Ajker Patrika

আমরা তোমাদের ভুলব না

মন্টি বৈষ্ণব, ঢাকা
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯: ২৩
Thumbnail image

আজ ১৪ ডিসেম্বর। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। আমাদের ইতিহাসে বেদনাময় একটি দিন। দেশ স্বাধীন হওয়ার প্রাক্কালে জাতি হারিয়েছে তার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। ১৯৭১ সালের ১০ থেকে ১৪ বা ১৫ ডিসেম্বর সকালে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায় পাকিস্তানি সেনারা। চোখ, হাত বেঁধে ধরে নিয়ে তাঁদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে সংঘটিত হয়েছিল এ হত্যাযজ্ঞ।

দেশের সেই মেধাবী মানুষদের একজন সাংবাদিক সেলিনা পারভীন। দিনটি ছিল ১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর। দেশ স্বাধীন হওয়ার বাকি ছিল আর মাত্র ৩ দিন। সেলিনা পারভীন থাকতেন সিদ্ধেশ্বরীতে। সেদিন ওই বাসার দরজায় কড়া নাড়ে আলবদর বাহিনীর কয়েকজন। তিনি নিজেই বাসার দরজা খুলে দেন। দরজা খুলতেই আলবদর বাহিনী তাঁর পরিচয় নিশ্চিত হয়ে নিয়ে যায়। পরে সেলিনা পারভীনের বেয়নেটে ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ পাওয়া যায় রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে। শীতকাতুরে সেলিনা পারভীনের পায়ে সাদা মোজা দেখে তাঁর মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছিল।

সেলিনা পারভীন ১৯৩১ সালে নোয়াখালী জেলার রামগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৯ সালের গণ-আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী ছিলেন সেলিনা পারভীন। ‘শিলালিপি’ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি ছিল শিলালিপি। পত্রিকাটি বিক্রির অর্থ দিয়ে তিনি সেই সময় মুক্তিযোদ্ধাদের ওষুধ, অর্থ, খাবার দিয়ে সহযোগিতা করতেন। ঘটনাক্রমে শিলালিপির প্রকাশিত সব সংখ্যা নিষিদ্ধ করেছিল পাকিস্তান সরকার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নারীদের খেলায় আর নাক গলাবে না, দেশ ও বিশ্ববাসীর কাছে ক্ষমা চাইল ভাঙচুরকারীরা

বিয়ে করলেন সারজিস আলম

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়ছে শ্রীলঙ্কা, ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ কোথায় দেখবেন

ইতালি নেওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় ফরিদপুরের ২ জনকে গুলি করে হত্যা

সাবেক শিক্ষার্থীর প্রাইভেট কারে ধাক্কা, জাবিতে ১২ বাস আটকে ক্ষতিপূরণ আদায় ছাত্রদলের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত