Ajker Patrika

এলাকাভিত্তিক বিদ্যুৎ সরবরাহে বৈষম্যের অভিযোগ

দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ আগস্ট ২০২২, ১৪: ২১
Thumbnail image

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে লোডশেডিংয়ের কারণে গ্রাহকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। গ্রাহকের সংখ্যার আনুপাতিক হারে বিদ্যুৎ বণ্টন না করার অভিযোগ করেন তাঁরা। গ্রাহকেরা বলছেন, দেওয়ানগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের আওতায় পরিচালিত ৬টি ফিডারের মধ্যে ৫ নম্বর ফিডারের আওতাধীন এলাকার গ্রাহকেরা বিদ্যুৎ কম পাচ্ছেন।

পল্লী বিদ্যুতের দেওয়ানগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আঞ্চলিক কার্যালয়ের আওতায় ছয়টি ফিডারের মাধ্যমে ৫২ হাজারের বেশি গ্রাহকের মধ্যে বিদ্যুৎ বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে ৫ নম্বর ফিডারটি বড়। এ ফিডারের আওতায় গ্রাহক রয়েছেন প্রায় ২২ হাজার। বাকি পাঁচটি ফিডার মিলে গ্রাহক রয়েছেন ৩০ হাজারের বেশি। ফিডারের ব্যাপ্তি বেশি হওয়ায় বিদ্যুৎ বিতরণে জটিলতায় পড়তে হয়। এরপরও সব ফিডারে সমানভাবে লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় বলে জানায় সূত্রটি।

৫ নম্বর ফিডারের গ্রাহকেরা জানান, অর্ধেকের বেশি গ্রাহক এ ফিডারের আওতায় থাকা সত্ত্বেও লোডশেডিং বেশি হয়। এতে গ্রাহকের ভোগান্তি বাড়ছে। গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ বরাদ্দ বেশি নিয়ে ৫ নম্বর ফিডারের লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ সরবরাহ সমতায় আনার দাবি তাঁদের।

চুনিয়াপাড়া গ্রামের গ্রাহক মো. সোহরাব হোসেন বলেন, লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ বিতরণে রাতের বেলা এ ফিডারে বৈষম্য বেশি। আধা ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকলে দেড় ঘণ্টার বেশি চলে লোডশেডিং।

পল্লী বিদ্যুৎ উপজেলা আঞ্চলিক কার্যালয়ের এজিএম শেখ ফরিদ জানান, এ কার্যালয়ের আওতায় বিদ্যুতের চাহিদা দিনে ৭ ও রাতে ১১ মেগাওয়াট। গত পাঁচ দিন জামালপুর ন্যাশনাল গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়া হয়েছে। সব ফিডারে বিদ্যুৎ সমভাবে বণ্টন করা হয়। ফিডার অনুযায়ী লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ বিতরণে বৈষম্য করা হচ্ছে না।

পল্লী বিদ্যুৎ দেওয়ানগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডিজিএম মুহাম্মদ ইয়াহিয়া সিদ্দিকী জানান, ‘বিদ্যুৎ বিতরণে বৈষম্যের ধারণা ভুল। আমরা কম বিদ্যুৎ পাই। এ পরিমাণ বিদ্যুৎ দিয়ে ফিডারটি চালানো সম্ভব হয় না। রাতে এই ফিডার চালালে বাকি পাঁচটি ফিডার বন্ধ রাখতে হয়। প্রয়োজনের তুলনায় বিদ্যুতের বরাদ্দ কম পাচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত