কামাল হোসেন, কয়রা
কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা চলছে শিশুবিশেষজ্ঞ ছাড়াই। ১৯৬৪ সাল থেকে আজ পর্যন্ত এখানে কোনো শিশুবিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। তাই চিকিৎসা কর্মকর্তা দিয়েই চলছে এখানে আসা শিশু রোগীর চিকিৎসা। এতে অভিভাবকদের পড়তে হচ্ছে নানা ভোগান্তিতে।
উপকূলীয় অঞ্চলের আবহাওয়ার কারণে কয়রায় জ্বর, নিউমোনিয়া, অ্যাজমা ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এ কারণেই রোগীর চাপ সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তৃপক্ষকে।
আক্রান্তদের বেশির ভাগ রোগীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ভর্তির পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশুবিশেষজ্ঞ না থাকায় অভিভাবকেরা বেশির ভাগ শিশুকে নিয়ে ছুটছেন শত কিলোমিটার দূরে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে।
দুই মাস বয়সী একটি শিশুকে ডায়রিয়াজনিত কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসেছেন সদর ইউনিয়নের ৫ নম্বর কয়রা গ্রামের নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘সপ্তাহে এক দিন খুলনা থেকে একজন শিশুবিশেষজ্ঞ ডা. সারাফাত হোসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে রোগী দেখেন। তাঁর কাছে চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এখানে কোনো শিশুবিশেষজ্ঞ নেই।’
খাদিজা আক্তার বাগালি ইউনিয়নের বগা গ্রাম থেকে তাঁর সন্তানের ডায়রিয়া ও অন্যান্য কারণে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছেন। তাঁর বাচ্চার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে। তবে এখানে কোনো শিশুবিশেষজ্ঞ না থাকায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে তাঁকে।
মাহমুদা আক্তার তাঁর বাচ্চাকে নিয়ে ডায়রিয়াজনিত কারণে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছেন। তিনি মহারাজপুর ইউনিয়নের শিমলার আইট গ্রাম থেকে এক সপ্তাহ ধরে তাঁর বাচ্চাকে নিয়ে এখানে আছেন। এখানে কোনো শিশুবিশেষজ্ঞ না থাকায় তাঁর বাচ্চার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাই তিনি খুলনা থেকে আসা শিশুবিশেষজ্ঞ শারাফাত হোসেনকে দেখিয়ে হাসপাতালে রেখেছেন। তাঁকেও চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুদীপ বালা বলেন, ‘শিশুবিশেষজ্ঞ না থাকায় আমরা মেডিকেল অফিসার দিয়ে শিশুদের সেবা দিচ্ছি। তবে শিশুদের জটিল কোনো সমস্যা হলে ১০০ কিলোমিটার দূরে খুলনাতে রেফার্ড করা হয়। এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি এখানে শিশুবিশেষজ্ঞ দেওয়ার জন্য। তারাও চেষ্টা করছে। শিশুবিশেষজ্ঞ থাকলে রোগী খুলনাতে না পাঠিয়ে এখানেই চিকিৎসাসেবা দিতে পারব। তখন এলাকার মানুষ অনেক উপকার পাবে।’
খুলনা জেলা সিভিল সার্জন সুজাত আহম্মেদ সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘প্রতিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশুবিশেষজ্ঞ দেওয়ার চেষ্টা করছি। শিগগির শিশুবিশেষজ্ঞ দেওয়া হবে। তবে আমাদের যাঁরা শিশুদের ওপর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, তাঁদের দিয়ে শিশু চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা চলছে শিশুবিশেষজ্ঞ ছাড়াই। ১৯৬৪ সাল থেকে আজ পর্যন্ত এখানে কোনো শিশুবিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। তাই চিকিৎসা কর্মকর্তা দিয়েই চলছে এখানে আসা শিশু রোগীর চিকিৎসা। এতে অভিভাবকদের পড়তে হচ্ছে নানা ভোগান্তিতে।
উপকূলীয় অঞ্চলের আবহাওয়ার কারণে কয়রায় জ্বর, নিউমোনিয়া, অ্যাজমা ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এ কারণেই রোগীর চাপ সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তৃপক্ষকে।
আক্রান্তদের বেশির ভাগ রোগীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ভর্তির পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশুবিশেষজ্ঞ না থাকায় অভিভাবকেরা বেশির ভাগ শিশুকে নিয়ে ছুটছেন শত কিলোমিটার দূরে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে।
দুই মাস বয়সী একটি শিশুকে ডায়রিয়াজনিত কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসেছেন সদর ইউনিয়নের ৫ নম্বর কয়রা গ্রামের নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘সপ্তাহে এক দিন খুলনা থেকে একজন শিশুবিশেষজ্ঞ ডা. সারাফাত হোসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে রোগী দেখেন। তাঁর কাছে চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এখানে কোনো শিশুবিশেষজ্ঞ নেই।’
খাদিজা আক্তার বাগালি ইউনিয়নের বগা গ্রাম থেকে তাঁর সন্তানের ডায়রিয়া ও অন্যান্য কারণে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছেন। তাঁর বাচ্চার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে। তবে এখানে কোনো শিশুবিশেষজ্ঞ না থাকায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে তাঁকে।
মাহমুদা আক্তার তাঁর বাচ্চাকে নিয়ে ডায়রিয়াজনিত কারণে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছেন। তিনি মহারাজপুর ইউনিয়নের শিমলার আইট গ্রাম থেকে এক সপ্তাহ ধরে তাঁর বাচ্চাকে নিয়ে এখানে আছেন। এখানে কোনো শিশুবিশেষজ্ঞ না থাকায় তাঁর বাচ্চার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাই তিনি খুলনা থেকে আসা শিশুবিশেষজ্ঞ শারাফাত হোসেনকে দেখিয়ে হাসপাতালে রেখেছেন। তাঁকেও চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুদীপ বালা বলেন, ‘শিশুবিশেষজ্ঞ না থাকায় আমরা মেডিকেল অফিসার দিয়ে শিশুদের সেবা দিচ্ছি। তবে শিশুদের জটিল কোনো সমস্যা হলে ১০০ কিলোমিটার দূরে খুলনাতে রেফার্ড করা হয়। এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি এখানে শিশুবিশেষজ্ঞ দেওয়ার জন্য। তারাও চেষ্টা করছে। শিশুবিশেষজ্ঞ থাকলে রোগী খুলনাতে না পাঠিয়ে এখানেই চিকিৎসাসেবা দিতে পারব। তখন এলাকার মানুষ অনেক উপকার পাবে।’
খুলনা জেলা সিভিল সার্জন সুজাত আহম্মেদ সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘প্রতিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশুবিশেষজ্ঞ দেওয়ার চেষ্টা করছি। শিগগির শিশুবিশেষজ্ঞ দেওয়া হবে। তবে আমাদের যাঁরা শিশুদের ওপর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, তাঁদের দিয়ে শিশু চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
২০ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫