Ajker Patrika

সিন্ডিকেট করে কম দামে কেনা হলো ১১ ট্রলার

চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২১, ০৯: ১৪
সিন্ডিকেট করে কম দামে কেনা হলো ১১ ট্রলার

চরফ্যাশন মেরিন ও ফিশারিজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জেলে-মাঝিদের সিন্ডিকেটের আঁতাতে অল্প মূল্যে ১১টি ট্রলার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। গত ১৬ অক্টোবর ট্রলারগুলো নিলামে তোলা হলে দূর-দুরান্ত থেকে আসা ক্রেতাদের অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। একটি চক্রের সঙ্গে আঁতাত করে এই ১১টি ট্রলার জলের দরে নিলামে তোলা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ আহরণে নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। এই সময়ে কারেন্ট জালসহ জেলেদের ১১টি ট্রলার ও ইঞ্জিন চালিত নৌকা জব্দ করা হয়। তবে জেলেদের একটি সিন্ডিকেটের কারণে কম মূল্যে ওই ট্রলার নিলামে বিক্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, জাহানপুর আট কপাট মৎস্যঘাট এলাকায় ১১টি ট্রলার নিলামে তোলা হয়। ওই নিলামে বিভিন্ন এলাকা থেকে একাধিক ক্রেতা আসলেও ঘাটের জেলে ও মাঝিদের সিন্ডিকেটের কারণে তাঁরা নিলামে অংশ নিতে পারেননি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলে বলেন, ‘নিলাম শুরু হওয়ার সময় জব্দ ট্রলারগুলোর মালিকেরা ও স্থানীয় জেলে-মাঝিরা বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ব্যক্তিদের নিলামে অংশ নিতে দেননি। জেলেরা যেন তাঁদের ট্রলারগুলো কম মূল্যে নিয়ে যেতে পারেন এ জন্য জাহানপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মিজান মাঝি নামের এক ব্যক্তিকে নিলামে অংশ নেওয়ার জন্য নির্বাচন করেন ট্রলার মালিকেরা।’

ওই জেলে বলেন, ‘গত ১৬ অক্টোবর প্রশাসন নিলাম ডাকলে মিজান মাঝিসহ ৬ ব্যক্তি নিলামে অংশ নেন ও প্রায় ৪ লাখ টাকার ট্রলারগুলো নিলামে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকায় নিয়ে নেন মিজান মাঝি। পরে ওই ট্রলারগুলো মিজান মাঝির কাছ থেকে নিলামের মূল্য অনুযায়ী ২ থেকে ৩ হাজার টাকা বেশি দিয়ে যাদের ট্রলার তাঁরা নিয়ে যান।’

জিয়াউল হক নামের এক জেলে বলেন, ‘আমাদের ট্রলারটি প্রশাসন জব্দ করলেও নিলামের পরে আমাদের আড়তদারের মাধ্যমে মিজান মাঝির কাছ থেকে কিছু টাকা বেশি দিয়ে ছাড়িয়ে এনেছি।’

চরফ্যাশন মেরিন ও ফিশারিজ কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, ‘নিয়ম মেনেই ওই ট্রলারগুলো নিলামে তোলা হয়েছে। ভ্যাট-ট্যাক্সসহ ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকায় ট্রলারগুলো নিলামে দেওয়া হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত