Ajker Patrika

মৌসুমেও বাড়তি সবজির দাম

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০২২, ১৩: ০৮
মৌসুমেও বাড়তি সবজির দাম

ভরা মৌসুমেও ময়মনসিংহে বেড়েছে সবজির দাম। তবে দাম কিছুটা কমেছে ব্রয়লার, সোনালি মুরগি ও খাসির মাংসের। এদিকে দাম বেড়েছে কয়েক ধরনের ডাল ও মাছের। এ অবস্থায় অস্বস্তিতে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ। গতকাল রোববার সকালে নগরীর শম্ভুগঞ্জ বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।

শম্ভুগঞ্জ মধ্যবাজারের রাজলক্ষ্মী স্টোরের বিক্রেতা বুলানাথ দাস বলেন, প্যাকেট আটা গত সপ্তাহে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এই সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়, আর খোলা আটা ৩৫ টাকা থেকে হয়েছে ৪০ টাকা। অ্যাংকর ডাল ১০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৪০ টাকা। ভাঙা মাষকলাই ডালে ৫ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৩০ টাকা। এদিকে ফুটবল মসুর ১০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৯০ টাকা।

খোলা সয়াবিন তেল ১৬০ টাকা, পাম তেল ১৫০, কোয়ালিটি ১৬০, বোতলজাতকরণ তেল ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে বলেও জানান এই বিক্রেতা।

একই বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. রনি মিয়া বলেন, ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহে ১৮০ টাকা বিক্রি হলেও এই সপ্তাহে ১০ টাকা কমে ১৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর সোনালি মুরগি ১০ টাকা কমে ২৭০ ও সাদা কক ২৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর খাসির মাংস গত সপ্তাহের তুলনায় ৫০ টাকা কমে ৮৫০ টাকা কেজি ও গরুর মাংস ৫৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন।

ওই বাজারের খোকন মিয়া বলেন, পেঁয়াজ রসুনের দাম স্থিতিশীল আছে। পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, দেশি রসুন ৪০ টাকা, ইন্ডিয়ান রসুন ১২০ টাকা, আদা ৮০, দেশি আলু ৩০ ও হল্যান্ড আলু ২৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

শম্ভুগঞ্জ মাছ মহালের মাছ বিক্রেতা মো. বাবুল মিয়া বলেন, মাছ বাজারে বেশি আসলে দাম কমে। আবার কম আসলে বেশি দামে বিক্রি হয়। তবে এখন বাজারে মাছ কিছুটা কম। এ জন্য কিছুটা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

ওই বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. শুক্কুর মিয়া বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় বেশ কয়েক প্রকার সবজির দাম কেজি প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। তিনি জানান, শসা ৪০ টাকা, বেগুন ৪০, মুলা ১৫, টমেটো ৩০, শিম ৪০, কাঁচামরিচ ৪০, ফুল কপি ৩০, বাধা কপি ৩০, করলা ৫০, গাজর ৩০, পেঁয়াজ পাতা ৩০, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতা নাজমুন নাহার বলেন, ‘ছোট পদে চাকরি করে বাজারে আসলে ইচ্ছেমতো কেনাকাটা করা যায় না। এখন সবজির মৌসুম, কিন্তু সবজির বাজার চড়া। তাহলে সাধারণ মানুষ কী খেয়ে বাঁচবে?’

আরেক ক্রেতা সোহাগ হাসান বলেন, ‘একটা পণ্যের দাম একবার বাড়লে আর কমতে চায় না। সরকারের উচিত নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা। ব্যবসায়ীরা তাঁদের ইচ্ছেমতো পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে।’

ময়মনসিংহ জেলা ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নিশাত মেহের বলেন, কৃষক সবজির দাম কম পেলেও ভোক্তাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে যাতায়াত খরচের একটা বিষয় রয়েছে। আমরা নিয়মিত বাজার তদারক করলেও কাচা পণ্যের দাম নির্ধারণ না থাকায় কাউকে জবাবদিহির আওতায় আনা সম্ভব হয় না। তবে একটা নিয়ম রয়েছে, কেউ ১০ শতাংশের ওপরে লাভ করতে পারবে না।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সবজির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়া উদ্বেগজনক। এ বিষয়ে আমরা তদারকি জোরদার করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত