Ajker Patrika

পর্যটন সম্ভাবনায় নলচুন্নি

মো. বায়েজীদ বিন ওয়াহিদ, জামালগঞ্জ (সুনামগঞ্জ)
আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৯: ৩৮
Thumbnail image

পর্যটনশিল্পে অপার সম্ভাবনা জামালগঞ্জ উপজেলার নলচুন্নি পর্যটনকেন্দ্র। হিজল-করচের বাগান আর হাওরের বিশাল জলরাশি সৃষ্টি করেছে এক অপরূপ সৌন্দর্য। এটি দিনে দিনেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভ্রমণপিপাসুদের কাছে। সঙ্গে রয়েছে দেশ-বিদেশ থেকে আসা নানা প্রজাতির পাখি। প্রকৃতির প্রেমে মুগ্ধ হয়ে পর্যটকেরা এই অঞ্চলকে সরকারিভাবে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার দাবিও জানিয়েছেন।

উপজেলার ফেনারবাঁক ইউনিয়নের ফেনারবাঁক গ্রামের মূল সড়কের পাশেই অবস্থিত এই হিজল-করচের বাগান নলচুন্নি নামে পরিচিত। এটি দিনে দিনে উপজেলার নান্দনিক ও আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। তা ছাড়া এখানকার হাওরের প্রাণী, মৎস্য ও বনসম্পদ পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

নলচুন্নি ছাড়াও ফেনারবাঁক ইউনিয়নের আরও একাধিক স্থানে গড়ে উঠেছে হিজল-করচের বাগান। কানাইখালী নদীর দুই তীরে বিস্তীর্ণ জায়গাজুড়ে এই বাগান দেখা যায়। হাওরের এই আকর্ষণীয় কানাইখালীর বাঁক, ফেনারবাঁকের নলচুন্নি, খুঁজারগাঁও, মাতারগাঁও গ্রামের হিজল-করচের বাগান দেখতে বনভোজনে আসেন ভ্রমণপিপাসুরা।

সিলেট থেকে নলচুন্নিতে ভ্রমণের জন্য আগত মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি অনলাইনের বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারি নলচুন্নি দর্শনিয় স্থানের কথা। ভ্রমণে এসে খুব ভালো লেগেছে। তবে সরকারি উদ্যোগে রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা করলে আরও ভালো হতো।’

প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে হাওর অঞ্চল রক্ষা করতে পরিবেশবাদী সংস্থা সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স স্টাডিজ (সিএনআরএস) প্রকল্পে পল্লিগুলোতে কাজ করছে।

তবে তাদের কাজের পর এই অঞ্চলের পর্যটনশিল্প বিকাশে এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

বেসরকারি উদ্যোগে নতুন নতুন পর্যটনকেন্দ্র গড়ে উঠলেও প্রাকৃতিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক সৌন্দর্য রক্ষায় এখনো সরকারি কোনো উদ্যোগ নেই। অথচ জামালগঞ্জের এই পর্যটনশিল্প বিকাশে সরকার উদ্যোগী হলে এই খাত হতে পারে অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, এই উপজেলার বিনাজুরা গ্রামে ৩.১৮ একর ভূমিতে ১১ হাজার, মাতারগাঁও গ্রামে ১১ একর ভূমিতে ১২ হাজার, ছয়হারা গ্রামে ১৭ একর ভূমিতে ১৭ হাজার, ফেনারবাঁক গ্রামে ১৫ একর ভূমিতে ১৪ হাজার এবং খুঁজারগাঁও গ্রামে ১০ একর ভূমিতে ১০ হাজার হিজল-করচের গাছ লাগানো হয়েছিল।

এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল আল আজাদ বলেন, ‘জামালগঞ্জ পর্যটনশিল্পের একটি বিশাল জায়গা। এখানকার একাধিক স্থানে রয়েছে মনোরম পরিবেশ, যা দিনে দিনে ভ্রমণপিপাসুদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। পর্যটন বিকাশে উপজেলা পরিষদ থেকে যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঋণের ১৩০০ কোটির এক টাকাও দেননি হলিডে ইনের মালিক

নারীদের খেলায় আর নাক গলাবে না, দেশ ও বিশ্ববাসীর কাছে ক্ষমা চাইল ভাঙচুরকারীরা

ইতালি নেওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় ফরিদপুরের ২ জনকে গুলি করে হত্যা

গণ–সমাবেশে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিলেন বিএনপি নেতা

হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যু, সেনা ক্যাম্প কমান্ডারকে প্রত্যাহার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত