Ajker Patrika

পেঁয়াজ বীজ বেচে বছরে আয় ২৫ লাখের বেশি

মিজানুর রহমান নয়ন, কুমারখালী (কুষ্টিয়া)
আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২২, ১২: ০৪
Thumbnail image

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার একজন সফল পেঁয়াজচাষি আবু তালেব (৪০)। প্রতিবছর তিনি প্রায় ১২ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ বীজ চাষ করেন। এতে প্রায় ৩০ থেকে ৩৬ মণ বীজ উৎপাদন হয়, যার বাজারমূল্য ২৮ থেকে ৩৬ লাখ টাকা। আর খরচ হয় মাত্র ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা। খরচ বাদে আবু তালেবের মাসিক আয় ২৫ থেকে ৩০ লাখের মতো টাকা।

কৃষক আবু তালেব উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হোগলা গ্রামের মৃত হাজি গফুর শেখের ছেলে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কৃষক আবু তালেব পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন করে ইতিমধ্যে জেলাব্যাপী সাড়া ফেলেছেন। জেলায় একজন সফল বীজ উদ্যোক্তা হিসেবে সুনাম রয়েছে তাঁর। বর্তমানে তাঁর ১২ বিঘা জমিতে রয়েছে পেঁয়াজ বীজ। মাঠের পর মাঠজুড়ে সবুজ পেঁয়াজখেত। এসব বীজের বাজারদর চড়া হওয়ায় চাষিরা এ বীজকে ‘কালো সোনা’ বলেও আখ্যায়িত করেন।

সফল এ পেঁয়াজ চাষির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি ২০০৩ সালে নিজ উদ্যোগে মাত্র ১৬ শতাংশ জমিতে মসলা জাতীয় ফসল ও বীজ উৎপাদন শুরু করেন। বর্তমানে তিনি প্রায় ২০ বিঘা জমিতে এ চাষাবাদ করছেন। তার মধ্যে ১২ বিঘা জমিতে রয়েছে পেঁয়াজ বীজ। উৎপাদন বৃদ্ধি ও বীজের গুণগত মান রক্ষায় জমিতে সেচ ও মৌ বক্স স্থাপনের মাধ্যমে পেঁয়াজ ফুলের পরাগায়ন নিশ্চিত করেন তিনি। আরও জানা গেছে, জমির ইজারা, বীজ, কীটনাশক ও পরিচর্যায় বাবদ প্রতি বিঘায় খরচ হয় ৪০ থেকে ৫৫ হাজার টাকা। আর প্রতি বিঘায় আড়াই থেকে ৩ মণ পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন হয়ে থাকে। প্রতি মণ বীজ প্রায় ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে। অর্থাৎ প্রতি বিঘায় আড়াই থেকে তিন লাখ টাকার বীজ উৎপাদন হয়। সব মিলে তালেবের ১২ বিঘায় বীজ উৎপাদনে ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা খরচ হয়। আর ২৮ থেকে ৩৬ লাখ টাকার বীজ উৎপাদন হয়।

কৃষক আবু তালেব বলেন, ‘কৃষি কাজের জন্য সারা বছরই বিভিন্ন ফসলের বীজ অপরিহার্য। বীজ উৎপাদনে খরচ কম, লাভ বেশি। সে হিসেব করেই বীজ উৎপাদনে চাষাবাদ শুরু করি। মাত্র ১৬ শতাংশ জমি থেকে বর্তমানে প্রায় ২০ বিঘা জমিতে চাষাবাদ করছি। ১২ বিঘাতে রয়েছে পেঁয়াজের বীজ। এতে প্রায় ৩০ থেকে ৩৬ মণ বীজ উৎপাদন হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ২৮ থেকে ৩৬ লাখ টাকা। আর খরচ হয় ৫ থেকে ৭ লাখ টাকার মতো। উৎপাদিত খরচ বাদে বছরে ২৫ লাখের মতো টাকা থাকে।’ উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বক্ষণিক সহযোগিতা পান বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাইসুল ইসলাম বলেন, ‘আবু তালেব একজন সফল বীজ উৎপাদনকারী। বীজ চাষে তিনি লাভবান হয়েছেন। তাঁর দেখাদেখি এখন অনেক কৃষক বীজ চাষে আগ্রহ বাড়িয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত