Ajker Patrika

প্রবাসীর খামারে কর্মসংস্থান বেকার যুবকদের

সিলেট প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৩: ৪৬
Thumbnail image

শখের বশে পালন করতে দুটি গরু কিনেছিলেন সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার যুক্তরাজ্যপ্রবাসী আব্দুল আলেক ইসলাম। গরু দুটি লালনপালন করতে এলাকার এক বেকার যুবককে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে অনুপ্রাণিত হয়ে আরও গরু কেনেন তিনি। সেই দুটি গরু থেকে তিন বছরের মাথায় তাঁর নিজের বাড়িতে ‘আলেক অ্যান্ড সন্স’ নামে একটি গরুর খামার গড়ে তোলেন আব্দুল আলেক। এই খামারের মাধ্যমে এলাকার কয়েকজন বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার উমরপুর ইউনিয়নের কটালপুর গ্রামের যুক্তরাজ্যপ্রবাসী আব্দুল আলেক ইসলাম। বর্তমানে তিনি এলাকায় প্রবাসী উদ্যোক্তা হিসাবে পরিচিত। গরুর খামার ছাড়াও ১৮০ শতাংশ জমিতে পুকুর খনন করে সেখানে একটি একটি মৎস্য খামার তৈরি করেছেন আলেক। ওই মৎস্য খামারে রুই, কাতলা, মৃগেল, পাবদাসহ নানা প্রজাতির দেশীয় মাছের চাষ করেন তিনি। তাঁর গরুর খামারে ১০ জন ও মাছের খামারে ৬ জন কাজ করেন এখন।

গরুর খামার ঘুরে দেখা গেছে, তিনটি শেডে ১৮টি গরু রয়েছে। এসব গরুর লালনপালন এবং যত্নের কাজ করছেন ১০ জন শ্রমিক। খামারে বর্তমানে রয়েছে ১৫টি ষাঁড় ও ৩টি উন্নত জাতের গাভি। এসব গাভি প্রতিদিন প্রায় ২০ লিটার করে দুধ দেয়।

খামারের দায়িত্বে থাকা সমছু মিয়া জানান, গোখাদ্য হিসেবে নিজস্ব দুই বিঘা জমিতে নেপিয়ার এবং সুইট লেমন জাতের ঘাস চাষ করা হয়েছে। প্রতিদিন শ্রমিকেরা এসব ঘাস কেটে গরুগুলোকে খাওয়ান। পাশাপাশি খড়, খইল, ভুসিসহ বিভিন্ন ধরনের গোখাদ্য দেওয়া হয়। বর্তমানে খামারে প্রায় ৩০ লাখ টাকার গরু রয়েছে।

এ বিষয়ে আব্দুল আলেক ইসলাম বলেন, ‘আমি শুধু লাভের আশায় গরু এবং মৎস্য খামার তৈরি করিনি। এলাকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে এ খামার প্রতিষ্ঠা করেছি। আমরা যারা প্রবাসী তারা বিদেশে থেকেও দেশ ও মানুষের জন্য কিছু করার তাগিদ অনুভব করি। সরকারি স্বীকৃতি পেলে আরও অনেক কিছু করার ইচ্ছা আছে। চলতি বছর উপজেলা প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীতে আমার খামারের প্রদর্শনী হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত