Ajker Patrika

কাজের ফাঁকে মাছ ধরছেন যমুনা চরের নারীরা

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৭: ১৭
কাজের ফাঁকে মাছ ধরছেন  যমুনা চরের নারীরা

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীর চর এলাকায় পানি বেড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত চর এলাকায় এখন কাজের সুযোগ নেই। তাই পুরুষেরা শহর কিংবা অন্য গ্রামে কাজ করতে যাচ্ছেন। কিন্তু চরের নারীদের পক্ষে কাজের সন্ধানে বাইরে যাওয়া হয় না। তাই গৃহস্থালি কাজের ফাঁকে যমুনায় মাছ ধরে বাড়তি আয়ের পথ খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা।

বাড়ি থেকে পাতিল নিয়ে বের হয়ে নদীর কূলে একত্রিত হন তাঁরা। দল বেঁধে যমুনার পানিতে নামেন মাছ ধরতে। হাত দিয়েই শিকার করেন নানা ধরনের মাছ। যমুনা চরের নারীদের নিত্যদিনের এই চিত্র। এভাবে মাছ ধরেই তাঁরা অভাব অনটনের সংসারে বাড়তি আয়ের চেষ্টা করেন।

উপজেলার বৈশাখি চর এলাকার বাসিন্দা কুলসুম বেওয়া। তিনি বলেন, ‘এক সময় আমাদের সবকিছু ছিল। গোলা ভরা ধান, মাঠ ভরা জমি, গোয়াল ভরা গরু, পুকুর ভরা মাছ। প্রতি বছর ভাঙনে যমুনা নদী সবকিছু গিলে খায়। সবকিছু হারিয়ে তাঁরা আজ নিঃস্ব।’

অভাবের কারণে ছোট হয়ে এসেছে ঘর-সংসার। দু’বেলা ভাতের জন্য কাজের সন্ধানে ঘুরতে হয়। তাই অন্যের বাড়ি কিংবা জমিতে কাজ করার সুযোগ এখন নেই। তাই যমুনার পানিতে মাছ ধরার কাজটাই বেছে নিয়েছেন। এমনটাই জানালেন ওই চরের জেলাতন খাতুন।

সরেজমিনে দেখা যায়, নদীর কুলে অল্প পানিতে হাঁটু গেড়ে বসেছে এক দল নারী। সবার সামনে একটি করে পাতিল ভাসছে। পানির নিচে হাতিয়ে হাতিয়ে এগিয়ে চলে সামনের দিকে। এভাবেই হাতের নিচে ধরা পড়ছে বালিয়া, টাকি, পুঁটি, ট্যাংরা, শিং, চিংড়ি, ঘাড়িয়াসহ নানা প্রজাতির মাছ।

রাধানগর চরের মাছ শিকারি খাদিজা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ কাজ করি। একজন কমপক্ষে দেড় থেকে দুই কেজি করে মাছ ধরি। এই মাছ নিজেদের খাবার চাহিদা মিটিয়ে বিক্রিও করি। এতে প্রতিদিন অন্তত গড়ে ২৫০-৩০০ টাকার মাছ বিক্রি করা যায়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সকালে পরীক্ষা, রাতেই ফল: সেই নিয়োগের তদন্তে কমিটি

চোখের সামনে খামেনির অন্তরঙ্গ মহল ফাঁকা করে দিচ্ছে ইসরায়েল

এপ্রিলে নির্বাচিত সরকার পাবে দেশ, এরপর চুপচাপ সরে যাব: প্রধান উপদেষ্টা

আমাদের হয়ে ‘নোংরা কাজটা’ করে দিচ্ছে ইসরায়েল: জার্মান চ্যান্সেলর

গোমস্তাপুরে পুলিশের লাঠিপেটায় আহত ১১ নারী: ওসি ও এসআই প্রত্যাহার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত