ঝিকরগাছা প্রতিনিধি
ঝিকরগাছা উপজেলার ৪৫টি গ্রামে কোনো বিদ্যালয় বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। উপজেলার ১৯১ গ্রামের মধ্যে বিদ্যালয় আছে ১৪৬টিতে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি গ্রামে দুই কিলোমিটারের মধ্যে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকতে পারবে। কিন্তু এসব গ্রামের শিশুদের আড়াই থেকে তিন কিলোমিটার পথ হেঁটে অন্য গ্রামের বিদ্যালয়ে গিয়ে পড়াশোনা করতে হচ্ছে। ফলে, একদিকে যেমন শিশু শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি হচ্ছে, অন্যদিকে অনেক শিশু শিক্ষার আওতার বাইরেও থেকে যাচ্ছে বলে মনে করছেন অভিভাবকেরা।
উপজেলা শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ১৯১ গ্রামের মধ্যে ৪৫টিতে কোনো স্কুল নেই। উপজেলায় ১৩১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৩২টি দাখিল ও ২ ইবতেদায়ি মাদ্রাসা, ৩০টি কিন্ডারগার্টেন এবং ১০টি কলেজ রয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর ঝিকরগাছা উপজেলায় প্রাথমিকে ঝড়ে পড়া গড় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৬০ জন। এদের অধিকাংশ দরিদ্র পরিবার ও বিদ্যালয় না থাকা গ্রামের শিশু।
শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়মানুযায়ী, নতুন বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য ওই গ্রামে ২ হাজার জনসংখ্যা ও স্কুল গমন ইচ্ছুক দেড় শ ছাত্র-ছাত্রী থাকতে হবে। দুই কিলোমিটারের মধ্যে কোনো বিদ্যালয় বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকলে হবে না। গ্রামে কেউ নিষ্কণ্টক ৩৩ শতক জমি দিলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাওয়া পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, উপজেলার পানিসারা ইউনিয়নরে কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামে কোনো বিদ্যালয় নেই। এ গ্রামে তিন হাজার লোকের বসবাস। গ্রামটির আশপাশে প্রায় আড়াই কিলোমিটারের মধ্যে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। ফলে গ্রামটির শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা নিতে পাড়ি দিতে হয় আড়াই থেকে তিন কিলোমিটার পথ।
কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামের মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘আমাদের গ্রামের চারপাশে যে চারটি গ্রাম রয়েছে সব কটিতে প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। এসব গ্রামের দূরত্ব আড়াই-তিন কিলোমিটার। সচেতন ও শিক্ষিত পরিবারের শিশুরা দূরের গ্রামগুলোর বিদ্যালয়ে গেলেও দরিদ্র পরিবারের সন্তানেরা শিক্ষার বাইরে থেকে যাচ্ছে। এতে করে আমাদের গ্রামে প্রাথমিক শিক্ষার হার শতভাগের লক্ষ্য কখনো পূরণ হয় না।’
একই গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান লাল্টু বলেন, ‘আমাদের গ্রামে তিন হাজার লোকের বসবাস। কিন্তু কোনো বিদ্যালয় নেই। পাশের গ্রামের বিদ্যালয় দুই-আড়াই কিলোমিটার দূরে হওয়ায় গ্রামের শিশুরা শতভাগ শিক্ষার আওতাই আসছে না। গ্রামে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা জমির ব্যবস্থা করে দিতে পারব। আমরা গ্রামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চাই।’
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইসমত আরা পারভীন বলেন, ‘গত বছর চারটি গ্রামে নতুন বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য ৩৩ শতক জমি দানের যাবতীয় কাগজপত্র শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, শিগগির কার্যক্রম শুরু হবে। দেশে ১৫০০ বিদ্যালয় নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আওতায় এসব বিদ্যালয় করা হচ্ছে।’
ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল হক বলেন, ‘যেসব গ্রামে বিদ্যালয় বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই, সেসব গ্রামে পর্যায়ক্রমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করা হবে।’
ঝিকরগাছা উপজেলার ৪৫টি গ্রামে কোনো বিদ্যালয় বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। উপজেলার ১৯১ গ্রামের মধ্যে বিদ্যালয় আছে ১৪৬টিতে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি গ্রামে দুই কিলোমিটারের মধ্যে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকতে পারবে। কিন্তু এসব গ্রামের শিশুদের আড়াই থেকে তিন কিলোমিটার পথ হেঁটে অন্য গ্রামের বিদ্যালয়ে গিয়ে পড়াশোনা করতে হচ্ছে। ফলে, একদিকে যেমন শিশু শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি হচ্ছে, অন্যদিকে অনেক শিশু শিক্ষার আওতার বাইরেও থেকে যাচ্ছে বলে মনে করছেন অভিভাবকেরা।
উপজেলা শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ১৯১ গ্রামের মধ্যে ৪৫টিতে কোনো স্কুল নেই। উপজেলায় ১৩১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৩২টি দাখিল ও ২ ইবতেদায়ি মাদ্রাসা, ৩০টি কিন্ডারগার্টেন এবং ১০টি কলেজ রয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর ঝিকরগাছা উপজেলায় প্রাথমিকে ঝড়ে পড়া গড় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৬০ জন। এদের অধিকাংশ দরিদ্র পরিবার ও বিদ্যালয় না থাকা গ্রামের শিশু।
শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়মানুযায়ী, নতুন বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য ওই গ্রামে ২ হাজার জনসংখ্যা ও স্কুল গমন ইচ্ছুক দেড় শ ছাত্র-ছাত্রী থাকতে হবে। দুই কিলোমিটারের মধ্যে কোনো বিদ্যালয় বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকলে হবে না। গ্রামে কেউ নিষ্কণ্টক ৩৩ শতক জমি দিলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাওয়া পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, উপজেলার পানিসারা ইউনিয়নরে কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামে কোনো বিদ্যালয় নেই। এ গ্রামে তিন হাজার লোকের বসবাস। গ্রামটির আশপাশে প্রায় আড়াই কিলোমিটারের মধ্যে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। ফলে গ্রামটির শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা নিতে পাড়ি দিতে হয় আড়াই থেকে তিন কিলোমিটার পথ।
কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামের মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘আমাদের গ্রামের চারপাশে যে চারটি গ্রাম রয়েছে সব কটিতে প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। এসব গ্রামের দূরত্ব আড়াই-তিন কিলোমিটার। সচেতন ও শিক্ষিত পরিবারের শিশুরা দূরের গ্রামগুলোর বিদ্যালয়ে গেলেও দরিদ্র পরিবারের সন্তানেরা শিক্ষার বাইরে থেকে যাচ্ছে। এতে করে আমাদের গ্রামে প্রাথমিক শিক্ষার হার শতভাগের লক্ষ্য কখনো পূরণ হয় না।’
একই গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান লাল্টু বলেন, ‘আমাদের গ্রামে তিন হাজার লোকের বসবাস। কিন্তু কোনো বিদ্যালয় নেই। পাশের গ্রামের বিদ্যালয় দুই-আড়াই কিলোমিটার দূরে হওয়ায় গ্রামের শিশুরা শতভাগ শিক্ষার আওতাই আসছে না। গ্রামে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা জমির ব্যবস্থা করে দিতে পারব। আমরা গ্রামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চাই।’
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইসমত আরা পারভীন বলেন, ‘গত বছর চারটি গ্রামে নতুন বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য ৩৩ শতক জমি দানের যাবতীয় কাগজপত্র শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, শিগগির কার্যক্রম শুরু হবে। দেশে ১৫০০ বিদ্যালয় নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আওতায় এসব বিদ্যালয় করা হচ্ছে।’
ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল হক বলেন, ‘যেসব গ্রামে বিদ্যালয় বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই, সেসব গ্রামে পর্যায়ক্রমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করা হবে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪