁড়ো। এটি খাওয়ার সময় ঝালে কান ও মাথা গরম হয়, চোখ দিয়ে পানি পড়তে থাকে। বছরান্তে একবার এ খাবার খেলে শরীরের উপকার হয় বলে স্থানীয় মানুষেরা বিশ্বাস করেন।
খাবার যে শুধু পেট ভরায়, তা নয়। কোনো কোনো খাবার বিশেষভাবে তৈরি করার রেওয়াজ আছে কোনো কোনো অঞ্চলে। সেই খাবারগুলো খাওয়া হয় মূলত কোনো নির্দিষ্ট তিথিতে ভেষজ উপকার পেতে। তেমনি একটি খাবার ঝালের গুঁড়ো।
উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ঝালের গুঁড়ো খাওয়ার ব্যাপক চল ছিল একসময়। তবে খাবারটি এখন বিলুপ্তির দিকে। এখনো গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গায় কার্তিক মাসের অমাবস্যায় ঝালের গুঁড়ো খাওয়া হয়। ঝোপ-জঙ্গল থেকে বিশেষ গাছের ছাল, পাতা, শিকড়, মূল বা কোনো গাছের ডাল অথবা লতার বিভিন্ন অংশ সংগ্রহ করা হয়। লোকজন বিশ্বাস করে, অমাবস্যায় এসব গাছপালার ঔষধি গুণ বহুগুণে বিরাজ করে! আর এসবের মিশ্রণে তৈরি করা ঝালের গুঁড়ো অন্যতম ভেষজ ওষুধ! এ খাবার তাই রোগ সারানোতে কাজ করার সঙ্গে মুখের স্বাদও বৃদ্ধি করে।
উপকরণ
কালী বা শ্যামাপূজায় কোথাও কোথাও এখনো এ খাবার তৈরির রেওয়াজ আছে। কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথি শুরু হলে এ খাবার তৈরির বিভিন্ন উপকরণ সংগ্রহ করা হয়। সংগ্রহ করা উদ্ভিদের মধ্যে থাকে চুই, নরসিং বা কারিপাতা, পিপুল, নিম, আদা, ভাট, তেঁতুল, আমড়া, জলপাই, শজনে, বেল, হরীতকী, তেলাকুচো, গো রসুন, গন্ধভাদাল। এ ছাড়া থাকে আম, কাঁঠাল, বট, পাকুড়, অর্জুন, জাম, বাঁশ, পেয়ারা এমনকি দূর্বা ঘাস।
প্রণালি
সংগৃহীত উপকরণ থেকে পরিমাণমতো অংশ বেছে পরিষ্কার করে ভেজে নিতে হয়। অন্যদিকে ভেজে নিতে হয় পরিমাণমতো চাল। লবণ, মরিচ, গোলমরিচ, রসুন, পেঁয়াজ, লবঙ্গ, এলাচি, দারুচিনি, আদা, তেজপাতাসহ সব মসলাই ব্যবহার করা হয় এ খাবার তৈরিতে।
ভেজে নেওয়া উপকরণগুলো ভাজা চালের সঙ্গে একখানে করে ঢেঁকিতে বা উড়ুনে পেষা হয়। তবে এখন ব্লেন্ডার-জাতীয় যন্ত্রেও গুঁড়ো করা যায় এসব। পিষতে পিষতে একপর্যায়ে গুঁড়োর মতো হলে সেগুলো চালুনে ঝেড়ে মিহি গুঁড়ো বের করে নিতে হয়। এটাই ঝালের গুঁড়ো।
ঝালের গুঁড়ো তৈরি করতে নানা রকম উপকরণ মিশ্রিত থাকে বলে এর একটা অন্য রকম স্বাদ তৈরি হয়। এতে ঝালের মাত্রা থাকে অনেক বেশি। সে জন্যই এর নাম ঝালের গুঁড়ো। এটি খাওয়ার সময় ঝালে কান ও মাথা গরম হয়, চোখ দিয়ে পানি পড়তে থাকে। বছরান্তে একবার এ খাবার খেলে শরীরের উপকার হয় বলে স্থানীয় মানুষেরা বিশ্বাস করেন।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৪ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৪ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৫ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫