ফারুক হোসাইন রাজ, কলারোয়া
সাতক্ষীরার কলারোয়া থেকে শুরু হয়েছে মৌসুমের প্রথম ২ হাজার কেজি হিমসাগর আম রপ্তানির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন কার্যক্রম। সলিডারডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া এবং এর সহযোগী সংস্থা উত্তরণের বাস্তবায়নে নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের আর্থিক সহায়তায় সফল প্রকল্পের মাধ্যমে আম রপ্তানি করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ৮ নম্বর কেরেলকাতা ইউনিয়ন ইলিশপুর গ্রামের কবিরুল ইসলাম ডবলুর আম বাগান থেকে এর উদ্বোধন করা হয়। বিষমুক্ত নিরাপদ সুস্বাদু হিমসাগর আম পেড়ে জিয়েল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের বায়ার কোম্পানির মাধ্যমে লন্ডনে রপ্তানি কার্যক্রম আলোচনা সভার মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবির। এর আগে জেলা প্রশাসক হিমসাগর আমের বিশাল বাগান ঘুরে দেখেন, নিজ হাতে হিমসাগর আম পাড়েন, তা কেটে পরীক্ষা করে নিজে খেয়ে দেখেন। এরপর চাষি ও বায়ারদের বাজারজাতকরণের অনুমতি দেন।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ নূরুল ইসলাম বলেন, জেলায় হিমসাগর এক হাজার ৫৫০ হেক্টর, ল্যাংড়া ৫৬৪ হেক্টর, আম্রপালি ৮৯৯ হেক্টর, গোপালভোগ ২১৯ হেক্টর, গোবিন্দভোগ ৩৫২ হেক্টর, বোম্বাই ৫০ হেক্টর, লতা ১৫৩ হেক্টর, মল্লিকা ৮০ হেক্টর এবং ২৩১ হেক্টর জমিতে অন্যান্য আমের চাষ হয়েছে। আমের বাগান রয়েছে পাঁচ হাজার ২৯৯ টি। চাষির সংখ্যা ১৩ হাজার ১০০ জন। প্রতি হেক্টর জমিতে এ বছর আমের উৎপাদন হয়েছে ১০-১১ মেট্রিক টন। আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ হাজার মেট্রিক টন। জার্মানি, ইতালি, ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সে সর্বমোট রপ্তানি লাখ মাত্রা ৬০০ মেট্রিক টন আম। ২০১৬ সাল থেকে সাতক্ষীরার আম প্রথম ইতালিতে রপ্তানি শুরু হয়।
কলারোয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলার ৬২৫ হেক্টর জমিতে প্রায় ২৪৮ জনের মতো চাষি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতা ও পরামর্শে সুস্বাদু বিষ মুক্ত আম চাষ করেছেন ৷ গত বছর ৩২০০ টাকা প্রতিমন দরে ৮৫ টন হিমসাগর আম উত্তরণ সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়ার ব্যবস্থাপনায় ইউরোপে রপ্তানি করা হয়েছিল ৷ এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় প্রতিটি বাগানের আমের মুকুল ৫০ শতাংশ ঝরে পড়েছে ৷ এ ক্ষেত্রে আমের উৎপাদন কমে গিয়েছে। চাষিরাও অনেকটা ক্ষতির মুখে ৷ চাষিরা ন্যায্যমূল্যে আম বিক্রি করতে পারলে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে। এ বছর হিমসাগর আম বিদেশে রপ্তানির জন্য ৩৫০০ টাকা থেকে ৩৭০০ টাকা প্রতি মন দরে বায়ার কোম্পানির মাধ্যমে বিক্রি করতে পারছে ৷ এ বছর কলারোয়া উপজেলা থেকে ৯০ টন আম রপ্তানি করা হবে। পরে গোবিন্দভোগ, ল্যাংড়া ও আম্রপালি আম ভাঙার নির্দিষ্ট সময়ের পেড়ে বিক্রি করা হবে।
সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া সাতক্ষীরা (পিও-এসসিও) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সাতক্ষীরা জেলার ৫০০ জন আম চাষির মধ্যে থকে কলারোয়ার ২৩৯ জন চাষিকে নিরাপদ বিষ মুক্ত আম চাষের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে ৷ ভারত পাকিস্তান ও মিসরের আমের থেকেও কলারোয়ার সুস্বাদু হিমসাগর আমের সুনাম রয়েছে বিশ্ব জুড়ে। এ সব আম ইউরোপীয় উপমহাদেশের লন্ডন, ইংল্যান্ড, জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স ও ডেনমার্কে যাবে।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দীন মৃধা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তা এসএম আব্দুল্লাহ, এনডিসি মহিউদ্দিন, অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট বাপ্পা দত্ত রনি, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুলতানা জাহান, কেরেলকাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সম মোরশেদ আলী ভিপিসহ সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া উত্তরণ সফল প্রকল্পের কর্মকর্তা কর্মচারী এবং আম চাষিরা।
সাতক্ষীরার কলারোয়া থেকে শুরু হয়েছে মৌসুমের প্রথম ২ হাজার কেজি হিমসাগর আম রপ্তানির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন কার্যক্রম। সলিডারডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া এবং এর সহযোগী সংস্থা উত্তরণের বাস্তবায়নে নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের আর্থিক সহায়তায় সফল প্রকল্পের মাধ্যমে আম রপ্তানি করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ৮ নম্বর কেরেলকাতা ইউনিয়ন ইলিশপুর গ্রামের কবিরুল ইসলাম ডবলুর আম বাগান থেকে এর উদ্বোধন করা হয়। বিষমুক্ত নিরাপদ সুস্বাদু হিমসাগর আম পেড়ে জিয়েল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের বায়ার কোম্পানির মাধ্যমে লন্ডনে রপ্তানি কার্যক্রম আলোচনা সভার মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবির। এর আগে জেলা প্রশাসক হিমসাগর আমের বিশাল বাগান ঘুরে দেখেন, নিজ হাতে হিমসাগর আম পাড়েন, তা কেটে পরীক্ষা করে নিজে খেয়ে দেখেন। এরপর চাষি ও বায়ারদের বাজারজাতকরণের অনুমতি দেন।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ নূরুল ইসলাম বলেন, জেলায় হিমসাগর এক হাজার ৫৫০ হেক্টর, ল্যাংড়া ৫৬৪ হেক্টর, আম্রপালি ৮৯৯ হেক্টর, গোপালভোগ ২১৯ হেক্টর, গোবিন্দভোগ ৩৫২ হেক্টর, বোম্বাই ৫০ হেক্টর, লতা ১৫৩ হেক্টর, মল্লিকা ৮০ হেক্টর এবং ২৩১ হেক্টর জমিতে অন্যান্য আমের চাষ হয়েছে। আমের বাগান রয়েছে পাঁচ হাজার ২৯৯ টি। চাষির সংখ্যা ১৩ হাজার ১০০ জন। প্রতি হেক্টর জমিতে এ বছর আমের উৎপাদন হয়েছে ১০-১১ মেট্রিক টন। আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ হাজার মেট্রিক টন। জার্মানি, ইতালি, ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সে সর্বমোট রপ্তানি লাখ মাত্রা ৬০০ মেট্রিক টন আম। ২০১৬ সাল থেকে সাতক্ষীরার আম প্রথম ইতালিতে রপ্তানি শুরু হয়।
কলারোয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলার ৬২৫ হেক্টর জমিতে প্রায় ২৪৮ জনের মতো চাষি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতা ও পরামর্শে সুস্বাদু বিষ মুক্ত আম চাষ করেছেন ৷ গত বছর ৩২০০ টাকা প্রতিমন দরে ৮৫ টন হিমসাগর আম উত্তরণ সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়ার ব্যবস্থাপনায় ইউরোপে রপ্তানি করা হয়েছিল ৷ এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় প্রতিটি বাগানের আমের মুকুল ৫০ শতাংশ ঝরে পড়েছে ৷ এ ক্ষেত্রে আমের উৎপাদন কমে গিয়েছে। চাষিরাও অনেকটা ক্ষতির মুখে ৷ চাষিরা ন্যায্যমূল্যে আম বিক্রি করতে পারলে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে। এ বছর হিমসাগর আম বিদেশে রপ্তানির জন্য ৩৫০০ টাকা থেকে ৩৭০০ টাকা প্রতি মন দরে বায়ার কোম্পানির মাধ্যমে বিক্রি করতে পারছে ৷ এ বছর কলারোয়া উপজেলা থেকে ৯০ টন আম রপ্তানি করা হবে। পরে গোবিন্দভোগ, ল্যাংড়া ও আম্রপালি আম ভাঙার নির্দিষ্ট সময়ের পেড়ে বিক্রি করা হবে।
সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া সাতক্ষীরা (পিও-এসসিও) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সাতক্ষীরা জেলার ৫০০ জন আম চাষির মধ্যে থকে কলারোয়ার ২৩৯ জন চাষিকে নিরাপদ বিষ মুক্ত আম চাষের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে ৷ ভারত পাকিস্তান ও মিসরের আমের থেকেও কলারোয়ার সুস্বাদু হিমসাগর আমের সুনাম রয়েছে বিশ্ব জুড়ে। এ সব আম ইউরোপীয় উপমহাদেশের লন্ডন, ইংল্যান্ড, জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স ও ডেনমার্কে যাবে।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দীন মৃধা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তা এসএম আব্দুল্লাহ, এনডিসি মহিউদ্দিন, অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট বাপ্পা দত্ত রনি, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুলতানা জাহান, কেরেলকাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সম মোরশেদ আলী ভিপিসহ সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া উত্তরণ সফল প্রকল্পের কর্মকর্তা কর্মচারী এবং আম চাষিরা।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪