ঢাবি প্রতিনিধি
অমর একুশে ফেব্রুয়ারি সামনে রেখে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শিল্পীর রংতুলির আঁচড়ে প্রস্তুত হচ্ছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। শহীদ মিনার এলাকায় চলছে দেয়াললিখন, আলপনা ও ধোয়ামোছার কাজ।
সরেজমিন দেখা যায়, শহীদ মিনার এলাকার দেয়ালগুলো ধুয়েমুছে রং করানো হচ্ছে। এর ওপরে আলপনা করছেন শিল্পীরা, লেখা হচ্ছে ভাষা আন্দোলনের বিভিন্ন স্লোগান, ভাষা নিয়ে লেখা বিভিন্ন কবি-সাহিত্যিকদের কবিতা, শ্লোক ও বিশেষ পঙ্ক্তি। অনাকাঙ্ক্ষিত জনসমাগম ঠেকাতে দেওয়া হচ্ছে নিরাপত্তাবেষ্টনী, নিরাপত্তা নিশ্চিতে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।
আলপনার কাজে নিয়োজিত শেখ সাব্বির নামের এক শিল্পী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা নতুন প্রজন্ম। আমরা যদি কাজগুলো না করি তাহলে ধীরে ধীরে আমাদের ঐতিহ্য-সংস্কৃতি হারিয়ে যাবে। দায়িত্ববোধ, দেশ ও বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসার অংশ হিসেবে প্রতিবছরের মতো এবারও কাজ করছি।’
আলপনা, দেয়াললিখনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন নিসার হোসেন বলেন, শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে পাকিস্তান আমলে। তখন থেকে এটিকে ইসলামি চরিত্র দিতে একটি গোষ্ঠী মরিয়া ছিল। স্বাধীনতাযুদ্ধের পরও তারা সেই চেষ্টা করছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ম থেকে মুক্ত করে ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রের রূপ দেওয়ার লড়াইয়ের অংশ হিসেবে আলপনা ও দেয়াললিখনের এ আন্দোলন।
সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও অমর একুশে উদ্যাপন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠান, তাই রাষ্ট্রীয় আকারে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। র্যাব ও ডিএমপির নিরাপত্তাবলয় থাকবে। পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। নিরাপত্তার অংশ হিসেবে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
রুটম্যাপ-নির্দেশনা: এদিকে এবার ২১ ফেব্রুয়ারিতে প্রত্যেক ব্যক্তির পক্ষ থেকে দুজন এবং প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পাঁচজন ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারবেন। এ ছাড়া মাস্ক, দুই ডোজ করোনার টিকা ও টিকা সনদ সঙ্গে রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। গতকাল শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান উপাচার্য।
মো. আখতারুজ্জামান বলেন, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে পলাশী মোড় থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত রাস্তায় তিন ফুট পরপর চিহ্ন থাকবে। এই চিহ্ন অনুসরণ করে সবাই পর্যায়ক্রমে শহীদ মিনারে যাবেন এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এ ক্ষেত্রে যথাযথভাবে রুটম্যাপ অনুসরণ করতে হবে।
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিরা শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এলে তাঁদের জন্য কোনো ব্যবস্থা থাকবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য দেওয়া হলে নিরাপত্তাব্যবস্থায় যাঁরা দায়িত্বে থাকবেন তাঁরা বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন।’
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সুশৃঙ্খলভাবে যাতায়াতের জন্য একটি রুটম্যাপ তৈরি করেছে অমর একুশে উদ্যাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি ২০২২। একুশের প্রথম প্রহর থেকে সর্বসাধারণকে এ রুটম্যাপ মেনেই শহীদ মিনারে যেতে হবে।
টিএসসি মোড় থেকে জগন্নাথ হলের পূর্ব পাশের রাস্তা অর্থাৎ শিববাড়ির পশ্চিম পাশ দিয়ে শহীদ মিনারে ও মেডিকেল কলেজে যাওয়ার রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। ভিসি ভবন গেট থেকে ফুলার রোড হয়ে ফুলার রোড মোড় পর্যন্ত রাস্তা এবং চানখারপুল থেকে কার্জন হল পর্যন্ত রাস্তাও জনসাধারণের যাতায়াতের জন্য সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।
অমর একুশে ফেব্রুয়ারি সামনে রেখে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শিল্পীর রংতুলির আঁচড়ে প্রস্তুত হচ্ছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। শহীদ মিনার এলাকায় চলছে দেয়াললিখন, আলপনা ও ধোয়ামোছার কাজ।
সরেজমিন দেখা যায়, শহীদ মিনার এলাকার দেয়ালগুলো ধুয়েমুছে রং করানো হচ্ছে। এর ওপরে আলপনা করছেন শিল্পীরা, লেখা হচ্ছে ভাষা আন্দোলনের বিভিন্ন স্লোগান, ভাষা নিয়ে লেখা বিভিন্ন কবি-সাহিত্যিকদের কবিতা, শ্লোক ও বিশেষ পঙ্ক্তি। অনাকাঙ্ক্ষিত জনসমাগম ঠেকাতে দেওয়া হচ্ছে নিরাপত্তাবেষ্টনী, নিরাপত্তা নিশ্চিতে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।
আলপনার কাজে নিয়োজিত শেখ সাব্বির নামের এক শিল্পী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা নতুন প্রজন্ম। আমরা যদি কাজগুলো না করি তাহলে ধীরে ধীরে আমাদের ঐতিহ্য-সংস্কৃতি হারিয়ে যাবে। দায়িত্ববোধ, দেশ ও বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসার অংশ হিসেবে প্রতিবছরের মতো এবারও কাজ করছি।’
আলপনা, দেয়াললিখনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন নিসার হোসেন বলেন, শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে পাকিস্তান আমলে। তখন থেকে এটিকে ইসলামি চরিত্র দিতে একটি গোষ্ঠী মরিয়া ছিল। স্বাধীনতাযুদ্ধের পরও তারা সেই চেষ্টা করছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ম থেকে মুক্ত করে ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রের রূপ দেওয়ার লড়াইয়ের অংশ হিসেবে আলপনা ও দেয়াললিখনের এ আন্দোলন।
সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও অমর একুশে উদ্যাপন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠান, তাই রাষ্ট্রীয় আকারে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। র্যাব ও ডিএমপির নিরাপত্তাবলয় থাকবে। পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। নিরাপত্তার অংশ হিসেবে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
রুটম্যাপ-নির্দেশনা: এদিকে এবার ২১ ফেব্রুয়ারিতে প্রত্যেক ব্যক্তির পক্ষ থেকে দুজন এবং প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পাঁচজন ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারবেন। এ ছাড়া মাস্ক, দুই ডোজ করোনার টিকা ও টিকা সনদ সঙ্গে রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। গতকাল শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান উপাচার্য।
মো. আখতারুজ্জামান বলেন, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে পলাশী মোড় থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত রাস্তায় তিন ফুট পরপর চিহ্ন থাকবে। এই চিহ্ন অনুসরণ করে সবাই পর্যায়ক্রমে শহীদ মিনারে যাবেন এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এ ক্ষেত্রে যথাযথভাবে রুটম্যাপ অনুসরণ করতে হবে।
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিরা শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এলে তাঁদের জন্য কোনো ব্যবস্থা থাকবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য দেওয়া হলে নিরাপত্তাব্যবস্থায় যাঁরা দায়িত্বে থাকবেন তাঁরা বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন।’
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সুশৃঙ্খলভাবে যাতায়াতের জন্য একটি রুটম্যাপ তৈরি করেছে অমর একুশে উদ্যাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি ২০২২। একুশের প্রথম প্রহর থেকে সর্বসাধারণকে এ রুটম্যাপ মেনেই শহীদ মিনারে যেতে হবে।
টিএসসি মোড় থেকে জগন্নাথ হলের পূর্ব পাশের রাস্তা অর্থাৎ শিববাড়ির পশ্চিম পাশ দিয়ে শহীদ মিনারে ও মেডিকেল কলেজে যাওয়ার রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। ভিসি ভবন গেট থেকে ফুলার রোড হয়ে ফুলার রোড মোড় পর্যন্ত রাস্তা এবং চানখারপুল থেকে কার্জন হল পর্যন্ত রাস্তাও জনসাধারণের যাতায়াতের জন্য সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪