Ajker Patrika

বিক্রি বেড়েছে সরিষার তেলের

তানোর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ মে ২০২২, ১৪: ৪০
বিক্রি বেড়েছে সরিষার তেলের

সয়াবিন তেলের দাম বাড়ার পর থেকে সরিষার তেলের চাহিদা বেড়েছে। এ অবস্থায় রাজশাহীর তানোর উপজেলার পাইকারি ও খুচরা দোকানগুলোতে আগের তুলনায় বেড়েছে সরিষার তেলের বিক্রি।

স্থানীয় বাজারের দোকানগুলোতে সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। অনেক দোকানে বোতলজাত সয়াবিন তেলের পর্যাপ্ত মজুত নেই বলে দোকানিরা বলছেন। ফলে স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা সরিষার তেলের কারখানাতেও এই তেল বিক্রি হচ্ছে অন্য সময়ের চেয়ে বেশি।

সম্প্রতি উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে লিটারপ্রতি ২০ থেকে ৪৫ টাকা। ৫ লিটারের একটি বোতল গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল প্রায় ৮৫০ টাকায়। চলতি সপ্তাহে বাজার ভেদে ৯৭৫ থেকে ১১০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে লিটারপ্রতি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা।

তানোর পৌরশহরের গোল্লাপাড়া বাজারের ক্রেতা এরফান আলী বলেন, দিন দিন সয়াবিন তেলের দাম বাড়ছে। এর সঙ্গে আর পেরে উঠতে পারছি না। মাসে যা বেতন পাই, তা দিয়ে দুই সপ্তাহ বাজার করলেই টাকা শেষ হয়ে যায়। যে তেল আগে কিনছি ১২০ টাকা দিয়ে, সেই তেল এখন ২২০ টাকা। দ্রব্যের দাম বাড়লেও বেতন বাড়েনি। সবজির বাজারও চড়া।’

উপজেলার কালনা গ্রাম থেকে হাটে আসা আসগর আলী নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘সয়াবিন তেল আর সরিষার তেলের দাম এখন প্রায় কাছাকাছি। সয়াবিন তেলের তুলনায় সরিষার তেল স্বাস্থ্যসম্মত। ফলে আগের চেয়ে সরিষার তেল পরিমাণে বেশি কিনছি। ভাবছি এখন থেকে সয়াবিন তেল খাওয়া বাদ দেব।’

নাজনিন আরা নামের আরেক ক্রেতা বলেন, সয়াবিনের তেলের তুলনায় সরিষার তেল লাগে কম। স্বাস্থ্যসম্মত এ তেল সাশ্রয়ীও।

বিসমিল্লাহ খাবার হোটেলের মালিক সুমন আলী বলেন, ‘তেল কিনতে হচ্ছে দ্বিগুণ টাকা দিয়ে। ফলে আমাদের খাবারেরও দাম একটু বেড়েছে।’

মুন্ডুমালা পৌরবাজারের ক্রেতা সামসুজ্জামান জোহা বলেন, ‘সরিষার থেকে সয়াবিন তেলের দাম বেশি। তাই সরিষার তেল কিনছি। আগে মানুষ সরিষার তেলই খেত, এখন আমরাও সরিষার দিকে ঝুঁকছি।’

গোল্লাপাড়া সদরের মুদি দোকানি ওহাব হোসেন বলেন, আগে সয়াবিন তেলের থেকে সরিষার তেল কম বিক্রি হতো। কিন্তু ইদানীং সরিষার তেল বেশি বিক্রি হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বার্নাবাস হাসদাক বলেন, সয়াবিন তেলের তুলনায় সরিষার তেল স্বাস্থ্যসম্মত। তবে সে ক্ষেত্রে ক্রেতাকে অবশ্যই যেসব ঘানি বা মেশিনে সরিষা ভাঙছে, সেখান থেকে সরাসরি তেল সংগ্রহ করতে হবে। কেমিক্যাল মেশানো হচ্ছে না, এটি নিশ্চিত করে সরিষার তেল কিনতে হবে ক্রেতাকে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পংকজ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘আমরা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে উপজেলার হাটবাজারগুলো তদারক করা হচ্ছে। কোনো ব্যবসায়ী যাতে পণ্য মজুত করে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করতে না পারেন, সেজন্য সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত