নুরুল আমীন রবীন, শরীয়তপুর
শরীয়তপুরের মঙ্গলমাঝির লঞ্চঘাটে একাধিক সংঘবদ্ধ চক্রের বিরুদ্ধে যাত্রীদের কাছ থেকে টোলের নামে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। বাঁশের প্রতিবন্ধক বসিয়ে লঞ্চ যাত্রী প্রতি ১০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। এতে প্রত্যেক যাত্রীকে ২ দফা টোলের টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে।
যাত্রীর ভোগান্তি নিরসনে ২০১৫ সালে দেশের সব লঞ্চঘাটের ইজারা প্রথা বাতিল করে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়। লঞ্চঘাটের টোল বাবদ লঞ্চের টিকিটের সঙ্গে অতিরিক্ত ২ টাকা টোল যুক্ত করে লঞ্চ ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়া হয় ওই নির্দেশনায়। পরে মাঝিরঘাটে লঞ্চের টিকিটের সঙ্গে টোল যুক্ত করে টাকা আদায় করা হলেও বন্ধ হয়নি ঘাটের টোল আদায়। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় প্রভাবশালী আলতাফ খা, রাজ্জাক মাঝি, নেছার মাতবর, তুহিন ফরাজী ও শামীম মোড়লের নেতৃত্বে যাত্রীদের থেকে টোলের নামে জোর করে টাকা আদায় করা হয়।
গত মঙ্গলবার মাঝিরঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, শরীয়তপুরের মাঝিরঘাট লঞ্চঘাটের সামনেই স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী যাত্রী প্রতি ৫ টাকা করে আদায়ের সাইনবোর্ড টানানো রয়েছে। সেখানে স্পষ্ট লেখা রয়েছে, পূর্ব নাওডোবা আন্তজেলা খেয়া ঘাটের টোল চার্ট। অথচ মাঝিরঘাট লঞ্চঘাটের সামনে থেকে লঞ্চ যাত্রীদের কাছ থেকে প্রকাশ্যে ১০ টাকা করে টোল আদায় করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ভূমি মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে পূর্ব নাওডোবা আন্তজেলা খেয়াঘাটের নামে প্রতি বছর ইজারা দেওয়া হয়। বাংলা ১৪২৮ সনের বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত ১ বছরের জন্য ৩৫ লাখ টাকায় খেয়া ঘাটের ইজারা পান পূর্ব নাওডোবা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মানের হোসেন খা। খেয়া ঘাটের যাত্রীদের কাছ থেকে ৫ টাকা করে টোল আদায়ের কথা ইজারাদারের।
ঘাটে হামিদুল সরদার নামে এক যাত্রী বলেন, ‘১০ টাকা না দিলে লঞ্চে উঠতে দেওয়া হয় না। প্রতিবাদ করলে অপমান আর নাজেহাল হতে হয়।’
আরেক যাত্রী আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘পদ্মা পাড় হতে আমাদের প্রতিবার দুই দফায় ১৫ টাকা করে টোল পরিশোধ করতে হচ্ছে। বিষয়টি বারবার কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না।’
চক্রের সদস্য ফজলু ভান্ডারী লঞ্চ যাত্রীদের কাছ থেকে টোলের টাকা আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমরা সরকারের নিয়ম অনুযায়ী যাত্রী প্রতি ৫ টাকা করে টোল আদায় করছি। খেয়াঘাট না থাকায় লঞ্চ যাত্রীদের কাছ থেকে টোলের টাকা আদায় করছি।’
মাঝিরঘাটের ইজারাদার মনির হোসেন খাঁ বলেন, ‘মাঝিরঘাট এলাকায় খেয়া ঘাট নেই। যেহেতু আমরা টাকা খরচ করে ঘাট ইজারা নিয়েছি, তাই লঞ্চ, ট্রলার ও স্পিডবোট যাত্রীদের কাছ থেকে টোলের টাকা আদায় করা হচ্ছে।’
বিআইডব্লিউটিএর মাঝিরঘাটের ইনচার্জ আব্দুল্লাহ ইনাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিআইডব্লিউটিএর কোনো লঞ্চ ঘাটে টোল আদায়ের সুযোগ নেই। সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূত প্রক্রিয়ায় টোলের টাকা লঞ্চ যাত্রীদের থেকে আদায় করা হচ্ছে। যেহেতু আমাদের টার্মিনালের বাইরে গিয়ে লঞ্চঘাটের সামনে থেকে টোল আদায় করা হচ্ছে, তাই আমাদের কিছু করার নেই। এটা স্থানীয় প্রশাসনের কাজ।’
জাজিরা ইউএনও আশ্রাফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ‘যেহেতু খেয়া ঘাটটি ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে ইজারা দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের কিছু করণীয় নেই। তবে লঞ্চ যাত্রীদের থেকে টোল আদায়ের বিষয়টি জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের মাধ্যমে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে।’
শরীয়তপুরের মঙ্গলমাঝির লঞ্চঘাটে একাধিক সংঘবদ্ধ চক্রের বিরুদ্ধে যাত্রীদের কাছ থেকে টোলের নামে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। বাঁশের প্রতিবন্ধক বসিয়ে লঞ্চ যাত্রী প্রতি ১০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। এতে প্রত্যেক যাত্রীকে ২ দফা টোলের টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে।
যাত্রীর ভোগান্তি নিরসনে ২০১৫ সালে দেশের সব লঞ্চঘাটের ইজারা প্রথা বাতিল করে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়। লঞ্চঘাটের টোল বাবদ লঞ্চের টিকিটের সঙ্গে অতিরিক্ত ২ টাকা টোল যুক্ত করে লঞ্চ ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়া হয় ওই নির্দেশনায়। পরে মাঝিরঘাটে লঞ্চের টিকিটের সঙ্গে টোল যুক্ত করে টাকা আদায় করা হলেও বন্ধ হয়নি ঘাটের টোল আদায়। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় প্রভাবশালী আলতাফ খা, রাজ্জাক মাঝি, নেছার মাতবর, তুহিন ফরাজী ও শামীম মোড়লের নেতৃত্বে যাত্রীদের থেকে টোলের নামে জোর করে টাকা আদায় করা হয়।
গত মঙ্গলবার মাঝিরঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, শরীয়তপুরের মাঝিরঘাট লঞ্চঘাটের সামনেই স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী যাত্রী প্রতি ৫ টাকা করে আদায়ের সাইনবোর্ড টানানো রয়েছে। সেখানে স্পষ্ট লেখা রয়েছে, পূর্ব নাওডোবা আন্তজেলা খেয়া ঘাটের টোল চার্ট। অথচ মাঝিরঘাট লঞ্চঘাটের সামনে থেকে লঞ্চ যাত্রীদের কাছ থেকে প্রকাশ্যে ১০ টাকা করে টোল আদায় করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ভূমি মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে পূর্ব নাওডোবা আন্তজেলা খেয়াঘাটের নামে প্রতি বছর ইজারা দেওয়া হয়। বাংলা ১৪২৮ সনের বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত ১ বছরের জন্য ৩৫ লাখ টাকায় খেয়া ঘাটের ইজারা পান পূর্ব নাওডোবা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মানের হোসেন খা। খেয়া ঘাটের যাত্রীদের কাছ থেকে ৫ টাকা করে টোল আদায়ের কথা ইজারাদারের।
ঘাটে হামিদুল সরদার নামে এক যাত্রী বলেন, ‘১০ টাকা না দিলে লঞ্চে উঠতে দেওয়া হয় না। প্রতিবাদ করলে অপমান আর নাজেহাল হতে হয়।’
আরেক যাত্রী আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘পদ্মা পাড় হতে আমাদের প্রতিবার দুই দফায় ১৫ টাকা করে টোল পরিশোধ করতে হচ্ছে। বিষয়টি বারবার কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না।’
চক্রের সদস্য ফজলু ভান্ডারী লঞ্চ যাত্রীদের কাছ থেকে টোলের টাকা আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমরা সরকারের নিয়ম অনুযায়ী যাত্রী প্রতি ৫ টাকা করে টোল আদায় করছি। খেয়াঘাট না থাকায় লঞ্চ যাত্রীদের কাছ থেকে টোলের টাকা আদায় করছি।’
মাঝিরঘাটের ইজারাদার মনির হোসেন খাঁ বলেন, ‘মাঝিরঘাট এলাকায় খেয়া ঘাট নেই। যেহেতু আমরা টাকা খরচ করে ঘাট ইজারা নিয়েছি, তাই লঞ্চ, ট্রলার ও স্পিডবোট যাত্রীদের কাছ থেকে টোলের টাকা আদায় করা হচ্ছে।’
বিআইডব্লিউটিএর মাঝিরঘাটের ইনচার্জ আব্দুল্লাহ ইনাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিআইডব্লিউটিএর কোনো লঞ্চ ঘাটে টোল আদায়ের সুযোগ নেই। সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূত প্রক্রিয়ায় টোলের টাকা লঞ্চ যাত্রীদের থেকে আদায় করা হচ্ছে। যেহেতু আমাদের টার্মিনালের বাইরে গিয়ে লঞ্চঘাটের সামনে থেকে টোল আদায় করা হচ্ছে, তাই আমাদের কিছু করার নেই। এটা স্থানীয় প্রশাসনের কাজ।’
জাজিরা ইউএনও আশ্রাফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ‘যেহেতু খেয়া ঘাটটি ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে ইজারা দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের কিছু করণীয় নেই। তবে লঞ্চ যাত্রীদের থেকে টোল আদায়ের বিষয়টি জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের মাধ্যমে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪