Ajker Patrika

মনোনয়ন নিয়ে শঙ্কা, ঢাকায় ছুটছেন আ.লীগ নেতারা

মিঠাপুকুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ জানুয়ারি ২০২২, ১১: ৪৭
মনোনয়ন নিয়ে শঙ্কা, ঢাকায় ছুটছেন আ.লীগ নেতারা

মিঠাপুকুরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের তফসিল পেয়ে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরলেও দলীয় মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগে কোন্দল থাকায় নৌকা পাওয়া নিয়ে তাঁরা আতঙ্কের মধ্যে আছেন বলে জানিয়েছেন।

এ দিকে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড আগামী ৪ জানুয়ারির মধ্যে দলীয় মনোনয়নপত্রের আবেদন সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে। এ কারণে ঢাকায় ছুটছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।

উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন পরিষদেই ২০১৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। আসন্ন নির্বাচনেও মনোনয়নের ক্ষেত্রে বর্তমান চেয়ারম্যানদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাম্মেল হক মিন্টু মিয়া।

মোজাম্মেল হক বলেন, ‘যাঁদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই এবং এলাকায় জনপ্রিয় তাঁদেরই মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।’

স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমান চেয়ারম্যানদের মধ্যে মনোনয়ন পাওয়ার আশা করছেন মিলনপুরের চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম চৌধুরী। কারণ ২০১৬ সালের আগে এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান ছিলেন না। তিনিই এখানে একমাত্র আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান।

খোঁড়াগাছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে বর্তমান চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান এগিয়ে রয়েছেন। দুর্গাপুরেও বর্তমান চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান তালুকদার ভালো অবস্থানে আছেন। ময়েনপুরে বর্তমান চেয়ারম্যান মাহবুবুল হকের বিপক্ষে যিনি নৌকা প্রতীক চেয়েছেন, তিনি গত নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন।

চেংমারীতে মজবুত অবস্থানে আছেন বর্তমান চেয়ারম্যান রেজাউল কবীর টুটুল। ইমাদপুরে বর্তমান চেয়ারম্যান আফছার মিয়ার মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। লতিবপুরে দুজন নৌকা প্রতীক চেয়েছেন। তাঁরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী ও নেয়ামুল মণ্ডল। ইদ্রিস সাংসদ এইচ এন আশিকুর রহমানের পক্ষে ও নেয়ামুল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সপ্তম ধাপের নির্বাচনে মিঠাপুকুরের ১৭ ইউনিয়নে একযোগে ভোট নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা কেন্দ্র পরিদর্শন করে সব ঠিক আছে কি না খতিয়ে দেখছেন। একজন কর্মকর্তাকে দুটি করে ইউনিয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

দুর্গাপুর ও বড় হযরতপুর ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, তিনি ইতিমধ্যে নির্ধারিত ভোটকেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমাতুজ জোহরা বলেন, সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশে নির্বাচন হবে বলে তিনি আশাবাদী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত