Ajker Patrika

পুলিশের তিন পদে অতিরিক্ত: তিনজনে একজন বাড়তি

আয়নাল হোসেন, ঢাকা 
আপডেট : ০৮ আগস্ট ২০২৫, ১৬: ৪৪
পুলিশের তিন পদে অতিরিক্ত:  তিনজনে একজন বাড়তি

বাংলাদেশ পুলিশের উচ্চপর্যায়ে অনুমোদিত পদের চেয়ে অতিরিক্ত ৩১৮ জন কর্মকর্তা কর্মরত। অতিরিক্ত এসব কর্মকর্তা রয়েছেন উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি), অতিরিক্ত ডিআইজি এবং পুলিশ সুপার (এসপি) পদে। তাঁদের অনেকে পদোন্নতি পেলেও দায়িত্ব পাচ্ছেন না। আবার অতিরিক্ত পদোন্নতির কারণে বেতন-ভাতায় সরকারের খরচ বেড়েছে।

এদিকে পুলিশ বাহিনীর অন্যান্য স্তরে প্রায় ১০ হাজার পদ শূন্য রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিগত আওয়ামী লীগের আমলে সুপারনিউমারারি (সংখ্যাতিরিক্ত) পদোন্নতি এর জন্য দায়ী।

জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ও সাবেক সচিব এ কে এম আব্দুল আউয়াল মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, পদ ছাড়া পদোন্নতি দেওয়া হলে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির চেয়ে বড় বিষয়টি প্রশাসনে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। পদ ছাড়া পদোন্নতি প্রথম শুরু হয় প্রশাসন ক্যাডারে। পরে পুলিশ এই সুযোগ নেয়। বিগত সরকার দীর্ঘদিন এই সুযোগ দিয়েছে। তবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এ ক্ষেত্রে শক্ত অবস্থান নিতে পারবে না। নির্বাচিত সরকার এলে তারা শক্ত অবস্থান নিতে পারলে এমন পদোন্নতি বন্ধ হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, পুলিশে ডিআইজির অনুমোদিত পদ রয়েছে ৮৭টি। তবে বর্তমানে এই পদে আছেন ১১৭ জন। অর্থাৎ অতিরিক্ত রয়েছেন ৩০ জন। অতিরিক্ত ডিআইজির অনুমোদিত পদ ২০১টি হলেও এখন আছেন ৩৩৯ জন। অর্থাৎ এই পদে অতিরিক্ত আছেন ১৩৮ কর্মকর্তা। এসপির অনুমোদিত পদ ৫৯৬টি, বর্তমানে এই পদে কর্মরত ৭৪৬ জন। এই পদে অতিরিক্ত ১৫০ জন। সব মিলে এই তিন পদে অনুমোদিত ৮৮৪ পদের বিপরীতে আছেন ১২০২ জন।

সূত্র বলেছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এই ৩১৮ জনকে সুপারনিউমারারি পদোন্নতি দেওয়া হয়। এতে পদোন্নতি পেলেও অনেকে পদবঞ্চিত হচ্ছেন। অথচ অতিরিক্ত

এরপর পৃষ্ঠা ২ কলাম ৬

পুলিশ সুপার, সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি), পরিদর্শক, উপপরিদর্শক ও অন্যান্য স্তরে শূন্য পদ রয়েছে।

জানতে চাইলে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিগত আওয়ামী লীগ সরকার এসব পদোন্নতি দিয়ে গেছে। এসব বিষয় নিয়ে আমরা এখন ভাবছি না। আমরা বর্তমানে নির্বাচন নিয়ে যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকু করা হচ্ছে। তবে কিছু স্থানে পদ শূন্য থাকায় সেখানে পদায়ন করা হচ্ছে। তবে সমস্যা হচ্ছে, অনেক জায়গায় চেয়ারে লোক থাকলেও বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হয়ে রয়েছেন। সেখানে সুপারনিউমারারি পদোন্নতিপ্রাপ্তদের দিয়ে কাজ আদায় করা হচ্ছে।’

police

ডিআইজি, অতিরিক্ত ডিআইজি ও এসপি পদে অতিরিক্ত কর্মকর্তা থাকলেও এগুলোর নিচের পদগুলোতে জনবল ঘাটতি রয়েছে। পুলিশ অধিদপ্তর জানায়, পুলিশ বাহিনীতে মোট অনুমোদিত পদ রয়েছে ২ লাখ ৩ হাজার ৩৬৭টি। এর বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন ১ লাখ ৯৩ হাজার ৪৮৭ জন। এই হিসাবে পুলিশে সব পদ মিলিয়ে মোট ৯ হাজার ৮৮০টি পদ শূন্য রয়েছে।

অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, অতিরিক্ত এসপির অনুমোদিত পদ ১ হাজার ৮টি, তবে কর্মরত রয়েছেন ৯৪১ জন। অর্থাৎ অতিরিক্ত এসপির শূন্য পদ রয়েছে ৪৭টি। এএসপির ১ হাজার ২৩১টি পদের বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন ৮৯৯ জন। অর্থাৎ এএসপির ৩৩২টি পদ শূন্য রয়েছে। পুলিশ পরিদর্শকের (নিরস্ত্র) অনুমোদিত পদ ৪ হাজার ৯৮২টি। এর মধ্যে শূন্য রয়েছে ১২৭টি। পরিদর্শক (সশস্ত্র) অনুমোদিত পদ ৯৬১টি, এর বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন ৮৫১ জন। শূন্য রয়েছে ১১০টি পদ। পরিদর্শকের (শহর ও যান) অনুমোদিত ৯৮৫টি পদের বিপরীতে কর্মরত ৯৭৩ জন। এ ক্ষেত্রে শূন্য রয়েছে ১২টি পদ। উপপরিদর্শক (এসআই-নিরস্ত্র) অনুমোদিত পদ ২১ হাজার ৯৮টি। এই পদে কর্মরত ১৯ হাজার ৫৮৮ জন। শূন্য ১২৭টি পদ। এসআইয়ের (সশস্ত্র) অনুমোদিত ২ হাজার ৯৪৬টি পদের বিপরীতে শূন্য রয়েছে ৪৫টি। সার্জেন্টের অনুমোদিত ২ হাজার ২৬৫টি পদের বিপরীতে রয়েছেন ১ হাজার ৯৮৭ জন, শূন্য পদ ৮৯টি। টিএসআইয়ের পদ ৪৪৯টি। এই পদে কর্মরত ৪৪২ জন, এ ক্ষেত্রে শূন্য পদ সাতটি। সহকারী উপপরিদর্শকের (এএসআই-নিরস্ত্র) পদ রয়েছে ১৮ হাজার ৭৩৮টি। এই পদে কর্মরত ১৮ হাজার ৬৭২ জন, শূন্য রয়েছে ৬৬টি। এটিএসআইয়ের ২ হাজার ৪৫টি পদের বিপরীতে কর্মরত ২ হাজার ১০ জন, শূন্য রয়েছে ৩৫টি। নায়েকের ৭ হাজার ৭৯৬টি পদের মধ্যে শূন্য রয়েছে ৮৯২টি। কনস্টেবলের ১ লাখ ৩০ হাজার ৩০৮টি পদের বিপরীতে শূন্য রয়েছে ৬ হাজার ১৯৭টি।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিগত সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকে প্রশাসনের প্রতিটি স্থানে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে গেছে। বিভিন্ন পর্যায়ে সুযোগ-সুবিধা তৈরি করেছে। এসব বিশৃঙ্খলা নিরসনে তাঁরা কাজ করছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাগেরহাটের ৪টি আসন বহাল, ফিরল না গাজীপুর ৬

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ৪৯
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বাগেরহাটের ৪টি আসন পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল খারিজ করে আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ সর্বসম্মতিতে এ আদেশ দেন।

এর ফলে বহাল থাকল বাগেরহাটের চারটি আসন। বাদ পড়েছে গাজীপুর-৬ আসনটিও।

এর আগে বাগেরহাটের আসন একটি কমিয়ে তিনটি করা এবং গাজীপুরে একটি বাড়ানো-সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের গেজেট চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত বাতিল করে গত ১০ নভেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন।

হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পরপরই তা স্থগিত চেয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এবং গাজীপুর-৬ আসন থেকে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী ড. হাফিজুর রহমান ও বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী মো. সালাহ উদ্দিন সরকার আপিল বিভাগে পৃথক আবেদন করেন।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। ড. হাফিজুর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বঙ্গভবনে সিইসি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ১৪
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন সিইসি। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন সিইসি। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন।

বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনের সার্বিক প্রস্তুতি ও তফসিল ঘোষণা বিষয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে আলোচনা করতে বঙ্গভবনে গেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন। সিইসি দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে বঙ্গভবনে পৌঁছান।

এর আগে ১০টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবন থেকে বঙ্গভবনের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে রয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ (অবসরপ্রাপ্ত), তাহমিদা বেগম, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার ও আব্দুর রহমানেল মাছউদ এবং ইসি সচিব আখতার আহমেদ।

উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে। তফসিল-সংক্রান্ত ভাষণ রেকর্ড করতে ইতিমধ্যে বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারকে চিঠিও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলাদেশের ‘টাঙ্গাইল শাড়ি বুনন শিল্প’ অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, ইউনেসকোর স্বীকৃতি

বাসস, ঢাকা  
টাঙ্গাইল শাড়িতে অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম। ছবি: ফেসবুক
টাঙ্গাইল শাড়িতে অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম। ছবি: ফেসবুক

টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এই কনভেনশনের আওতায় এটি বাংলাদেশের ষষ্ঠ একক নিবন্ধন। সভায় প্রথমবারের মতো সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর বিগত চার বছরে এটি দ্বিতীয় নিবন্ধন।

সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান এবং ইউনেসকো সাধারণ পরিষদের সভাপতি ও বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানান, ‘এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের জন্য অসামান্য গৌরবের বিষয়। দীর্ঘ দুই শতকের বেশি সময় ধরে টাঙ্গাইলের তাঁতিদের অনবদ্য শিল্পকর্মের বৈশ্বিক স্বীকৃতি এটি।’

তিনি আরও বলেন, ‘টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের সকল নারীর নিত্য পরিধেয়, যা এই শাড়ি বুনন শিল্পের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের পেছনে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে।’

এই অর্জনকে বাংলাদেশের সকল তাঁতি ও নারীদের প্রতি উৎসর্গ করেছেন রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা।

বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সামগ্রিক সুরক্ষায় এই স্বীকৃতি নতুন মাত্রা যোগ করবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত তালহা বলেন, ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেসকোর স্বীকৃতি অর্জনের মতো বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক উপাদান রয়েছে।

নথি প্রস্তুত করার সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কনভেনশন সংক্রান্ত অভিজ্ঞ জনবল তৈরি করার মাধ্যমে আরও অনেক ঐতিহ্যের ইউনেসকো-স্বীকৃতি অর্জনের সুযোগ রয়েছে।

এর আগে, গত ৭ ডিসেম্বর আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের চলমান ২০তম সভা উদ্বোধন করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শংকর। অনুষ্ঠানে ইউনেসকোর নবনিযুক্ত মহাপরিচালক খালেদ এল. এনানি উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজ সংবাদ সম্মেলনে আসছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ৩৪
ভারতকে হারানোর পর ২ কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।ছবি: ফাইল ছবি
ভারতকে হারানোর পর ২ কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।ছবি: ফাইল ছবি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তোড়জোড়ের মধ্যে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আসছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

সমসাময়িক বিষয়ে আজ বুধবার বেলা ৩টায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলনকক্ষে আসিফ মাহমুদের সংবাদ সম্মেলন হবে বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।

সমসাময়িক কোন বিষয়ে আসিফ মাহমুদ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলবেন, মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণপত্রে তা উল্লেখ করা হয়নি। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজকের সংবাদ সম্মেলন থেকে উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারেন তিনি।

আজ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার পর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার জন্য ভাষণের রেকর্ড করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। আজ সন্ধ্যায় বা আগামীকাল বৃহস্পতিবার এই তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমও আজ পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারেন বলে আলোচনা রয়েছে।

উপদেষ্টার পদে থেকে নির্বাচন করতে আইনি বাধা না থাকলেও তফসিল ঘোষণার আগে সরকারে থাকা দুজন ছাত্র উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনে অন্যতম সমন্বয়ক হিসেবে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আসিফ মাহমুদ। তাঁদের আন্দোলন একপর্যায়ে সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে রূপ নেয়। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। এরপর ওই বছরের ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন আসিফ মাহমুদ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত