ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ভরা মৌসুমেও ময়মনসিংহে বেড়েছে সবজির দাম। তবে দাম কিছুটা কমেছে ব্রয়লার, সোনালি মুরগি ও খাসির মাংসের। এদিকে দাম বেড়েছে কয়েক ধরনের ডাল ও মাছের। এ অবস্থায় অস্বস্তিতে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ। গতকাল রোববার সকালে নগরীর শম্ভুগঞ্জ বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
শম্ভুগঞ্জ মধ্যবাজারের রাজলক্ষ্মী স্টোরের বিক্রেতা বুলানাথ দাস বলেন, প্যাকেট আটা গত সপ্তাহে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এই সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়, আর খোলা আটা ৩৫ টাকা থেকে হয়েছে ৪০ টাকা। অ্যাংকর ডাল ১০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৪০ টাকা। ভাঙা মাষকলাই ডালে ৫ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৩০ টাকা। এদিকে ফুটবল মসুর ১০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৯০ টাকা।
খোলা সয়াবিন তেল ১৬০ টাকা, পাম তেল ১৫০, কোয়ালিটি ১৬০, বোতলজাতকরণ তেল ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে বলেও জানান এই বিক্রেতা।
একই বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. রনি মিয়া বলেন, ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহে ১৮০ টাকা বিক্রি হলেও এই সপ্তাহে ১০ টাকা কমে ১৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর সোনালি মুরগি ১০ টাকা কমে ২৭০ ও সাদা কক ২৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর খাসির মাংস গত সপ্তাহের তুলনায় ৫০ টাকা কমে ৮৫০ টাকা কেজি ও গরুর মাংস ৫৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন।
ওই বাজারের খোকন মিয়া বলেন, পেঁয়াজ রসুনের দাম স্থিতিশীল আছে। পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, দেশি রসুন ৪০ টাকা, ইন্ডিয়ান রসুন ১২০ টাকা, আদা ৮০, দেশি আলু ৩০ ও হল্যান্ড আলু ২৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
শম্ভুগঞ্জ মাছ মহালের মাছ বিক্রেতা মো. বাবুল মিয়া বলেন, মাছ বাজারে বেশি আসলে দাম কমে। আবার কম আসলে বেশি দামে বিক্রি হয়। তবে এখন বাজারে মাছ কিছুটা কম। এ জন্য কিছুটা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
ওই বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. শুক্কুর মিয়া বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় বেশ কয়েক প্রকার সবজির দাম কেজি প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। তিনি জানান, শসা ৪০ টাকা, বেগুন ৪০, মুলা ১৫, টমেটো ৩০, শিম ৪০, কাঁচামরিচ ৪০, ফুল কপি ৩০, বাধা কপি ৩০, করলা ৫০, গাজর ৩০, পেঁয়াজ পাতা ৩০, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতা নাজমুন নাহার বলেন, ‘ছোট পদে চাকরি করে বাজারে আসলে ইচ্ছেমতো কেনাকাটা করা যায় না। এখন সবজির মৌসুম, কিন্তু সবজির বাজার চড়া। তাহলে সাধারণ মানুষ কী খেয়ে বাঁচবে?’
আরেক ক্রেতা সোহাগ হাসান বলেন, ‘একটা পণ্যের দাম একবার বাড়লে আর কমতে চায় না। সরকারের উচিত নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা। ব্যবসায়ীরা তাঁদের ইচ্ছেমতো পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে।’
ময়মনসিংহ জেলা ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নিশাত মেহের বলেন, কৃষক সবজির দাম কম পেলেও ভোক্তাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে যাতায়াত খরচের একটা বিষয় রয়েছে। আমরা নিয়মিত বাজার তদারক করলেও কাচা পণ্যের দাম নির্ধারণ না থাকায় কাউকে জবাবদিহির আওতায় আনা সম্ভব হয় না। তবে একটা নিয়ম রয়েছে, কেউ ১০ শতাংশের ওপরে লাভ করতে পারবে না।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সবজির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়া উদ্বেগজনক। এ বিষয়ে আমরা তদারকি জোরদার করব।’
ভরা মৌসুমেও ময়মনসিংহে বেড়েছে সবজির দাম। তবে দাম কিছুটা কমেছে ব্রয়লার, সোনালি মুরগি ও খাসির মাংসের। এদিকে দাম বেড়েছে কয়েক ধরনের ডাল ও মাছের। এ অবস্থায় অস্বস্তিতে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ। গতকাল রোববার সকালে নগরীর শম্ভুগঞ্জ বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
শম্ভুগঞ্জ মধ্যবাজারের রাজলক্ষ্মী স্টোরের বিক্রেতা বুলানাথ দাস বলেন, প্যাকেট আটা গত সপ্তাহে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এই সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়, আর খোলা আটা ৩৫ টাকা থেকে হয়েছে ৪০ টাকা। অ্যাংকর ডাল ১০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৪০ টাকা। ভাঙা মাষকলাই ডালে ৫ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৩০ টাকা। এদিকে ফুটবল মসুর ১০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৯০ টাকা।
খোলা সয়াবিন তেল ১৬০ টাকা, পাম তেল ১৫০, কোয়ালিটি ১৬০, বোতলজাতকরণ তেল ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে বলেও জানান এই বিক্রেতা।
একই বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. রনি মিয়া বলেন, ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহে ১৮০ টাকা বিক্রি হলেও এই সপ্তাহে ১০ টাকা কমে ১৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর সোনালি মুরগি ১০ টাকা কমে ২৭০ ও সাদা কক ২৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর খাসির মাংস গত সপ্তাহের তুলনায় ৫০ টাকা কমে ৮৫০ টাকা কেজি ও গরুর মাংস ৫৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন।
ওই বাজারের খোকন মিয়া বলেন, পেঁয়াজ রসুনের দাম স্থিতিশীল আছে। পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, দেশি রসুন ৪০ টাকা, ইন্ডিয়ান রসুন ১২০ টাকা, আদা ৮০, দেশি আলু ৩০ ও হল্যান্ড আলু ২৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
শম্ভুগঞ্জ মাছ মহালের মাছ বিক্রেতা মো. বাবুল মিয়া বলেন, মাছ বাজারে বেশি আসলে দাম কমে। আবার কম আসলে বেশি দামে বিক্রি হয়। তবে এখন বাজারে মাছ কিছুটা কম। এ জন্য কিছুটা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
ওই বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. শুক্কুর মিয়া বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় বেশ কয়েক প্রকার সবজির দাম কেজি প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। তিনি জানান, শসা ৪০ টাকা, বেগুন ৪০, মুলা ১৫, টমেটো ৩০, শিম ৪০, কাঁচামরিচ ৪০, ফুল কপি ৩০, বাধা কপি ৩০, করলা ৫০, গাজর ৩০, পেঁয়াজ পাতা ৩০, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতা নাজমুন নাহার বলেন, ‘ছোট পদে চাকরি করে বাজারে আসলে ইচ্ছেমতো কেনাকাটা করা যায় না। এখন সবজির মৌসুম, কিন্তু সবজির বাজার চড়া। তাহলে সাধারণ মানুষ কী খেয়ে বাঁচবে?’
আরেক ক্রেতা সোহাগ হাসান বলেন, ‘একটা পণ্যের দাম একবার বাড়লে আর কমতে চায় না। সরকারের উচিত নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা। ব্যবসায়ীরা তাঁদের ইচ্ছেমতো পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে।’
ময়মনসিংহ জেলা ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নিশাত মেহের বলেন, কৃষক সবজির দাম কম পেলেও ভোক্তাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে যাতায়াত খরচের একটা বিষয় রয়েছে। আমরা নিয়মিত বাজার তদারক করলেও কাচা পণ্যের দাম নির্ধারণ না থাকায় কাউকে জবাবদিহির আওতায় আনা সম্ভব হয় না। তবে একটা নিয়ম রয়েছে, কেউ ১০ শতাংশের ওপরে লাভ করতে পারবে না।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সবজির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়া উদ্বেগজনক। এ বিষয়ে আমরা তদারকি জোরদার করব।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪