Ajker Patrika

বন্যায় পানিবন্দী ১০ হাজার মানুষ, শহর রক্ষা বাঁধের দাবি

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
Thumbnail image

বন্যায় পানিবন্দী মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরসভার ৫ ওয়ার্ডের ১০ হাজার মানুষ। গত শুক্রবার থেকে বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও এসব এলাকায় পানি নামার গতি খুবই মন্থর। এ কারণে বন্দিদশায় আরও বেশ কয়েক দিন থাকতে হবে, এমন শঙ্কায় পৌরবাসী। এ কারণে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা জোরদার ও শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

গতকাল শনিবার সরেজমিন দেখা যায়, পৌরসভার মাগুরা ও থানা রোড, সাদেকপুর, সোনাপুর ও বেহালা, টিটিডিসি এরিয়া, উত্তরবাজার, আহমদাবাদ, নতুনপাড়া, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, দেখিয়ারপুর, শিবির ও মনসুর এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। রাস্তাঘাটে দুই থেকে তিন ফুট পানি। বাসাবাড়িতেও পানি ঢুকে গেছে। ঘরে পানি ঢুকে যাওয়ায় অনেকে বাসা ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকে আবার আশ্রয়কেন্দ্রে থাকছেন। দুই সপ্তাহেরও বেশি সময়ের জলাবদ্ধতার কারণে পানি পচে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। এর পাশাপাশি পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। ১৫ দিন ধরে পানিবন্দী অবস্থায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকার মানুষ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এবারই প্রথম দীর্ঘ সময় কুলাউড়া পৌরসভার অধিকাংশ এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এর আগে ২০০৪ সালে ৪-৫ দিন পরে বন্যার পানি নেমেও যায়। কিন্তু এবার এত সময় পানি আটকে জলাবদ্ধতা হয়ে গেছে। পানি পচে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়েছে। এখনো কোমর ও হাঁটুপানির মধ্যে চলাচল করতে হচ্ছে। পচা পানিতে চুলকানিসহ নানা সমস্যা হচ্ছে।

কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মঈনুল ইসলাম শামীম বলেন, ‘পৌর এলাকায় আগে কখনো একটানা এত জলাবদ্ধ দেখিনি। পৌরসভার অনেক নালা রয়েছে, যেগুলো খুবই ছোট এবং একটির সঙ্গে অন্যটির সংযোগ নেই। এখন থেকে পৌর কর্তৃপক্ষকে পরিকল্পনা করে এলাকার সব কটি নালা প্রশস্ত এবং সংযোগ স্থাপন করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে।’

স্থানীয় ইয়াকূব তাজুল মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. রজত কান্তি ভট্টাচার্য বলেন, কুলাউড়া পৌরসভার পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা খুবই নাজুক। তাই পানি আটকে থাকে। পুরোনো নালা সংস্কারসহ প্রশস্ত করতে হবে পানি নিষ্কাশনের জন্য। পাশাপাশি শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা প্রয়োজন।

কুলাউড়া পৌরসভা মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘মরা গুগালিছড়া খালটি খননের জন্য চলতি বছরের ডিসেম্বরে কাজ শুরু হবে। পানি নিষ্কাশনে নালা ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। এবার শহর রক্ষা বাঁধের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রকল্প আকারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আলাদা প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত