Ajker Patrika

কারখানার বর্জ্যে স্বাস্থ্যঝুঁকি

ডিমলা (নীলফামারী) সংবাদদাতা
কারখানার বর্জ্যে স্বাস্থ্যঝুঁকি

নীলফামারীর ডিমলায় জৈব সার তৈরির কারখানার বর্জ্য ও বায়বীয় দুর্গন্ধে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনস্বাস্থ্য। পচনশীল এসব বর্জ্য অন্যত্র সরিয়ে নিতে কারখানা কর্তৃপক্ষ ও বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি।

এতে ভুক্তভোগীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাাঁরা বলেন, সরকার পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের কারণে বিভিন্ন কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও প্যারাগন কোম্পানির এই কারখানার দূষণরোধে কোনো পদক্ষেপ কেন নিচ্ছে না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলেয়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান যদি পরিবেশদূষণে জড়িত থাকে, অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক সারোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা গোবর, ছাই ও মুরগির বিষ্ঠা নিয়ে কাজ করি, একটু তো গন্ধ থাকাটাই স্বাভাবিক। জৈব সার উৎপাদন করে দেশকে সহযোগিতা করছি। সরকার রেজিস্ট্রেশন দিয়েছে আমাদের প্রতিষ্ঠানকে।’

সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের ছাতুনামা ভেন্ডাবাড়ি চর এলাকায় প্যারাগন জৈব সার কারখানা। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মুরগির বিষ্ঠা ও গোবরসহ পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য এখানে জড়ো করা হয়।

স্তূপীকৃত এসব পচনশীল বর্জ্যের দূষণ ও দুর্গন্ধে আশপাশের কয়েক গ্রামের হাজারো মানুষ মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে পড়ে। এ ছাড়া সার তৈরিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন কেমিক্যাল বাতাসে ছড়িয়ে পড়ায় ওই এলাকায় নিশ্বাস নেওয়াই দুরূহ হয়ে পড়েছে।

উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘জৈব সার তৈরি প্রকল্পে স্থানীয় মানুষজন উপকৃত হওয়ার কথা ঠিক। কিন্তু ঠিক ততটাই অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে তাঁরা। তার একমাত্র কারণ ওই পচনশীল দ্রব্যের গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকার মানুষ। ব্যাপক দুর্গন্ধে বড়দের পাশাপাশি শিশুরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। অন্তঃসত্ত্বা মহিলারাও পড়েছেন বিপাকে। দুর্গন্ধের জেরে তাঁরা বমি করে ফেলছেন। এই দুর্গন্ধে তাঁরা প্রায় দুই বছর ধরে ভুগছেন। বারবার অভিযোগ জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।’

ছাতুনামা কেল্লাপাড়া গ্রামের আব্দুল জব্বার, বানেছা, ‘এলিজাসহ কয়েকজন জানান, বিষ্ঠার দুর্গন্ধে অসহনীয় যন্ত্রণা নিয়ে বসবাস করছি। রোদ-বৃষ্টিতে বাতাসে গন্ধ আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ে। দুর্গন্ধে বমি আসে, খাওয়া-দাওয়া করা যায় না। গন্ধে ঘুমাতেও কষ্ট হয়। সবচেয়ে সমস্যার সম্মুখীন হন শিশু ও বৃদ্ধরা।’ 
নীলফামারী জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কমল কুমার বর্মণ আজকের পত্রিকাকে জানান, প্যারাগন অ্যাগ্রো লিমিটেড জৈব সার উৎপাদনে পরিবেশ দূষণ করলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত