ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার ক্রমেই লাগামহীন হয়ে পড়ছে। সয়াবিন তেলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মাছ, মাংস, সবজি ও ডিমের দাম। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ। তাঁদের অভিযোগ, বাজার তদারক করার যেন কেউ নেই। ময়মনসিংহে বেড়েছে সব ধরনের সবজি ও সয়াবিন তেলের দাম। একই সঙ্গে বেড়েছে গরু ও খাসির মাংসে দাম। গতকাল রোববার শম্ভুগঞ্জ বাজার ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
মাংস বিক্রেতা সুলতান মিয়া বলেন, গরুর মাংসের দাম সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ৫০ থেকে ৭০ টাকা বেড়েছে। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে খাসির মাংসের দাম। দাম বাড়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বাজারে গরু ও খাসির আমদানি কম। তা ছাড়া এখন গরু ও খাসির হাইব্রিড খাদ্য খাওয়ানোয় বড় দেখায়। কেনার পর ওজনের সঙ্গে দাম মেলে না। সে কারণে বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।
হাইব্রিড খাওয়ানোর কারণে মানুষের রোগবালাই বাড়ছে জানিয়ে এই বিক্রেতা বলেন, এসব তদারক করা প্রয়োজন। গরুর মাংস ৬২০ ও খাসির মাংস ৯০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া হাঁস ও মুরগির ডিম ৬০ এবং ফার্মের মুরগির ডিম ৩৫ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।
বাজার করতে আসা ভ্যানচালক জহিরুল মিয়া বলেন, ‘গরিবের খবর কেউ নেয় না। আগে ২০ টাকা বা ৩০ টাকা দিয়ে তেল কিনতে পারতাম। এখন এক কেজির নিচে কেউ বিক্রি করে না। এক কেজি তেল কিনতে অর্ধেক দিনের রোজগার শেষ। সবজির বাজারে তো আগুন লেগেছে।’
শম্ভুগঞ্জ মধ্যবাজারের নূপুর দাস বলেন, ‘সয়াবিন তেলের দাম সরকার বাড়ানোর পর আমরাও বেশি দামে বিক্রি করছি। বোতলজাত সয়াবিন ১৭২, খোলা সয়াবিন তেল ১৭০, পাম ও কোয়ালিটি ১৬০ কেজি বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া খোলা আটা ৩৫, মুগ ডাল ১০ টাকা বেড়ে ১৪০, ভাঙা মাষকলাই ১৩০ ও চিনি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’
একই বাজারের সবজি বিক্রেতা জয়নাল আবেদীন বলেন, সবজির মৌসুম শেষের দিকে থাকায় আমদানি কম। তাই সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। কাঁচা মরিচ ৪০, ফুলকপি ৫০, বেগুন ৬০, শিম ৫০, শসা ৪০, বরবটি ১৬০, লতা ১০০ ও লাউ ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বিপুল মিয়া বলেন, ‘গরুর মাংস কিনতে গিয়ে দেখি, প্রতি কেজি ৬২০ থেকে ৬৫০ টাকা। তাই কেনা হয়নি। ১৫০ টাকায় ব্রয়লার মুরগি কিনেছি। এ ছাড়া শিম ও লাউ কিনেছি। আর কিছু কেনার সামর্থ্য নেই।’
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শামসুন নাহার বলেন, ‘ভোজ্য তেলের দাম লাগামহীনভাবে বাড়ছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মাছ, মাংস ও সবজির বাজার। আমাদের এখন চলাটা দায় হয়ে গেছে।’
মাছ বিক্রেতা হারুন মিয়া বলেন, সব ধরনের মাছ কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। পাঙাশ ১৪০, তেলাপিয়া ১৮০, পাবদা ৪২০, বড় রুই ৩৫০, শিং মাছ ৫০০, সিলভার ২৬০ ও কাতল ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ১৫০, লেয়ার মুরগি ২৫০, সোনালি ২৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। একই বাজারের রবিন মিয়া বলেন, বড় আলু ১৫, ছোট আলু ২০, পেঁয়াজ ৩২ ও আদা ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বাজার নিয়ন্ত্রণে আমরাও চেষ্টা করছি। কিন্তু ভোজ্যতেলের দাম সারা দেশেই বৃদ্ধির কারণে ব্যবসায়ীদের কিছু করার নেই। তবে শাক, সবজি, মাছ, মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করা হচ্ছে।’
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার ক্রমেই লাগামহীন হয়ে পড়ছে। সয়াবিন তেলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মাছ, মাংস, সবজি ও ডিমের দাম। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ। তাঁদের অভিযোগ, বাজার তদারক করার যেন কেউ নেই। ময়মনসিংহে বেড়েছে সব ধরনের সবজি ও সয়াবিন তেলের দাম। একই সঙ্গে বেড়েছে গরু ও খাসির মাংসে দাম। গতকাল রোববার শম্ভুগঞ্জ বাজার ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
মাংস বিক্রেতা সুলতান মিয়া বলেন, গরুর মাংসের দাম সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ৫০ থেকে ৭০ টাকা বেড়েছে। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে খাসির মাংসের দাম। দাম বাড়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বাজারে গরু ও খাসির আমদানি কম। তা ছাড়া এখন গরু ও খাসির হাইব্রিড খাদ্য খাওয়ানোয় বড় দেখায়। কেনার পর ওজনের সঙ্গে দাম মেলে না। সে কারণে বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।
হাইব্রিড খাওয়ানোর কারণে মানুষের রোগবালাই বাড়ছে জানিয়ে এই বিক্রেতা বলেন, এসব তদারক করা প্রয়োজন। গরুর মাংস ৬২০ ও খাসির মাংস ৯০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া হাঁস ও মুরগির ডিম ৬০ এবং ফার্মের মুরগির ডিম ৩৫ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।
বাজার করতে আসা ভ্যানচালক জহিরুল মিয়া বলেন, ‘গরিবের খবর কেউ নেয় না। আগে ২০ টাকা বা ৩০ টাকা দিয়ে তেল কিনতে পারতাম। এখন এক কেজির নিচে কেউ বিক্রি করে না। এক কেজি তেল কিনতে অর্ধেক দিনের রোজগার শেষ। সবজির বাজারে তো আগুন লেগেছে।’
শম্ভুগঞ্জ মধ্যবাজারের নূপুর দাস বলেন, ‘সয়াবিন তেলের দাম সরকার বাড়ানোর পর আমরাও বেশি দামে বিক্রি করছি। বোতলজাত সয়াবিন ১৭২, খোলা সয়াবিন তেল ১৭০, পাম ও কোয়ালিটি ১৬০ কেজি বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া খোলা আটা ৩৫, মুগ ডাল ১০ টাকা বেড়ে ১৪০, ভাঙা মাষকলাই ১৩০ ও চিনি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’
একই বাজারের সবজি বিক্রেতা জয়নাল আবেদীন বলেন, সবজির মৌসুম শেষের দিকে থাকায় আমদানি কম। তাই সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। কাঁচা মরিচ ৪০, ফুলকপি ৫০, বেগুন ৬০, শিম ৫০, শসা ৪০, বরবটি ১৬০, লতা ১০০ ও লাউ ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বিপুল মিয়া বলেন, ‘গরুর মাংস কিনতে গিয়ে দেখি, প্রতি কেজি ৬২০ থেকে ৬৫০ টাকা। তাই কেনা হয়নি। ১৫০ টাকায় ব্রয়লার মুরগি কিনেছি। এ ছাড়া শিম ও লাউ কিনেছি। আর কিছু কেনার সামর্থ্য নেই।’
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শামসুন নাহার বলেন, ‘ভোজ্য তেলের দাম লাগামহীনভাবে বাড়ছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মাছ, মাংস ও সবজির বাজার। আমাদের এখন চলাটা দায় হয়ে গেছে।’
মাছ বিক্রেতা হারুন মিয়া বলেন, সব ধরনের মাছ কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। পাঙাশ ১৪০, তেলাপিয়া ১৮০, পাবদা ৪২০, বড় রুই ৩৫০, শিং মাছ ৫০০, সিলভার ২৬০ ও কাতল ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ১৫০, লেয়ার মুরগি ২৫০, সোনালি ২৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। একই বাজারের রবিন মিয়া বলেন, বড় আলু ১৫, ছোট আলু ২০, পেঁয়াজ ৩২ ও আদা ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বাজার নিয়ন্ত্রণে আমরাও চেষ্টা করছি। কিন্তু ভোজ্যতেলের দাম সারা দেশেই বৃদ্ধির কারণে ব্যবসায়ীদের কিছু করার নেই। তবে শাক, সবজি, মাছ, মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করা হচ্ছে।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫