Ajker Patrika

অনিয়ম, ডিলারশিপ বাতিল

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৭: ২৫
অনিয়ম, ডিলারশিপ বাতিল

চট্টগ্রামের হাটহাজারী পৌরসভায় ওএমএসের চাল বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগে একজনের ডিলারশিপ বাতিল করা হয়েছে। গত বুধবার এ সংক্রান্ত অভিযোগ উঠলে তদন্তে প্রমাণ পেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে তাঁর ডিলারশিপ বাতিল করা হয়। মাসখানেক আগে একই অভিযোগে একজনের ডিলারশিপ স্থগিত করা হয়েছিল। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহিদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহিদুল আলম জানান, চাল বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগে ডিলার আবদুল হালিমের ডিলারশিপ বাতিল করা হয়েছে। তা ছাড়া জাহাঙ্গীর আলমের ডিলারশিপ স্থগিত করা হয়। হতদরিদ্রদের ওএমএসের চাল বিক্রিতে অনিয়ম বন্ধে নিয়মিত তদারিক চলবে।

গত বুধবার সকালে সরেজমিন হাটহাজারী ডাকবাংলোয় এলাকায় গিয়ে যায়, ওএমএসের ডিলার আজিজ স্টোরের স্বত্বাধিকারী আবদুল হালিমসহ কয়েকজন নিম্ন আয়ের হতদরিদ্র মানুষের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় লিপ্ত হয়েছেন।

পাশে শত শত নারী-পুরুষ আলাদা দীর্ঘ সারিতে চাল কিনতে ভোর থেকে দাঁড়িয়ে আছেন। এর মধ্যে ঘণ্টা দুই পর ডিলার আবদুল হালিম জানান, চাল শেষ হয়ে গেছে। আজ আর বিক্রি করা হবে না। এ সময় দূর-দুরান্ত থেকে চাল কিনতে আসা হতদরিদ্র নারী-পুরুষ প্রতিবাদ করলে ডিলার আবদুল হালিমের লোকজন তাদের মারধর করতে উদ্ধত হয়।

পৌরসভার হাটহাজারী রেলস্টেশন রোড থেকে চাল কিনতে আসা পঞ্চাশোর্ধ্ব মো. রমজান আলী জানান, দুই থেকে আড়াই শ জন লোক দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়েও চাল কিনতে পারছেন না।

ওএমএসের ডিলাররা তাঁদের কাছে চাল বিক্রি করছেন না। তা ছাড়া প্রতিদিন ৫০ কেজি ওজনের ৩০ বস্তা (১ হাজার ৫০০ কেজি) চাল বিক্রির কথা থাকলেও ডিলাররা ওই পরিমাণ চাল বিক্রি করছেন না।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কলেজ গেট এলাকায় ওএমএসের চাল কেনার দীর্ঘ সারিতে দাঁড়ানো বিলকিছ আকতার নামের এক নারী জানান, প্রতিদিন একজন ডিলারের পাঁচ কেজি করে তিন শ জন মানুষের কাছে চাল বিক্রি করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু ডিলার অশোক সেন তা মানছেন না।

তবে ডিলার অশোক সেন এই অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করে বলেন, ‘আমি নিয়মিত ৩০ বস্তা চাল বিক্রি করছি।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, ডিলাররা অল্প পরিমাণ চাল বিক্রির জন্য আনলেও তাঁরা এসব চাল পাশের (ডাকবাংলো এলাকা) আল সাকিব টেইলার্সে বাজারের ব্যাগে ১৫-২০ কেজি করে রাখেন। পরে তাঁদের পরিচিত লোক এলে তাঁদের দিয়ে এসব চাল সরিয়ে ফেলা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওএমএসের ডিলার আবদুল হালিম বলেন, ‘পরিচিত কেউ এলে তাদের তো আর দাঁড় করিয়ে রাখতে পারি না। দাঁড় করিয়ে রাখলে তাঁরা লজ্জা পায়। তাই তাঁদের এখান থেকে (আল সাকিব টেইলার্স) দিয়ে থাকি। এভাবে চাল বিক্রির বৈধতা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি এর জবাব এড়িয়ে যান।

এদিকে মাসখানেক আগে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলম নামের এক ব্যক্তির ডিলারশিপ বাতিল করা হয়।

হাটহাজারী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সোনাধন ত্রিপুরা জানান, প্রতিদিন পৌরসভার চার স্থানে ওএমএসের চাল বিক্রি করা হয়। অনিয়মের কারণে দুজনের চাল বিক্রি বন্ধ করা হয়েছে। এখন পাঁচজন ডিলার বিক্রি করছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিজের প্রস্রাব পান করে ‘আশিকি’ অভিনেত্রী অনু আগারওয়াল বললেন, ‘আহা অমৃত’

মে. জে. ফজলুরের সেভেন সিস্টার্স দখলের মন্তব্য সমর্থন করে না সরকার: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

গায়ে কেরোসিন ঢেলে কলেজছাত্রীর আত্মহনন, পলাতক ইমাম গ্রেপ্তার

সরকারি মাধ্যমিকের সহকারী শিক্ষকেরা পাচ্ছেন গেজেটেড মর্যাদা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত