Ajker Patrika

অবৈধ ২৫ করাতকল গিলে খাচ্ছে বনাঞ্চল

ইমরান হোসাইন, পেকুয়া (কক্সবাজার)
আপডেট : ০৯ মে ২০২২, ১২: ১৯
Thumbnail image

পেকুয়াকক্সবাজারের পেকুয়ায় অবৈধভাবে চলছে ২৫টি করাতকল। অসাধু কাঠ ব্যবসায়ী চক্রের কবলে পড়ে দিন দিন গাছগাছালি কমছে উপজেলার প্রায় সাড়ে ৯ হাজার একর বনভূমির। এ কারণে হুমকির মুখে পড়েছে সংরক্ষিত বনাঞ্চল।

স্থানীয় পরিবেশবাদীদের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নীরব ভূমিকার কারণে অধিক হারে বাড়ছে করাতকল। অথচ বন বিভাগের নীতিমালায় রয়েছে, সংরক্ষিত বনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে করাতকল স্থাপন করা যাবে না। করাতকল চালাতে হলে প্রয়োজন হবে লাইসেন্স। কিন্তু এসব নিয়মনীতির বালাই নেই পেকুয়া উপজেলায়।

পরিবেশবাদী সংগঠন সেভ দ্য নেচার পেকুয়া উপজেলা শাখার সভাপতি মাসউদ বিন জলিল বলেন, ‘করাতকলের প্রভাবশালী মালিকদের সঙ্গে বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশ রয়েছে। তাই তাঁরা টুঁ-শব্দ করেন না। এদিকে প্রতিনিয়ত বনভূমির গাছ নিধনের ফলে বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ। একই সঙ্গে বিপন্ন হচ্ছে বন্য পশুপাখি। বনাঞ্চলসহ পরিবেশ রক্ষার্থে উপজেলা বন ও পরিবেশ কমিটি থাকলেও এর কার্যক্রম দৃশ্যমান নয়।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পেকুয়ার সংরক্ষিত বনের তিন কিলোমিটারের মধ্যে ৬টি এবং পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে আরও ১০টি করাতকল। অনুমোদনহীন এসব করাতকলে দিনরাত দেদার চলছে সংরক্ষিত বনের চোরাই কাঠ চেরাই। সংরক্ষিত বনাঞ্চলে মূল্যবান গর্জন, সেগুনসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাদারট্রি কেটে নদীপথে পাচার করা হচ্ছে পার্শ্ববর্তী দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায়। পেকুয়া বাজারকেন্দ্রিক প্রভাবশালী একটি চক্র এ কাজে জড়িত।

টইটং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, তাঁর ইউনিয়নে চারটি করাতকল রয়েছে। অথচ এসব করাতকল থেকে টইটং সংরক্ষিত বনাঞ্চলের দূরত্ব মাত্র এক কিলোমিটার। সরকারি নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে এসব করাতকল স্থাপিত হয়েছে।

পেকুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ বলেন, ‘যে যার মতো যেখানে-সেখানেই স্থাপন করছে করাতকল। ইতিমধ্যে আমার ইউনিয়নে প্রায় ১২ থেকে ১৪টি করাতকল স্থাপিত হয়েছে। কিন্তু এসব করাতকল থেকে বনাঞ্চলের দূরত্ব খুবই কম।’

রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার জানান, টইটং ইউনিয়নের সীমান্ত ঘেঁষেই আবর শাহ বাজারে স্থাপন করা হয়েছে বেশ কয়েকটি করাতকল। এগুলোর মাধ্যমে খুব সহজেই সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ চলে যাচ্ছে উপকূলের বিভিন্ন উপজেলায়।

বন বিভাগের বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুল হক বলেন, বারবাকিয়া বন বিটের অধীন এলাকায় ২০টি, টইটংয়ে ২টি ও পহরচাঁদায় ৩টি অবৈধ করাতকল রয়েছে। এসব করাতকল সরিয়ে নিতে ইতিমধ্যে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই এগুলো উচ্ছেদ করা হবে।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, অবৈধ করাতকলের বিরুদ্ধে শিগগিরই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নারীদের খেলায় আর নাক গলাবে না, দেশ ও বিশ্ববাসীর কাছে ক্ষমা চাইল ভাঙচুরকারীরা

বিয়ে করলেন সারজিস আলম

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়ছে শ্রীলঙ্কা, ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ কোথায় দেখবেন

ইতালি নেওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় ফরিদপুরের ২ জনকে গুলি করে হত্যা

সাবেক শিক্ষার্থীর প্রাইভেট কারে ধাক্কা, জাবিতে ১২ বাস আটকে ক্ষতিপূরণ আদায় ছাত্রদলের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত