কঙ্কন সরকার, গাইবান্ধা
যে সময়ে বেশির ভাগ মানুষ গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকে, সেই নিঝুম রাতের আঁধার পেরিয়ে ছুটতে থাকেন বারাই ও ব্যাপারীরা। কেউ বিক্রি করবেন, কেউ কিনবেন। আশা নিয়ে কেউ কেউ আগের দিনই পৌঁছে যান সেখানে। অক্টোবরের এক ভোরে, ঠিক পাঁচটায় রওয়ানা দিই সে হাটের উদ্দেশে। যে অটোরিকশা পেলাম তার চালক আগেই একবার রেখে এসেছেন এক বারাইকে। যাহোক, ১৫ মিনিটেই পৌঁছে গেলাম হাটে।
জমজমাট সে হাট। ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড় দেখার মতো। বিদ্যুতের আলোর মাঝে তখনো অন্ধকার লেগে আছে গায়ে গায়ে। কিন্তু সে আঁধার ফুঁড়ে বেরিয়ে আসছে কেনাবেচা আর দরদামের হইচই। কেউ আসছেন বিক্রির জন্য পানের গাদি নিয়ে, কেউ যাচ্ছেন পান কিনে নিয়ে। মধ্যরাত থেকেই শুরু হয় হাটের কারবার। হাটটি দিনে দিনে বিস্তৃতি ও সমৃদ্ধি লাভ করছে। একসময় দুপুর ১২টায় বসলেও হাটটি করোনার সময় থেকে ভোররাতে শুরু করেছে। শনি ও মঙ্গলবার এ হাট বসে। এ পানের হাটটি বসে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জের ধুবনি বাজারের পাশে ধুবনি কঞ্চিবাড়ি দাখিল মাদ্রাসার মাঠে। পাশে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র। পান কেনাবেচার সঙ্গে এখানে বিক্রি হয় পানের সঙ্গে ব্যবহৃত হয়, এমন জিনিসপত্রও।
হাটে ঘুরতে ঘুরতে একে-তাকে প্রশ্ন করে কিছু তথ্য জানা গেল। পানের ব্যবসায়ীরা জানালেন, হাটবারে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার পান কেনাবেচা হয়। পানের হিসাবে এখনো আমাদের প্রাচীন হিসাবকিতাবের হদিস মেলে। সাধারণত ৮০টি পানে এক বিড়া। তবে কোথাও কোথাও ৬৪টিতেও এক বিড়া হয়। প্রতি গাদিতে পান থাকে ৮০ বিড়া। আবার ২০ গণ্ডা বা ১৬ গণ্ডায়ও বিড়ার হিসাব হয়। চারটি পানে এক গণ্ডা। ২০ গণ্ডা মানে ৮০টি পান। অর্থাৎ এক বিড়া। আবার ৮ বিড়ায় এক তৌষি বা তষি। হাটে আমদানি ও চাহিদার ওপর নির্ভর করে ৫ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয় প্রতি বিড়া পান।
যারা পান বিক্রি করতে নিয়ে আসেন, তাদের বলে বারাই। সুন্দরগঞ্জ ছাড়াও পাশের পীরগাছা, মিঠাপুকুর, রংপুর, কুড়িগ্রাম, উলিপুর, চিলমারী, নাগেশ্বরী, গাইবান্ধা, সাদুল্ল্যাপুর, পীরগঞ্জ, দিনাজপুর থেকেও বিরাইরা পান নিয়ে আসেন এখানে। ব্যাপারীরাও আসেন দূরদূরান্ত থেকে। ধুবনি পানের বাজার থেকে পান কিনে সেগুলোকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দেন ব্যবসায়ীরা।
জানা গেল, সুন্দরগঞ্জের সব জায়গায় পানের চাষ হলেও চণ্ডীপুর, কঞ্চিবাড়ি, শান্তিরাম, বেলকা, সোনারায়, সর্বানন্দ এলাকায় উন্নত জাতের পানের চাষ হচ্ছে। একজন পানচাষি জানালেন, এখানকার পোক্ত পান বড়, মুরমুরে ও সুস্বাদু হয়। ফলে তাম্বুলি বা পুস্তি অর্থাৎ পানখোরেরা আরাম পায়। এ জন্য খিলিপানের দোকানে এ অঞ্চলের পানের ব্যাপক চাহিদা। সুন্দরগঞ্জের পানের গ্রাম বলে খ্যাত ছয়ঘরিয়ার পান দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে এই পানের হাটের মাধ্যমে। একজন বারাইকে জিজ্ঞেস করলাম, হাটের দিন ঘুম হয়? তিনি জানালেন, সপ্তাহে এক দিন ‘আদামাদা’ মানে ঘুম হলেও সমস্যা নেই। পান তো বিক্রি হয়! বাজারটি হয়ে খুব ভালো হয়েছে এলাকার মানুষের। পান এ এলাকার অর্থনীতিতে বড় চালিকাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। এই পানের হাট আগে শোভাগঞ্জ বাজারে বসত। সেখান থেকে মজুমদার হাট। কিন্তু সেখানেও জায়গার সংকুলান না হওয়ায় ১০-১২ বছর থেকে এখানে বসছে। দেখতে দেখতে সকাল আটটা বাজল আর হাটেরও হই-হট্টগোল শেষ হলো।
যে সময়ে বেশির ভাগ মানুষ গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকে, সেই নিঝুম রাতের আঁধার পেরিয়ে ছুটতে থাকেন বারাই ও ব্যাপারীরা। কেউ বিক্রি করবেন, কেউ কিনবেন। আশা নিয়ে কেউ কেউ আগের দিনই পৌঁছে যান সেখানে। অক্টোবরের এক ভোরে, ঠিক পাঁচটায় রওয়ানা দিই সে হাটের উদ্দেশে। যে অটোরিকশা পেলাম তার চালক আগেই একবার রেখে এসেছেন এক বারাইকে। যাহোক, ১৫ মিনিটেই পৌঁছে গেলাম হাটে।
জমজমাট সে হাট। ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড় দেখার মতো। বিদ্যুতের আলোর মাঝে তখনো অন্ধকার লেগে আছে গায়ে গায়ে। কিন্তু সে আঁধার ফুঁড়ে বেরিয়ে আসছে কেনাবেচা আর দরদামের হইচই। কেউ আসছেন বিক্রির জন্য পানের গাদি নিয়ে, কেউ যাচ্ছেন পান কিনে নিয়ে। মধ্যরাত থেকেই শুরু হয় হাটের কারবার। হাটটি দিনে দিনে বিস্তৃতি ও সমৃদ্ধি লাভ করছে। একসময় দুপুর ১২টায় বসলেও হাটটি করোনার সময় থেকে ভোররাতে শুরু করেছে। শনি ও মঙ্গলবার এ হাট বসে। এ পানের হাটটি বসে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জের ধুবনি বাজারের পাশে ধুবনি কঞ্চিবাড়ি দাখিল মাদ্রাসার মাঠে। পাশে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র। পান কেনাবেচার সঙ্গে এখানে বিক্রি হয় পানের সঙ্গে ব্যবহৃত হয়, এমন জিনিসপত্রও।
হাটে ঘুরতে ঘুরতে একে-তাকে প্রশ্ন করে কিছু তথ্য জানা গেল। পানের ব্যবসায়ীরা জানালেন, হাটবারে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার পান কেনাবেচা হয়। পানের হিসাবে এখনো আমাদের প্রাচীন হিসাবকিতাবের হদিস মেলে। সাধারণত ৮০টি পানে এক বিড়া। তবে কোথাও কোথাও ৬৪টিতেও এক বিড়া হয়। প্রতি গাদিতে পান থাকে ৮০ বিড়া। আবার ২০ গণ্ডা বা ১৬ গণ্ডায়ও বিড়ার হিসাব হয়। চারটি পানে এক গণ্ডা। ২০ গণ্ডা মানে ৮০টি পান। অর্থাৎ এক বিড়া। আবার ৮ বিড়ায় এক তৌষি বা তষি। হাটে আমদানি ও চাহিদার ওপর নির্ভর করে ৫ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয় প্রতি বিড়া পান।
যারা পান বিক্রি করতে নিয়ে আসেন, তাদের বলে বারাই। সুন্দরগঞ্জ ছাড়াও পাশের পীরগাছা, মিঠাপুকুর, রংপুর, কুড়িগ্রাম, উলিপুর, চিলমারী, নাগেশ্বরী, গাইবান্ধা, সাদুল্ল্যাপুর, পীরগঞ্জ, দিনাজপুর থেকেও বিরাইরা পান নিয়ে আসেন এখানে। ব্যাপারীরাও আসেন দূরদূরান্ত থেকে। ধুবনি পানের বাজার থেকে পান কিনে সেগুলোকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দেন ব্যবসায়ীরা।
জানা গেল, সুন্দরগঞ্জের সব জায়গায় পানের চাষ হলেও চণ্ডীপুর, কঞ্চিবাড়ি, শান্তিরাম, বেলকা, সোনারায়, সর্বানন্দ এলাকায় উন্নত জাতের পানের চাষ হচ্ছে। একজন পানচাষি জানালেন, এখানকার পোক্ত পান বড়, মুরমুরে ও সুস্বাদু হয়। ফলে তাম্বুলি বা পুস্তি অর্থাৎ পানখোরেরা আরাম পায়। এ জন্য খিলিপানের দোকানে এ অঞ্চলের পানের ব্যাপক চাহিদা। সুন্দরগঞ্জের পানের গ্রাম বলে খ্যাত ছয়ঘরিয়ার পান দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে এই পানের হাটের মাধ্যমে। একজন বারাইকে জিজ্ঞেস করলাম, হাটের দিন ঘুম হয়? তিনি জানালেন, সপ্তাহে এক দিন ‘আদামাদা’ মানে ঘুম হলেও সমস্যা নেই। পান তো বিক্রি হয়! বাজারটি হয়ে খুব ভালো হয়েছে এলাকার মানুষের। পান এ এলাকার অর্থনীতিতে বড় চালিকাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। এই পানের হাট আগে শোভাগঞ্জ বাজারে বসত। সেখান থেকে মজুমদার হাট। কিন্তু সেখানেও জায়গার সংকুলান না হওয়ায় ১০-১২ বছর থেকে এখানে বসছে। দেখতে দেখতে সকাল আটটা বাজল আর হাটেরও হই-হট্টগোল শেষ হলো।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪