Ajker Patrika

নিষিদ্ধ হলেও চলছে রোপণ

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২১, ১৮: ৩০
নিষিদ্ধ হলেও চলছে রোপণ

সরকার নিষিদ্ধ করলেও বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় বন্ধ হচ্ছে না পরিবেশ বিপর্যয়কারী ইউক্যালিপটাস গাছের রোপণ। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরে এই গাছের উৎপাদন ও বিপণন দেখা গেছে।

উপজেলা কৃষি কার্যালয়ে এই গাছের সংখ্যার নেই কোনো সঠিক পরিসংখ্যান। দ্রুত বেড়ে ওঠে এবং অল্প দিনেই বিক্রি করা যায় বলে অনেকেই এই গাছ রোপণ করেন। তা ছাড়া অনেকেই এই গাছের ক্ষতিকর দিক নিয়ে জানে না।

পরিবেশের জন্য ক্ষতিকরের কথা চিন্তা করে সরকার ২০০৮ সালে এই গাছের চারা উৎপাদন ও বিপণন নিষিদ্ধ করে। কিন্তু মনিটরিং ব্যবস্থা জোরালো না থাকায় বন্ধ হচ্ছে না ইউক্যালিপটাস গাছের উৎপাদন ও বিপণন।

সান্তাহার শহীদ আহসানুল হক ডিগ্রি কলেজের জীববিদ্যা বিষয়ের শিক্ষক মোস্তাফিজার রহমান বলেন, এই গাছের মূল থাকে মাটির ১৫ মিটার গভীরে। গাছগুলো পানি ও খনিজ লবণ শোষণ ছাড়াও মাটির গভীর থেকে অতিরিক্ত পানি শোষণ করে। ফলে যে স্থানে এ গাছ থাকে, সেই স্থান হয়ে পড়ে পানিশূন্য ও অনুর্বর। এতে ওই অঞ্চলের পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় অন্য প্রজাতির গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিভিন্ন পোকামাকড় ও পাখির জন্য যথেষ্ট ক্ষতিকর এই গাছ। অতিরিক্ত কার্বন-অক্সাইড নিঃসরণ করে বলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।

উপজেলার করজবাড়ী গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এই গাছের ক্ষতির দিকটা ভালো জানা নাই। আর অধিক লাভের আশায় অনেকেই আবাদি ও পতিত জমি, বসতবাড়ি ও জমির আইলে এই গাছ রোপণ করে থাকেন। কেউ কোনো দিন বাধা দেয়নি।’

সান্তাহার নাগরিক কমিটির যুগ্ম সম্পাদক রবিউল ইসলাম বলেন, ইউক্যালিপটাস গাছের উৎপাদন কিংবা বিপণনে মানুষকে নিরুৎসাহিত করা প্রয়োজন। কৃষকদের মধ্যে মাইকিং করে এর ক্ষতিকর দিকটা জানাতে হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিঠু চন্দ্র অধিকারী বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সময় এই ক্ষতিকর গাছটির বিষয়ে কৃষক ভাইদের নিরুৎসাহিত করেছি। এই গাছের কারণে মাটির পুষ্টিপ্রবাহও নষ্ট হয়। গাছটি প্রকৃতি ও পাখিদের জন্যও ক্ষতিকর। অল্প দিনে বৃদ্ধি পায় এবং লাভবান হওয়ার জন্য অনেক কৃষক ভাই এই গাছ রোপণ করেন। এই ভুল ধারণা থেকে কৃষকদের সরে আসতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত