Ajker Patrika

তিন দশকের বাঁশের হাট

টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ ডিসেম্বর ২০২১, ১০: ৩৪
তিন দশকের বাঁশের হাট

টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়নের ইছামতী নদীর তীর ঘেঁষে বসছে বালিগাঁও বাঁশ পট্টি। সপ্তাহের সাত দিনই এখানে বাঁশ কেনাবেচা চলে। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসেন বাঁশ কিনতে। তিন দশকের বেশি সময় চলছে এ হাট।

মাখলা, তেলুয়া, বড়বাসা, পরাগসহ বিভিন্ন জাতের বাঁশ রয়েছে এই হাঁটে। তবে বাঁশ বিক্রির পাশাপাশি বাঁশের বেড়া, চায়না প্লাস্টিক নেট, প্লাস্টিক দড়িসহ বিভিন্ন জিনিস পাইকারি বিক্রি হয় এই হাটে।

মূলত মাটি ভরাটে বাঁধ দেওয়ার জন্য এসব পণ্য বিক্রি হয়। ময়মনসিংহ থেকে কিনে নৌপথে এসব বাঁশ আনেন বিক্রেতারা। বালিগাঁও বাঁশ পট্টি গিয়ে দেখা যায়, ৩০ থেকে ৩৫ ফুট প্রতিটি বাঁশ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা। বেড়া বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা।

বাঁশ ক্রয় করতে আশা হুমায়ুন কবির বলেন, ‘সামনে আলু রোপণ করমু তাই একটা ছাপড়া ঘর তুলতে হইবো। অহন বাঁশ কিইনা বাড়িতে জামু। বাঁশের দাম আগের চেয়ে অনেক বেশি। বাঁশের ঘোড়া (ছোট বেড়া) কিনলাম ২৫০ টাকা করে।’

বাঁশ বিক্রেতা রমজান আলী বলেন, ‘২০ বছর ধরে এই বাঁশ ব্যবসা করে আসছি। আমি পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করি। ছোট-বড় বাঁশ একদামে কিনতে হয়। আমরা এখানে এনে গড় করে বিক্রি করি। নৌপথে বাঁশ আনতে খরচ বেশি। আবার ডিজেলের দাম বাড়াইছে সরকার। তাই বাঁশের দাম আগের চেয়ে একটু বেশি। উপজেলায় এই বাঁশের হাটের বেশ পরিচিতি ও সুনাম রয়েছে।’

আরেক বিক্রেতা মো. সুলতান বলেন, ‘ময়মনসিংহ থেকে নৌপথে আমরা এসব বাঁশ এনে বিক্রি করি। আমারা এখানে বিভিন্ন আকার ও জাতের বাঁশ বিক্রি করে থাকি। আকারভেদে বাঁশের দাম নির্ধারণ করা হয়। বড় আকারের বাঁশের দাম প্রতিটি ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। এ ছাড়া মাঝারি আকারের বাঁশ ও বাঁশের ঘোড়া ও বেড়া বিক্রি করে থাকি। আমাদের এখানে টঙ্গিবাড়ী উপজেলা ছাড়াও মুন্সিগঞ্জ সদর ও পাশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে ক্রেতারা বাঁশ কিনতে আসেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত